Sunday, December 27, 2009

আংকোর ওয়াটের মন্দিরে..

Angkor Wat 01
বহু আগে ন্যাটজিও চ্যানেলের মারফতে প্রথম জেনেছিলাম আংকোর ওয়াটের মন্দির সম্পর্কে। কী বিশাল সেই স্থাপনা! হার মানায় তাজমহলকেও। যখন দেখেছি তখন ঘুরতে যাবার বয়স কিংবা সুযোগ কোনটাই ছিল না। মাশীদের কল্যাণে এবার শেষ পর্যন্ত বেড়িয়ে আসা হল। আংকোর ওয়াট নিয়ে তার উৎসাহ আরো এককাঠি বেশী। ট্রাভেলএজেন্টেকে দিয়ে সে ঝটপট টিকেটভিসা করে ফেলল। আমার ঘাড়ে পড়ল হোটেল আর প্রোগ্রাম ঠিক করার দায়িত্ব।

আংকোর ওয়াটের মন্দিরটি অবস্থিত কম্বোডিয়ার সিয়াম রিপ (Siem Reap) শহরে। সিয়াম রিপে কুয়ালালুমপুর থেকে সরাসরি বিমান যায় বলে যাত্রার ঝক্কি কম, মাত্র দুঘন্টা লাগে যেতে। হোটেল খুঁজতে বসলাম নেটে। Villa Siem Reap নামের একটা হোটেল পছন্দ হয়ে গেল, জনপ্রতি ১৭৫ মার্কিন ডলারে এদের ৪রাত৫দিনের প্যাকেজ টুর এর ব্যবস্থা আছে। সেটাই নিয়ে নিলাম। আইটিনেরারি ঘাটতে গিয়ে জানা গেল, সিয়াম রিপে মন্দির একটা নয়, সংখ্যাটি শতাধিক!! আংকোর ওয়াট ছাড়াও আছে আংকোর টম, বান্তাই শ্রী, তা প্রম, প্রিয়াহ খান এর অসাধারন সব মন্দির!


যাবার আগে আমার ক্যানন ইএফ ১৭-৪০মিমি এফ/৪এল লেন্সের জন্য একটা হয়া প্রো১ সার্কুলার পোলারাইজার ফিল্টার কিনে নিলাম, সাথে ল্যান্ডস্কেল তোলার কায়দাকানুন নিয়ে একটা ব্রিটিশ ম্যাগাজিন। আমি ল্যান্ডস্কেপ একেবারেই কম তুলি। তাই একটু পড়াশোনা করে নেওয়াটা জরুরী ছিল। কী এপারচার ব্যবহার করতে হবে, ফোকাস করতে হবে কোন জায়গায়, পোলারাইজার কিভাবে ব্যবহার করতে হবে, ওয়াইড শটের কম্পোজিশনের ধরন নিয়ে বিমানে বসেই কিছু জিনিস জেনে নেওয়া গেল। বিমানে লাগেজের সীমা ২০কিলো, আর আমার ক্যামেরার ব্যাগের ওজনই ৭কিলোর মতো। লেন্স নিয়েছি সবগুলো (৩৫mm f/১.৪L, ১৩৫mm f/২L, ১০০-৪০০mm f/৪.৫-৫.৬L, ১৭-৪০mm f/৪L), সাথে রিমোট শাটার রিলিজ, রিমোট ফ্ল্যাশ ট্রিগার, স্পিডলাইট, ট্রাইপড, মনোপড, আমব্রেলা কোন কিছুই বাদ রাখিনি!!

সিয়াম রিপের এয়ারপোর্ট ছোট কিন্তু যত্ন করে সাজানো। সবুজ পাসপোর্ট হওয়াতে মিনিট পনেরো লাগলো ছাড়া পেতে। বের হয়েই দেখি টুকটুক নিয়ে অপেক্ষা করছে হোটেলের ড্রাইভার স্না। টুকটুক হল মোটর বাইকের পিছে একটা বগির মতো জিনিস, যেটা একটা বিশাল স্ক্রু দিয়ে বাইকের সাথে আটকানো। কম্বোডিয়ার প্রধান বাহনই হল টুকটুক। হোটেলে গিয়ে মন ভালো হয়ে গেল, খাসা জায়গা, লোকজনও ভালো। তবে একটা ধাক্কা বাকি ছিল। জানা গেল মন্দিরে বেড়াতে গেলে পাস কিনতে হবে, একদিনের জন্য জনপ্রতি ২০ডলার। আমরা থাকব পাঁচদিন, তার জন্য লাগবে উইকলি পাস, যার দাম ৬০ডলার। খসে গেল ১২০ডলার। বলা প্রয়োজন কম্বোডিয়াতে স্থানীয় মুদ্রার চেয়ে মার্কিন ডলারই বেশী চলে (অত্যাধিতক টুরিজমের ফল)। যারা যাবেন তারা ভালো পরিমান ভাংতি ডলার নিয়ে যাবেন, যদিও ATM মেশিন থেকে ডলার তুলতে পারবেন প্রয়োজনে।

আইটিনেরারিতে প্রথম দিনের প্রথম কাজ ছিল আংকোর ওয়াটের সামনে বসে ওয়াইন আর চীজ খেতে খেতে সূর্যাস্ত উপভোগ করা (লাটসাহেবী কাকে বলে!)। বিকেলের দিকে পাস কিনতে রওনা হলাম আমরা। পাস এখানে পাসপোর্টের মতো। যেকোন মন্দিরে ঢোকার আগে পাস দেখে নেওয়া হয়। পাস না থাকলে কোন খাতির নাই, হারালে কিন্তু হবে আবার। পাসে ওয়েবক্যাম দিয়ে ছবি তুলে সেঁটে দেওয়া হয়, ফলে দুনম্বরি করার উপায় নেই, আর চেক করার সময় লোকজন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। তাই পাস নিয়ে সাবধানে থাকাটা জরুরী।

আংকোর ওয়াটের মন্দির নিয়ে বিশদ তথ্য আছে এখানে। সংক্ষেপে বললে, রাজা ২য় সূর্যবর্মন ১২শ শতাব্দীতে এই মন্দির স্থাপন করেন। তিনি হিন্দু রাজা ছিলেন। এই মন্দিরটি তৈরি হয় দক্ষিনভারতীয় ধাঁচে, খানিকটা মেরু পর্বতের আদলে। ২০৩ একরে জায়গায় ওপরে তৈরি এই মন্দির বিশ্ব ঐতিহ্যের সবচে' গুরুত্বপূর্ণ ও অসাধারন স্থাপত্যকর্মের একটি। রাজা সূর্যবর্মনের পরে রাজা ৭ম জয়বর্মন আংকোর ওয়াট থেকে খানিক দূরে "আংকোর থম" নামের একটি শহর গড়ে তোলেন। "আংকোর থম" এর প্রতি প্রান্তে বুদ্ধের মুখমন্ডল বসানো আছে। প্রত্নতাত্বিকদের ধারনা এই মুখগুলো রাজা জয়বর্মন আর বুদ্ধের মুখের সম্মিলিত চেহারা। নিজেকে ঈশ্বর রাজা হিসাবে তুলে ধরতেই হয়তো এই কীর্তির সূচনা। "আংকোর থম" থেকে বেশ খানিকটা দূরে গেলে জঙ্গলের মাঝে দেখা যাবে "তা প্রম" এর মন্দির। "তা প্রম" এর এই মন্দির গুলো বুনোগাছে ঢেকে গেছে। এই জায়গাটা এতোই বুনো যে হলিউডি ছবি "টুম্ব রাইডার" এর শুটিং করার জন্য একেই লোকেশন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

টানা তিনদিন মন্দিরে মন্দিরে বেড়াতে গিয়ে আমাদের একপর্যায়ে অবস্থা সঙ্গীন হয়ে গেল। বাধ্য হয়ে দুইজনকে পরপর দুরাত ফুট ম্যাসাজ নিতে হল। যারা ছবি তোলার জন্য যাবেন, তাদের জন্য উপদেশ হল আংকোর ওয়াট, আংকোর থম আর তা প্রমের মন্দিরে বেশী করে সময় দিন, এক সাথে সবগুলো দেখতে গেলে বিপদে পড়বেন। দিনের আলো কবে কোথায় কেমন হবে সেটা আগে থেকে জেনে রাখাটাও জরুরী, না হলে এক্সপোজার নিয়ে ভ্যাজাল হবে!

