Sunday, July 26, 2015

"জীবন আসলে বাঁধা পাকস্থলীতে"

বহুদিন ধরে ভাবি লিখবো-টিখবো, সেটা আর হয়না শেষমেষ। আজকে খানিকটা জোর করেই বসা। লেখালেখি করে কিস্সু হয়না। মনটা খানিকটা হালকা হয়, তাই লিখতে ইচ্ছা করে। আমার লেখায় বিপ্লবও নাই, সাহিত্যও নাই। এইটা পুরোই ভাত খেলাম, ছবি দেখলাম মাকর্া ভ্যানভ্যানানি।আপাতত এইটুকু ডিসক্লেইমার দিয়া আবার শুরু করা যাক..

ঢাকা ঘুরে এসেছি কদিন আগে, এটা আমার সম্ভবত সবচে' ব্যয়বহুল ঢাকাযাত্রা। একে মালিন্দোর টিকিট কেটেছি বেশী দিয়ে, তার উপরে বউ-বাচ্চা-মেইডের খরচ! হজম করা যেত, কিন্তু বাধ সাধলো ছুটি, সাতটা মাত্রদিন। এখন তো মরতেও সাতদিনের বেশী লাগে।

রাত দুটোয় ফ্লাইট ছিল বলে, বাড়িতে ঝামেলা কমাতে কল দিলাম এক রেন্ট-এ-