তৃতীয় দিনে আমাদের গন্তব্য ছিল "কবাল স্পিয়ান" এর জলপ্রপাত। দেড় কিলো পাহাড়ী পথে হাঁটতে গিয়ে দম বেরিয়ে গিয়েছিলো প্রায়। কিন্তু শেষমেষ জলপ্রপাতের গায়ে খোদাইকর্ম দেখে ক্লান্তি ভুলে মহানন্দে ছবি তুলতে ব্যস্ত হলাম দুজনে। জলপ্রপাতের গোড়ায় শিবলিংগ খোদাই করা, যেন পানি এর উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শুদ্ধ হয়!!

প্যাকেজের শেষদিনে ফ্লুক নামের একটা গ্রামে নিয়ে যাবার কথা ছিল। সমস্যার কারনে আমরা গেলাম "তোনলে স্যাপ" লেক দেখতে। এই লেকটিকে দেখলে এক পর্যায়ে সাগর বলে ভুল হতে পারে। ছবি তুলবার জন্য চমৎকার যায়গা, লেকের দুপাশে ফ্লোটিং ভিলেজের জলজীবি মানুষদের নিয়ে চমৎকার কাজ করা সম্ভব। আমরা সৌভাগ্যবান, চমৎকার একটা সুর্যাস্ত পেয়েছিলাম সেদিন।


এই ফাঁকে খাবার আর পরিবহনের কথা বলে দেই। একটা টুকটুকের দিন প্রতি ভাড়া ১৫ডলার। গাইডের ভাড়া ৩০ডলার। আর খাবার জনপ্রতি ৭-১০ডলার। পাব স্ট্রীটে চমৎকার সব বার আর রেস্তোরা আছে। শখের বসে প্রথমদিন ডিনারে কুমির আর অজগরের বারবিকিউ খেলাম দুজনে। যতোটা জঘন্য মনে হয়, তার ধারে কাছেও না! আমরা হালাল-টালাল নিয়ে ভাবিনা বলে ঝামেলা হয়নি। যাদের হালাল ইসু আছে তাদের কপালে দুঃখ আছে, লার্ড এই দিকটায় বেশ জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত।

সিয়াম রিপে প্রচুর টুরিস্ট আসে, শহরটা টিকেই আছে এদের পয়সাতে। তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যস্ত সবাই। আমরা লক্ষ্য করেছি এখানকার মানুষ কিঞ্চিত সাধু প্রকৃতির (শয়তান পল পট বাদে!)। এরা আচরনে বিনয়ী, স্বভাবে শান্ত। ব্যাগ রেখে বহুবার এদিক সেদিক গেছি। কেউ ছুঁয়ে দেখেনি, মালেশিয়া বা সিংগাপুরে এটা ভাবাও যায় না!

যাই হোক, এবার একটা স্লাইড শো দেখা যাক..
Set URL: http://www.flickr.com/photos/harvie-krumpet/sets/72157623065270048/

Wednesday, December 16, 2009

The Devil and the Cross..

The Devil and the Cross..
এই পাখিটা দিনদিন মহা ত্যাঁদর হয়ে যাচ্ছে যেন কয়দিন পরে দুনিয়া দখল করতে নামবে!

Monday, December 14, 2009

মালেশিয়ার সান্তা ক্লজ

The Malaysian Santa !!!

প্যাভিলিয়নে গিয়ে দেখি ক্রিসমাস উপলক্ষে ব্যাপক আয়োজন। এবং কিছুক্ষনের মধ্যেই সান্তা ক্লজ হাজির!
এই মরার দেশে তুষারপাত না হতে পারে, কিন্তু সান্তা আসবে না তা কি হয়?

Thursday, November 19, 2009

প্রথম ছবি বিক্রি!!!

শেষ পর্যন্ত একটা ছবি বিক্রি হল! ক্রেতা জনৈক শ্রীলংকান ভদ্রলোক! মজাই তো!
Dhaka at Night - 5

পুনশ্চঃ ক'দিন আগে দেখি কে যেন একটা আপত্তিকর মন্তব্য করেছে এই পোস্টে। অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেল মন্তব্যটি করা হয়েছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিংগাপুরের কম্পিউটার থেকে। অ্যাবিউজ রিপোর্ট পাঠাবার পরে আমাকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে যে কর্তৃপক্ষ অপকর্মকারীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন..

Wednesday, November 11, 2009

রাতের ঢাকা

বাংলাদেশে এসেই আমার হাত-পা কূটকূট করে। জায়গাটা ফোটুরেদের স্বর্গ বললে খুব বেশী বলা হয়না। আড্ডা মারতে গিয়ে চোখে পড়ল কুপির আলোয় রাতের ঢাকাকে। এই আলোর তুলনা হয়না। এই জিনিস টের পাবার পরে ঘরে থাকা মুস্কিল। কিন্তু ছিনতাই এর ভয়ও ফেলে দেবার মতো না..

শেষমেশ কাল রাতে ক্যামেরা নিয়ে বের হয়েছি, বডিগার্ড হিসেবে একজনকে ভুলিয়ে ভালিয়ে রাজী করিয়ে আনা হয়েছিল। দুইকাপ চা আর আধাপ্যাকেট সিগারেট উড়িয়ে দেবার পরে, ধানমন্ডি থেকে শুরু হল ফটোহান্টিং।

রাতে ছবি তোলার দুইটা সুবিধা। প্রথমটা বলাই হয়েছে, আলো। দ্বিতীয়টা হল, কাজ করা যায় যথাসম্ভব ডিস্ক্রিটলি। ফ্ল্যাশ না জ্বালালে মোটামুটি কোন দৃষ্টি আকর্ষন না করেই কাজ আগানো যায়। কালরাতে আড়াই ঘন্টা ঘোরার ফল কী হয়েছে দেখা যাক। ভাবছি আবার কবে বের হওয়া যায়। যাবে নাকি কেউ সাথে?

১. সিগারেট-ওয়ালা
Dhaka at Night - 1

২. চা-ওয়ালা
Dhaka at Night - 2

৩. বাদাম-ওয়ালা
Dhaka at Night - 3

৪. পিঠা-ওয়ালী
Dhaka at Night - 4

৫. মোবাইল-ওয়ালা
Dhaka at Night - 5

বাহাত্তুরের সংবিধানের স্ক্যানকৃত কপি..

ইদানিং বাহাত্তুরের সংবিধান নিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে। মা সেদিন দেখি সেই দুর্লভ বস্তুটির প্রথম সংস্করন নিয়ে হাজির। লাল শক্ত মলাটের একটা ঢাউস বই! আহা শিশুরাষ্ট্রের শিশু সংবিধান! তাকে যৌবনে আসার আগেই কাঁটাছেড়া করা হল কতোবার! শোনা গেল আদি অক্ষত সংস্করনটি এখন নাকি আর কোথাও দেখা যায় না। বাড়ি ফিরে আজ তাই ভাবলাম স্ক্যান করে ফ্লিকারে তুলে দিই। কারো খায়েস হলে পড়ে নেবে। যে বিশ্বাস আর স্বপ্ন নিয়ে একটা দেশের জন্ম হয়েছিল, তার ক্রমশ নিবুনিবু হয়ে আসা উষ্ণতা পেতে চাইলে এই ঢাউস বইটার পাতায় হাঁটু গেড়ে কিছুক্ষন বসে থাকা যেতেই পারে..

পড়া যাবে এই লিংক থেকে

১ম সংবিধান নিয়ে কিছু তথ্য
---------------------------------------------------------------
অঙ্গসজ্জাঃ হাশেম খান
লিপিকারঃ এ. কে. এম. আব্দুর রউফ
তত্ত্ববধানঃ জয়নুল আবেদীন
অংকনঃ জুনাবুল ইসলাম, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, আবুল বারক আলভী
চামড়ার কাজঃ সৈয়দ শাহ্ আবু শফি
মুদ্রণঃ বাংলাদেশ সরকারী মুদ্রাণালয়
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১০৯

দ্রষ্টব্যঃ
১. ফ্লিকারে প্রতিটি ছবির উপরে "All Size" বোতামে ক্লিক করলে বড় করে দেখা যাবে..
২. মিলিয়ে দেখতে চাইলে বর্তমান সংবিধান পাওয়া যাবে এই লিংকে

Google Friendly Sting: "Bangladesh Constitution 1972"

Wednesday, September 2, 2009

Playing with Infrared Photography...

Heard a lot about IR photography but never had the chance to play as the filters are expensive and not easily available. A few months back I came across with a few sellers in Hong Kong who offers really good price for different kind of filters. So I decided to give it a go..

IR photography can be done in 2 ways. You can either modify your DSLR or use a filter. If you modify your DSLR, you can use normal shutter speed to take IR photos. But the con is, your camera sensor will never be able to take normal pictures again. Obviously, I was not eager to screw my 5DMKII, hence placed an order for an 720nm NIR filter. No, its not a HOYA RM72. That bloody thing costs like USD170!!!! The one I ordered is manufactured by BONDS Camera and costs only USD23...

After two long weeks, the filter finally reached my mail box... Ahhhhhh....

I wanted to use it with my Canon EF 17-40mm f/4L which has a 77mm thread. Since the filter is a bit thick, I could see some vignette around the corner.

Anyway, screwing on the filter I rushed to take some shots. And when I looked into the preview pics, I got very disappointed.

They looked something like this..
Infrared Photography, a failed attempt.. :(

I knew IR will make the green trees look white and sky would turn dark. The picture above, was no way near to the desired effect. So I got suspicious. I turned on the LIVE VIEW mode on 5DMKII and used a TV remote to beam into the lens. I knew, all DSLR sensors can see IR light, but the good ones strongly reduce the intake so that colors remain natural. In 5DMKII, the beam looked very very deemed. That means 5DMKII has a strong protection against IR. To confirm this, I did the same test with Canon S2IS. Voilla!! the beam looked significantly brighter.

So I tried shooting again. This time with my S2IS..

Here's the picture without IR filter
Playing with Infrared Photography (Normal Picture)
Settings: F/4, 1/800 Sec, ISO 50

Here's the picture with IR filter
Playing with Infrared Photography (WIth IR Filter)
Settings: F/4, 5 sec, ISO 50

But you will not get that kind of image with IR filter right away. You have to go to Photoshop and need to do channel mixing.
[See this video on channel mixing: www.youtube.com/watch?v=h_rNR5f0qVU]

Once channel mixing is done, you will end up with a dreamy image. Since IR is not like visible light, the shadows and reflections are different. Trees become white, Sky becomes darker.. This kind of effects are hard to manipulate in Photoshop as a different kind of optics is in play here.

I am pretty excited with the thing and think you guys will find it interesting as well..

If you want to buy the filter, go to this link
cgi.ebay.com/ws/eBayISAPI.dll?ViewItem&item=350206877052

And those who want to read more, try the link below:
www.lifepixel.com/digital-infrared/instructions.html


Happy Clicking!!

Wednesday, August 12, 2009

Jungle-o-Graphy!!

My buddy Chris often invites me to join him to hunt wild boars in the palm plantation near the forest reserve. Hunting is mostly illegal, especially if you use a rambo-type cross bow and having no permit. So I had to skip the invitations. Realizing my discomfort last night he offered me, again, to join him. Except this time he'd just show me around and keep away for hunting.

It rained heavily yesterday and usually after a heavy rain fall animals come out from their hide-out to search for food. And this was why Chris was so eager to check out things last night. I was quite excited as Chris told me that there was a good chance to spot wide tapirs.

I decided to take two fast lenses 35 f/1.4 and 135 f/2.0. Unfortunately none of them could focus in the dark. So we came up with our own focusing technique. We had an Eveready heavy duty flash light with us. In order to focus, Chris used to put the beam on the target and I used focus using AF. The moment AF was done, I'd set to MF and start hitting the shutter button. I started with ISO 6400, but soon realized i need to hit it to the max. So for the first time for a serious shoot-out I dared to set the ISO to 25600.. And how was the result?

Into The Jungle.. ISO 25,600!!!
Chris leading the way Taken at ISO 25,600 (Heavily post-processed)


Lousy.. But at least I could take hand-held shots while trekking through the thick palm plantation.

We search around till 3:30am and then we gave up. Except a few wild boar tracks and night calls from a jungle fowl there were really nothing to see or hear.

Before leaving took this long exposure shot.. Looks like day-light isn't it? Look carefully and you can see the stars
Into The Jungle.. Under the Moon

A few lessons learned from this trip.

1. Even if it feels heavy do carry your tripod. Otherwise you will miss really beautiful shots. :(

2. If you plan a trip inside deep vegetation, do carry a monopod and use it like a walking stick. It prevents you from sleeping, drive away animals and remove things from a safe distance (Not to mention nice steady shots)

3. ISO 25,600 might sound sexy but it sucks big time. But if used carefully can help you take shots which is no way possible.

4. Big and fast Zoom lenses are ideal for trips like this. I missed the chance to photograph an owl as I was changing my lens

Sunday, August 2, 2009

The Beggars Chicken

I was going through Facebook, suddenly a message from Faz, asking me if I was interested to join them in the "Beggar's Chicken" quest. "Beggar's Chicken" ? Yep, its a famous Chinese dish and not a very common item in the regular menu. Being a foodie, I had no reason to say no.. :)

The place is located near Jugra Hill, Banting. At a first glance it would look like a typical chinese street-side restaurant. But you can't just hop in and start ordering. If you want to enjoy the dish you need to order two days back. Thanks to our buddy Chris Kok, things were arranged without a hitch.

While Faz and Chris were busy finalizing the orders, Ripi and I were busy taking random shots here and there. After waiting for some time, the dish finally came. Honestly, it didn't look that sexy and actually tasted like.... err.. Chicken... what else-aa? We were told that the chickens were covered with clay and slow-roasted with herbs and spices. This sounds great but I don't think this effort yielded enough return on the taste..

Anyway, it was a great dine-out adventure... Wish we had more outings like this..

Friday, July 31, 2009

Field Test of the Canon EF 100-400mm f/4.5-5.6L IS



When you need to test a good camera or a telephoto, try shooting birds. Birds require very high shutter speed and fast focus. So if your gears are not good enough you'll end up with lousy photos.

After buying the 100-400mm, I went to Zoo Negara for the 4th time. Zoo Negara is a poorly maintained zoo. But they have a bunch of painted storks and they were ideal for testing my lens. It seems that the lens is sharp enough. But it is slow, so I had to often push the ISO to 3200. 5D's ISO 3200 is way better than that of the 40D I had. Still its grainy, and grain removal causes a picture to lose sharpness.

Anyway, so far the lens seems good, a bit heavy though. Have to go to Fraser Hill to try again... Seriously thinking about buying a 2x Extender.

Tuesday, July 28, 2009

The Funambulist of Batu Caves..

Finally bought the famous/infamous Canon EF 100-400mm. Its the only affordable 400mm lens L lens with IS. Although its an "L", its no way close to my beloved 135mm f/2L. Some CA is noticable at the long end. I am worried because of the push-pull zoom design. Rumor has it, the lens behaves like a dust pump when pushed and pulled.. Let's see what happens..

Monday, July 20, 2009

Cracking the HDR Secret

Went to Morib beach with my PSPJ friends. I hated Morib last time. So when Ripi sent out the invite, I was not very excited. But then he told me that they'll try to explore the fishing village and that's considered as a interesting subject location. So I went, late by an hour. It was the same old place. Thanks to the recent hazy weather, the whole place looked dull. Around 6:30 they decided to explore the Jugra Hill, to capture sunset. This time, thanks to the cloudy horizon, shots again came very dull. So we headed back to Morib and had our group dinner before starting for KL.

Although the trip was boring, I accidentally cracked the secret of great looking HDR imaging. Ahh! Finally.. No grains nor hallows, colors are well balanced. And the picture is sharp with no artifacts.. Is my new "5D Mark II" the culprit? Hmm..
Cracking the HDR Code..

Sunday, July 19, 2009

Scott Kelby's 2nd Worldwide Photo Walk

Scott Kelby is a popular author of Photoshop books and training materials. Last year, he came up with the idea of having a worldwide photowalk. A photowalk is more like a social event, where a group of photographers gather and take pictures while following a particular route. It's nothing new. But the initiative to make it a global event helped Kebly's photowalk to draw significant attention from everywhere.

18th July was the date. KLickr group was the organzier for Kuala Lumpur. We started from Chow Kit LRT station. It was a huge gang (30+ I beileve). Although the whole idea of the photowalk was to enjoy and take photos, it became a very tiring task as it was quite hot as well as humid today.

I managed to come up with one ok kinda shot.. :(
Rest..

Friday, July 17, 2009

Punishment of Larceny.. Rip Off His Eyeballs..

I hardly read the Bangladeshi newspapers. The headlines are so predictable that anybody can easily guess what will appear in the headlines. Yet, for no reason, I went to check out the internet edition of a bengali daily. And there it was, possibly the most disturbing news I've ever came across this year. The title translates, "Father forced to rip off son's eyeballs by the Village Elders".

Yes, it did happen and this is not a individual case. Since the old days, it's a popular form of punishment for larceny in many rural parts of Bangladesh. But this time, they took it to a new level, force the father to execute the horrible task. Miru, a fifteen year old boy was accused of stealing a cellphone by the Village Elders. They found him guilty and fined him 30000 taka (Roughly 400 USD). Finally, they ordered that the eyeballs of the boy be ripped off. No, this was not enough, they wanted the father to carry out this punishment otherwise he was threatened to face the same by the elders.

And as usual, nothing happened to these "Elders". As of yet, nobody's been charged with anything.

In a country where the rulers and the lawmakers have colorful records of corruption, embezzlement and criminal offenses, isn't it ironic for a petty thief to be punished in such a medieval way?

I really feel sorry for the father as well as for the boy. There's nothing I can do but to say, I'm ashamed..

Tuesday, June 30, 2009

আর্বানস্কেপস্ ২০০৯, এক্সিবিশন আর কাছিমের রক্ত..



২৭শে জুনে আমার এক্সিবিশন হয়ে গেল কুয়ালা লুমপুর পার্ফমিং আর্টস্ সেন্টারে (KLPAC)। উপলক্ষ্য আর্বানস্কেপস্ ২০০৯। আর্বানস্কেপস্ হল দিনব্যাপী ক্রিয়েটিভ আর্টস্ উত্সাহীদের মিলনমেলা। কুয়ালা লুমপুর পার্ফমিং আর্টস্ সেন্টার খানিকটা চারুকলার মতো জায়গা, গিয়েই নস্টালজিক হয়ে গেলাম। আর্বানস্কেপস্ আয়োজন করে KLue ম্যাগাজিন। তারা চারটা মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরে চারটা গ্রুপের ছবি দেখিয়েছে সারাদিন ধরে। আমি ছিল KLickr গ্রুপে। এরা 24 KLite (২৪জন কেএলবাসী) এর উপরে ফোটোস্টোরি করেছে, ২৪টা স্টোরির মধ্যে ৩টা ছিল আমার, লিউ দ্য গোল্ডম্যান, বোর্নিও ইন্ক আর স্যাম দ্য ম্যাসের (যে লোক মাসাজ করে তাকে বলে মাসের, মহিলা হলে বলে মাসুস)। রাতের দিকে বোর্নিও ইন্কের লিনা আর সাইমন এসেছিল। ওরাও খুশি। এরা ব্রিটনি স্পিয়ার্স, অ্যান্থনি বোর্ডেইন এর মতো মানুষের ট্যাটু করে। মালেশিয়ার সেরা ট্যাটু আর্টিস্ট। এরা যে আমাকে ছবি তুলতে দেবে এটা আমারও ধারনার বাইরে ছিল। কপাল ভালো, তিন সাবজেক্টই ছিল ব্যাপক কোঅপারেটিং! শুনলাম KLue ম্যাগাজিনের এডিটর আমার গোল্ডম্যানকে নিয়ে করা স্টোরি দেখে মুগ্ধ, সে নাকি পাবলিশ করতে চায়! মনে হচ্ছে দুটো পয়সাও দেবে ;) ভালোই। ফাইভডি মার্ক টু কিনেছি। টাকাটা কাজে লাগবে ঋণ শোধ করতে। এক্সিবিশনে ফুইচেং, কেনতো আর জোসেফ এসেছিল। মাশীদে ছিল ঢাকায়..


প্রদর্শনী দেখছে দর্শক

24hr KLites from KLickr on Vimeo.




কুয়ালা লুমপুর পার্ফমিং আর্টস্ সেন্টার


মুক্ত-নাটক

Shafina & Nagen @ KLue Urbanscapes 2009
Nagen & Shafina @ KLPAC

২৮ তারিখ পুডু বাজারে গেছিলাম ফোটোওয়াকে। ছবি তুলতে যাব, দেখি ফট করে একফোঁটা রক্ত এসে পড়ল ক্যামেরার প্রিজম হাম্পে! এক ছাগল এক কোপে একটা কাছিমের মাথা কেটে ফেলেছে, আর তার রক্ত ছিটকে পড়েছে ক্যামেরার উপর! কি যন্ত্রনা!! ফাইভডি মার্কটু কিনে অতি মুগ্ধ। ISO 6400তে যা ছবি আসে!! আহা!..

5D Mark II @ ISO 6400
5D Mark II @ ISO 6400

Monday, June 22, 2009

KLue Urbanscapes 2009

২৭ তারিখে কুয়ালালুমপুর পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে KLue Urbanscapes 2009, যার অংশ হিসাবে ২৪ জন কেএলাইটের জীবনযাত্রার ওপর নির্মিত ফোটোস্টোরির প্রদর্শনী হবে। এই ২৪জনের মধ্যে আমার করা ফোটোস্টোরি হল ৩জনকে নিয়ে। এই উপলক্ষে আজকে মিনিমিট ছিল ক্যাপস্কয়ারের ট্যাপারস্ ক্যাফেতে। দুটোর দিকে গিয়ে বোরড্ হয়ে গেলাম। কারো কোন মাথাব্যথা নাই। রাগ করে যখন উঠে যাব তখন আমার ডাক পড়ল। ভিগ (ভিগনেশ বালাসিংগাম) পেশাদার ফোটোস্টোরি ক্রিয়েটার। সে সবারটার আখেরী সম্পাদনা করে দিচ্ছে, আমারটার ভারও তার ওপর। মনে হল এই ব্যাটা আর কীই করবে, আমার ছবি তো ভালো, মাঝখান থেকে মাতব্বরী করে বারোটা বাজিয়ে দেবে। দেখা গেল ভিগ আসলেই কাজ জানে। অনেক সময় নিয়ে সে এদিক সেদিক করে স্টোরি লাইন সাজিয়ে দিল। প্রশংসা করতেই হয়। সে বলেছে স্টোরিটা বেচার চেষ্টা করতে, তিনটা কাজই নাকি "ফাকিং গ্রেট"। হুমম.. দেখা যাক সাতাশ তারিখে কি হয়..

KLickr Mini Meet (21 June 2009) Part 1
ভিগ আর শাফিনা "আফা"

KLickr Mini Meet (21 June 2009) Part 2
ক্লান্ত শাফিনা, ব্যস্ত রিপি

Vig @ After a handful of photosets
ভিগ ভাইজান, কাম করতে করতে কুত্তাপাগল অবস্থা!

Tuesday, June 16, 2009

ফোটোস্টোরিতে হাতেখড়ি!!

দুটো ফোটোস্টোরি করলাম শাফিনাদের 24KLites প্রজেক্টের জন্য। খুব শখ করে করতে গেছি। শেষ পর্যন্ত যে খুব ভালো হয়েছে তা বলা যাবে না, কেমন সুর কাটা কাটা মনে হচ্ছে। তারপরও প্রথম কাজ তো :)

দেখা যাবে নীচের লিংক থেকে

গোল্ডম্যান অফ কেএল


বোর্নিও ইংক এর ট্যাটু আর্টিস্ট

Monday, June 15, 2009

An Evening with Steve McCurry

Steve McCurry on "Celebrating Multiculturalism Through Photography"
I was checking out something on the 24 KL-ites project and suddenly came across a post, which said Steve McCurry will be presenting on June 15th. Steve McCurry!!! Yeah! I know that name. He took that great portrait called "The Afghan Girl". One of the greatest image makers of our time is here, in KL.. How can I not go??

Before starting the engine, I thought it would be a good idea to tell my photog friend Ripi to reserve a seat for me. McCurry will be presenting in Central Market Annex Gallery which is not a difficult place to go at that hour. But I decided to go early. When I finished parking, Ripi replied, "Dude, no seat can be reserved! House Full!!"

Cursing myself, I rushed to the annex gallery. Indeed the house was full. The organizers were refusing entry. Eventually they had some mercy on me and allowed me to seat on the balcony. Lucky for me, it was the right place for shooting as nothing was blocking my view.



McCurry's talk entitled "Celebrating Multiculturalism Through Photography ". Although the title was a no-joke thing, McCurry presented himself as a very informal speaker and encouraged the audience to shoot him with whatever came to their minds.

He presented a series of photos taken in the last 30 years and revealed the story behind. He expressed his deep affection for South and Southeast Asia. He has been to India roughly 85 times so far and frequently visited the rest of the South Asian countries.

McCurry took most of his shots in Kodachrome 64. He was reluctant to switch to digital. Eventually, 2 years back, he did as he found out digital can stop action even in very low light. He used to carry 5 lenses, but now-a-days he prefers his 24-70mm zoom. It is said that he used a tripod almost always.

When asked about the problems of street photography, McCurry recalled the incident in Delhi where he had to surrender his film to a angry mob.

Before closing, the great image maker retold the story of Sharbat Gula, the famous Afghan Girl.

I was planning to bring a NatGeo to get autographed but decided not to at the last minute. At the end, I found all the guest rushing toward McCurry, each with a copy of NatGeo. I felt like slapping myself. What an idiot I am!!!!


Sharbat Gula (left), McCurry in Afghan Dress (Right)

(ফ্লিকারের জন্য লেখা, তাই ইংরেজিতে)

Saturday, June 13, 2009

আমার প্রথম ফোটোস্টোরি - ১

শাফিনা ফ্লিকার গ্রুপে জানতে পারি ওরা কেএলাইটদের নিয়ে ফোটোস্টোরি করতে যাচ্ছে। নাম দিয়ে দিলাম। কিন্তু এরপর তো আর সাবজেক্ট পাইনা! গতকাল (রাত বারোটা পার হয়ে গেছে কি না) ভাবলাম কাজ শুরু না করলেই না। সবাইকে একেকটা পেশার লোক ঠিক করে তার সারাদিনের কাজকর্ম নিয়ে স্টোরি করতে হবে। আমি ঠিক করেছিলাম পেট্রল স্টেশনের কর্মী আর ট্যাক্সি ড্রাইভার। সেই মতে কুমারকে ঠিক করেছিলাম। সে আর পুরানো ক্যাবওয়ালা। আজকে সাড়ে তিনটার আসার কথা। বসে থাকতে থাকতে পাঁচটার দিকে জানা গেল সে নাকি এসে অপেক্ষা করেছে আধা ঘন্টা! আসলি যখন একটা কল দিতে পারলি না!! যাই হোক, কুমারকে না পেয়ে কঠিন বিপদে পড়লাম। কি করা যায় ভাবতে ভাবতে বুকিত বিন্তাং-এ দৌড় দিলাম। প্ল্যান ছিল ট্যাটুওয়ালা আর হেয়ার স্টাইলিস্টকে নিয়ে কাজ করব। পথে ফুটমাসাজের দোকান পড়তেই মনে পড়ল গোল্ডম্যানের কথা। ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট। কিন্তু পাই কোথায় তাকে? মাসাজওয়ালাকে জিজ্ঞেস করতেই সে বলল সে খোঁজ দেবে কিন্তু একটা মাসাজ নিতে হবে তার আগে। আমি বললাম, তথাস্তু!
(চলবে)

Friday, June 12, 2009

বেরসিক সরকার, বিরক্ত টিশার্ট ডিজাইনার


মালেশিয়ার সেন্ট্রাল মার্কেটে গেলে, প্যাট্রিক সাও এর টিশার্টের দোকানে চোখ পড়বেই। চীনা এই টিশার্ট ডিজাইনার মজার মজার সব টিশার্ট বানিয়ে বিখ্যাত হয়েছেন। কি থাকে সেই টিশার্টে? প্রচলিত স্লোগান, লোগো কিংবা ফ্রেজকে হালকা বদলে দিয়ে অনবদ্য কৌতুক তৈরি করেন তিনি। কিন্তু বিষয়টা মালেশিয়ার Publication and Quranic Text Control Division এর হর্তাকর্তাদের ঠিক পছন্দ হয়নি। সম্প্রতি তারা প্যাট্রিকের সব টিশার্ট বাজেয়াফ্ত করে নিয়ে গেছেন

টিশার্টগুলো কি খুব খারাপ ছিল? নীচের ভিডিওটাতেই দেখে ফেলা যাক না কেন..


বেচারা প্যাট্রিক, এমন বেরসিক সরকারী লোকজন থাকলে বিরক্ত তো হতেই হবে..

পুনশ্চ: যারা ছবির "LINGAM was speaking to ME" কথাটার মানে বোঝেন নাই তারা এইখানে ক্লিক করুন

...

Thursday, June 11, 2009

আনন্দলোকে..

আমি যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছি, তাদের কাছে আমার অনেক ঋণ। অনেক ভালো খারাপের মধ্যে একটা জিনিস ছিল অসাধারন, আমাদের কনভোকেশন। আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে গাইতে গাইতে কয়ার যখন ঢুকল হলে, মুগ্ধ হয়ে আমারও গাইতে ইচ্ছা করেছিল। আর কটা জায়গায় এমন হয় জানি না, যাদের কারণে এমন আয়োজন হতো, তাদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা..

যাই হোক, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গীতের প্রতি আমার সীমাহীন দুর্বলতা। সত্যজিত রায় মনে হয় একবার বলেছিলেন, রবীন্দ্রকীর্তির মধ্যে তার গানই সবচে' বেশী সময় ধরে বেঁচে থাকবে (মামার মুখে শোনা, সূত্র বলা মুশ্কিল)। এই গানটার প্রিয় গানগুলোর একটা। ইউটিউব থাকায় এখন শখ হলেই সব শোনা যায়.. গভীর রাতে আরেকবার শুনতে কী দোষ?

Vincent এবং জোয়ানা ওয়্যাং



জোয়ানা ওয়্যাং যখন পৃথিবীর সেরা একটা গান নতুন করে গায় তখন কেমন জানি লাগে.. খুব খারাপও না, আবার ঠিক অরিজিনালটার মতোও না.. ভদ্রমহিলার সাথে কি নোরা জোন্সের মিল অনেক? কি জানি..

উইকিপিডিয়াতে জোয়ানা
Joanna Wang (Chinese: 王若琳, pinyin: Wáng Rùolín) is a Taiwanese singer-songwriter, daughter of famous music producer Ji-ping "Bing" Wang (王治平). Born in Taipei but raised in Los Angeles, Wang graduated from Gabrielino High School in 2006. Her debut album, Start From Here, was released in January 2008 as a double-disc set, one in English and the other in Chinese. The album reached #1 in Taiwan and has been popular throughout the Southeast Asian region. In June 2008, it was released in Japan.

শেষ পর্যন্ত Windows 7


আগে বাড়িতে কম্পিউটার ছিল ছয়টা, এখন একটা কমে পাঁচে ঠেকেছে। সবচে' ছোটটা লাগানো টিভির সাথে, যেন আরাম করে DivX ফরম্যাটে র‌্যাপিডশেয়ার থেকে নামানো সিনেমা দেথা যায়। এটাতে তেমন একটা সফ্টওয়্যার থাকার দরকার হয় না, ভালো কয়েকটা মিডিয়া প্লেয়ার আর পিকচার ভিউয়ার থাকলেই চলে। তো একদিন দেখি, সেই পিসি উল্টাপাল্টা আচরন করছে, ভাইরাস টাইরাস হবে। ঠিক করতে গিয়ে ভাবলাম উইন্ডোজ সেভেন চালিয়ে দেখলে কেমন হয়..। উইন্ডোজে সেভেন এখন ফ্রি ডাউনলোড করা যায়, মাইক্রোসফ্টের দাবী এটা নাকি বেশ দ্রুত গতির ও.এস.। এই দাবী কতোটা সত্য সেটা জানার জন্য আমার পিচকা পিসির চাইতে ভালো কিছু নাই, তাই কালকে রাতে ইনস্টল করেই ফেললাম। জিনিস দেখতে মনোহর এবং আসলেই দ্রুত!! আর ২০১০ এর জুলাই পর্যন্ত কপিটা লীগাল.. হে! হে! হে! ঠিকমতো চললে লাইসেন্স কিনে ফেলব, টিল দেন দেখা যাক এই খেলনা দিয়ে কেমন চালানো যায় কাজকর্ম...

Tuesday, June 9, 2009

বুম্‌বুবালিতে

She
মাশীদ আজকে নিয়ে গিয়েছিল খাওয়াতে, পুচং এর একটা রেস্তোরায়, নাম বুম্‌বুবালি। খেতে গিয়ে দেখি আলফ্রেড সাভারিয়াপ্পানের মেইল, নীচের আলফ্রেডকে লেখা রিচ পোর্টারের চিঠি। রিচ প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে আমাকে রাখার জন্য। আমি হতবাক হয়ে ভাবতে থাকি, এই লোকটা কেন এতোটা সহানুভূতি দেখাচ্ছে। কেএল-এ থাকার মৃদু সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। কিছুই বলা যায় না যদিও। স্পেনিশ শেখার বই কিনেছি। আপাতত অপেক্ষা আর ভাষা শেখা ছাড়া বিশেষ কিছু করার নেই.. :(

Monday, June 8, 2009

ছবি মেরামতে নয়েজ নিনজা!

ডিজিটাল ক্যামেরায় কম আলোতে ছবি তুলতে চাইলে শেষ ভরসা ISO বাড়িয়ে দেওয়া। মুস্কিল হল ছোট ক্যামেরায় ISO এর মান ৪০০ এর উপরে গেলেই ছবিতে দানাদানা নয়েজ চলে আসে (আর DSLR ক্যামেরায় এই সমস্যা হয় ISO ৮০০র উপরে গেলে)। নয়েজের কারনে ছবির মান পড়ে যায়, অন্যদিকে লোকে ভয়ে কম ISOতে ছবি তুলতে গিয়ে হাত কাঁপিয়ে ছবি ঝাপসা করে ফেলে। এরকম সমস্যা সমাধান করতে পিকচারকোড তৈরি করেছে নয়েজ নিনজা নামের একটা টুল। জিনিসটা ফোটোশপ প্লাগইন এবং স্ট্যান্ডঅ্যালোন দুটো সংস্করনেই আসে। কালকে ফোটোশপ প্লাগইনটা ব্যবহার করে মজা পেলাম বেশ কাজের জিনিস।

নীচের ছবিটাই বলে এটা ফল দেয় কেমন..


কম আলোতে ISO বাড়িয়ে দিয়ে ছবি তোলার মজাই এখন বেড়ে যাবে, নিঃসন্দেহে...

যারা ব্যবহার করতে চান খুঁজে দেখুন এখানে

Saturday, June 6, 2009

আমাদের PSPJ

আজকে ছিল এজিএম বা বার্ষিক সাধারন সভা। নতুন কমিটি নির্বাচিত হয় এইদিনে। আমি গেছি দেড় ঘন্টা পরে, নির্বাচন/কমিটি এসব নিয়ে আমার চাঞ্চল্য নাই, কাজের মানুষ কাজ করে, তার জন্য কমিটি লাগে না। তে-তারে সেশনের পরে হ্যাপি জানালো আমার এইচডিআর ছবি নিয়ে মহাগ্যাঞ্জাম চালাচ্ছে অ্যালবার্ট, এরা তাই পারলে পোস্টপ্রসেসিং পর্যন্ত বেআইনী ঘোষানা করে। বহুসময় নিয়ে বোঝালাম, কি বুঝল কে জানে। হ্যাপী অং এর ছবি দেখলে তার বোধবুদ্ধি নিয়ে বিশেষ কিছু আশা করা যায় না। সে এক পর্যায়ে অফার দিল একটা "টক" দিতে। আমার তো সমস্যা নাই, দেখা যাক এদের ইন্টারনাল পলিটিক্স কি বলে। সাফ বলে দিয়েছি, আমি, ক্লাবে যাই আউটিং-এ যাবার লোভে, পিএসপিজের কম্পিটিশন নিয়ে আমার চারআনার মাথাব্যথা নাই। এন্ড অফ দ্য ডে, ফোটোগ্রাফি ইজ ফর ফান..

কালকে পিলারের চিঠি পেয়েছি, যাচ্ছি মনে হয়। বেতন কতো সেটা এখনো অজানা। হোয়াট আ লাইফ.. :(

The curious case of Ripi & Shiva
কম্পিটিশনের জন্য জমা দেওয়া ছবি দেখানো হয় প্রজেক্টরে, একটা করে ছবি আসে, আর শীভা (বামে) তার সিরিয়াল উচ্চারন করে জোরে জোরে। আজকে ভিস্তায় একটা ঝামেলা হওয়াতে রিপি (ডানে) সাহায্য করতে এসেছে শীভাকে, মাঝপথে আমি ছবি তুলে নিলাম


Pigeon Boxes
এই ছবিটা তোলা কেএল ইন্টারন্যাশনাল হোটেল (এখানেই মিটিং হয় আমাদের) এর পাশের চিপাগলিতে, হোটেলটা একটা বেকায়দার জায়গায়, গেলেই কেমন আজিমপুর আজিমপুর মনে হতে থাকে..

Friday, June 5, 2009

বুসেফ্যালাসের ভয়

বুসেফ্যালাস (Bucefalus) নামের অর্থ হল বলদের মতো মাথা। যে ঘোড়া নিজের ছায়াকে ভয় পায় তার নাম বুসেফ্যালাস হলে কি খুব ভুল হয়? আলেক্জান্ডারের মতো একটা ঘোড়া থাকলে মন্দ হতো না..

Wednesday, June 3, 2009

সাদাকালো ছবি

লোকজনের সাদাকালো ছবি দেখে বহুবার চেষ্টা করেছি, কিন্তু সেরকম পাঞ্চি ইফেক্ট আসেনি আমারগুলোতে। শেষে সাদাকালোতে হাল ছেড়ে দিলাম। গতকাল নতুন কায়দায় আবার শুরু করলাম, শার্পনেস আর কনট্রাস্ট নিয়ে গুঁতানোর পর দেখা গেল মন্দ হচ্ছে না। ভাবছি সাদাকালোতেই ফিরে যাব নাকি..
Home (by Arup / অরূপ)

... (by Arup / অরূপ)

Pied Imperial Pigeon (by Arup / অরূপ)

Koel (by Arup / অরূপ)

Orchid (by Arup / অরূপ)

Monday, June 1, 2009

ফোটোশপে পোর্ট্রেট নিয়ে কেরামতি

পোর্ট্রেট ঠিকঠাক করা নিয়ে একটা ভিডিও টিউটোরিয়াল বানালাম। বায়ের ছবিটা অরিজিনাল আর ডানেরটা ঠিকঠাক করার পরে। চোখ আর ঠোঁটকে উজ্জ্বল ও শার্প করা, দাঁতগুলো মুক্তোর মতো করা, আর্টিফিসিয়ালি চারদিকে বোকে তৈরি করা, হালকা ডিফিউজ্‌ড ভাব আনা আর স্কিনের দাগ দূর করে কোমনীয়তা আনা যায় কিভাবে সেটাই দেখা যাবে টিউটোরিয়ালে।

(ক্লিক করে বড় মাপে না দেখলে টের পাওয়া যাবে না!)

পুরো টিউটোরিয়ালটা তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে Camtasia Studio 6.0, ধন্যবাদ এদের খুব সহজে mp4 ভিত্তিক ভিডিও ক্যাপচার ও এডিট করার মতো ফীচার উপহার দেবার জন্য।

এবার দেখা যাক তাহলে..

Saturday, May 30, 2009

Fawlty Towers (টিভি সিরিজ)

উইকএন্ড বলে র‌্যাপিডশেয়ারে একটু বেশী গুঁতাচ্ছি। পিকেট ফেন্সেস পাওয়াতে মনে পড়ল ফল্টি টাওয়ার্স এর কথা। ব্রিটিশ কমেডির তুলনা এমনিতেই পাওয়া মুস্কিল, তারপর উপরে সেটা যদি বিখ্যাত জন ক্লিজ এর কীর্তি হয়। জন ক্লিজের "মন্টি পাইথন" ভিত্তিক কমেডিগুলো হল অফ ফেমে স্থান পেয়েছে বহুদিন আগেই। সেরা সিনেমার মধ্যে আছে মন্টি পাইথন্‌স হোলি গ্রেইল, আ ফিশ কল্‌ড ওয়ান্ডাফিয়ার্স ক্রিচার্স । জেমস বন্ডের কিউ মারা যাবার পরে নতুন কিউ এর জায়গায় যাকে দেখা গেছে সেটাও এই ভদ্রলোকই।

তো এই জন ক্লিজের সবচে' মজার টিভি কমেডিগুলোর একটা হল ফল্টি টাওয়ার্স। এ সম্পর্কে বলা হচ্ছে,

John Cleese was inspired to write what became Fawlty Towers after he and the rest of the Monty Python team were staying at a hotel in Torquay called the Gleneagles (not to be confused with the world-famous Gleneagles Hotel in Perthshire) whilst filming Monty Python's Flying Circus TV series in the early 1970s. The “wonderfully rude” hotel owner (Donald Sinclair) endeared himself to the Monty Python team by throwing Eric Idle's briefcase out of the hotel “in case it contained a bomb,” complaining about Terry Gilliam's table manners, and chucking a bus timetable at another guest after the guest dared to ask the time of the next bus to town.

Little did this hotelier realise that John Cleese was making mental notes of all this madcap behaviour and he might well have seen himself a few years later on TV, transformed into Basil Fawlty—the most infamous British hotelier ever—broadcast to the British nation and ultimately most of the world! Donald Sinclair died in 1981, apparently he emigrated to Florida in the 1970s where he was once tracked down by a British newspaper after Cleese unfortunately named him in an interview. Mr Sinclair and his relatives have never been too happy about the way he has been portrayed! (সূত্র)

ফল্টি টাওয়ার্সের চরিত্রগুলো মধ্যে বেজ্‌ল ফল্টি আর মানুয়েলকে ভুলে যাওয়া খুব কঠিন, বিশেষত মানুয়েলের সেই ডায়ালগ, "I know nothing, I'm from Barcelona.."। মেজাজ ভালো করার একটা চমৎকার ঔষধ এই টিভিসিরিজ। সবগুলো এপিসোড নির্ঝঞ্ঝাটে পাওয়া যাবে এখান থেকে!

Friday, May 29, 2009

Picket Fences (টিভি সিরিজ)

আমি ডেভিড ই. কেলির ব্যাপক পাংখা। এই লোকের অমরকীর্তি গুলো কিছু হল, Picket Fences, Chicago Hope, The Practice, Ally McBeal, Boston Public, Boston Legal ইত্যাদি (এর মধ্যে বোস্টন লিগাল আমার দেখা সেরা টিভি সিরিজগুলোর একটা) ।

আমি ডেভিড ই. কেলির নাম প্রথম জানি পিকেট ফেন্সেস্ এর মাধ্যেমে। আজকে ভাবলাম র‌্যাপিডশেয়ার পাওয়া গেলে নামিয়ে ফেলি। কপাল ভালো পুরো চার সিজন এর সন্ধান আছে এইখানে। র‌্যাপিডশেয়ার থেকে এতো ফাইল নামানোর জন্য ভালো টুল হল Internet Download Manager। টাকা সমস্যা না হলে ১৬ ইউরো দিয়ে র‌্যাপিডশেয়ার এর প্রিমিয়াম একাউন্ট কিনে ফেল্‌লে নেটের পুরো স্পিডই পাওয়া যায় (আমি ১ মেগাবিটস্ এর কানেকশনে পাই ১৭০ কিলোবাইট/সেকেন্ড!!)


উইকএন্ডে দেখার জিনিসের অভাব হবে না বোঝা যাচ্ছে... জয় র‌্যাপিডশেয়ার!

Wednesday, May 27, 2009

ছবি মেরামতের কায়দা - ১

সেদিন মুস্তাফিজ ভাই এর ব্লগে দেখলাম সেঁজুতি আপার একটা ছবি। ভদ্রমহিলা ছবিটা তুলেছিলেন কুবার পিডি বলে একটা জায়গায়। খোলা প্রান্তরে পেঁজা তুলোর মতো জমে আছে মেঘ। ছবিটা অসম্ভব চমৎকার হলেও ক্যামেরার কল্যাণে সেই সৌন্দর্য মলিন হয়ে গেছে। দেখেই মনে হল ফ্লিকারে স্টেফানীর কথা। সেই মেয়েটাও চমৎকার সব ছবি তোলে কিন্তু পোস্ট প্রসেসিং/কারেকশন না করার জন্য বোঝাই যায় না তার চমৎকারিত্ব। আমার কাজ হবে আপনাদের দেখানো কিভাবে পিপি করে একটা ভালো ছবিকে তার স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনা যায়।

শুরুতে দেখা যাক সেঁজুতি আপার তোলা মূল ছবিটা..



ছবিটায় কম্পোজিশন ও কন্টেন্ট এককথায় চমৎকার! কিন্তু সামান্য কিছু কারিগরি সমস্যা আছে, যা ঠিক করলে পুরো ছবিটা প্রাণ ফিরে পেতে পারে..

এই ছবিটার সমস্যা গুলো আগে দেখা যাক। প্রথমেই বলতে হবে হোয়াইট ব্যালেন্স ঠিক নেই। "হোয়াইট ব্যালেন্স" মানে হল, সাদা কি সাদার মতো না অন্যকোন রং এর আভা পড়েছে। এজন্য ছবিতে সাদা কিছু খুঁজে বের করে খেয়াল করে দেখতে হয়। আমরা বরং সাদা মেঘই দেখি। একি! সাদা মেঘ কেন নীলচে? এটা ফোটুরের দোষ না। ক্যামেরার দেখার দুর্বলতা। আমাদের প্রথম কাজ হবে এটা ঠিক করা। দেখা যাক ধাপ গুলো..

১. ফোটোশপে ছবিটা ওপেন করুন
২. এবার Image > Adjustments > Auto Color (Auto Levelsও ব্যবহার করতে পারেন) এ ক্লিক করুন

এইবার দেখুন ছবি কী হাল হল!



ওস্তাদলোকেরা কাজটা অনেক সময় নিয়ে করে। সবার হাতে এতো সময় থাকে না বলে আমরা অটোকালার দিয়ে কাজটা করে ফেললাম। অন্যথায় খেলতে হতো কালার ব্যালেন্স নিয়ে।

এবার দেখা যাক পরবর্তী সমস্যা। হরাইজনের দিকে তাকান, কেমন বেঁকে গেছে বাঁয়ে। এমন তো বাঁকতেই পারে। কিন্তু সোজা করা যখন খুবই সহজ তখন আমরা কেন বসে থাকবো?

১. Photoshop-এ Image >Rotate Canvas > Arbitraryতে ক্লিক করুন
২. এখন ছবিটাকে ঘড়ির কাঁটার দিকে (Clockwise বা CW) ঘুরাতে হবে সামান্য। আমরা Angle এর ঘরে 0.7 বসিয়ে CW সিলেক্ট করে OK বোতাম ক্লিক করবো। এই ০.৭ ডিগ্রি কোন ম্যাজিক নাম্বার নয়। কয়েকবার চেষ্টা করার পর দেখেছি এটাই যথার্থ সংখ্যা। এই পরিমান কোন ছবিটাকে ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘোরালে ছবির দিগন্ত সম্পূর্ন আনুভূমিক হবে।

দেখুন ফল এখানে...



ছবিটাকে ঘোরানোর জন্য চারদিকে কিছু খালি জায়গা তৈরি হয়ে। তাই আমরা ক্রপ করে ছবিটাকে ছেঁটে নেব। ক্রপ করার জন্য মনমত ছবিটার কোন অংশকে সিলেক্ট করে নিতে হবে। তারপর Image > Crop-এ ক্লিক করলেই হবে।

বৈচিত্র্য ও উদাহরনের স্বার্থে আমরা লম্বালম্বিভাবে ক্রপ করলাম, যদিও মূল ছবিতে কোন সমস্যা ছিল না।
দেখুন এখানে..


এবার চেষ্টা করা যাক ছবিটাকে ঝকমকে করার। লক্ষ্য করুন ছবিটায় কনট্রাস্ট কম। মানে আলোছায়ার ব্যবধান কম বলে কেমন মলিন। ফোটুরের দোষ না, দোষ সেন্সরের। আমরা একটা মজার পদ্ধতি প্রয়োগ করবো। একে সম্ভবত বলে ডাইনামিক রেন্জ ইনক্রিমেন্ট বা ডিআরআই। এর মানে কি সেটা ব্যাখ্যা না করে ছবির ঠিক করা যায় কেমন করে সেটা দেখা যাক। আমার ছবিটার আকাশ আর মাটিকে দুভাগ করে নেব। আকাশের অন্ধকার আর উজ্জ্বল অংশের কন্ট্রাস্ট বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দেব আর মাটির ঔজ্জ্বল্য সামান্য বাড়াবো। এই কাজটা একসাথে করলে যেকোন একটা অংশ খারাপ দেখাতো। আলাদা করে করায় দুটো অংশকেই সমানভাবে ঠিক করা যাবে।

এজন্য ফোটোশপে ছবিটার লেয়ারকে কপি করে একই রকম আরেকটা লেয়ার বানাই (ডুপ্লিকেট লেয়ার)।
উপরের লেয়ারের নাম হবে SKY, নীচেরটার নাম GROUND



এবার স্কাই লেয়ারে গিয়ে ইরেজার টুল দিয়ে মাটির অংশটা মুছে দিন। দেখতে নীচের মতো লাগবে



এবার Image > Adjustment >Levels-এ যান। হিস্টোগ্রামের বাঁদিক অন্ধকার অংশ ও ডানদিকে উজ্জ্বল অংশ নির্দেশ করে। হিস্টোগ্রামে দেখা যাচ্ছে আকাশে অন্ধকার কম আছে। ফলে আকাশটা কেমন মলিন হয়ে আছে।


আমরা অন্ধকারের পরিমান বাড়িয়ে দেব, এজন্য হিস্টোগ্রামের বাঁয়ে কালো ত্রিভুজটা টেনে লাল বিন্দু পর্যন্ত নিয়ে আসতে হবে।

এটা হল পরিবর্তিত হিস্টোগ্রাম। লক্ষ্য করুন ডানের সাদা ত্রিভুজকেও একটু বামে আনা হয়ে যেন সাদা মেঘ আরেকটু সাদা হয়। এবার OK ক্লিক করুন।


পরিবর্তনটা দেখুন এখানে

এবার আমরা যাব গ্রাউন্ড লেয়ারে। এখানে বেশী কিছু করার দরকার নেই, একটু ব্রাইটনেস বাড়ালেই হবে। এজন্য Image > Adjustment > Brightness & Contrast-এ গিয়ে ব্রাইটনেস ভ্যালু +৮০ ও কন্ট্রাস্ট ভ্যালু +৪০ করে দিয়ে OK ক্লিক করুন। এবার দুটো লেয়ারেই অটোকালার মেরে দিন একবার করে (শর্টকাট, কাজ না হলে কালার ব্যালেন্সে হাত দিতে হবে)। তারপর লেয়ার দুটো মার্জ করে দিন। তারপর একটা Image > Adjustments > Auto Levels প্রয়োগ করুন।

এইবার দেখুন ফলাফল (ক্লিক করলে বড় হবে!)




আর এটা মূল ছবি




এই হল শর্টকাটে ছবিকে প্রাণবন্ত করার কায়দা!!



আসলে আমরা সবাই ভালো ছবি তুলি, শুধু দরকার একটু ঘষেমেজে নেওয়া। সেঁজুতি আপাকে ধন্যবাদ এই টিউটোরিয়ালে ছবি দিতে রাজী হওয়ায়। কি চমৎকার সব ছবিই না লুকিয়ে থাকে আমাদের কাছে..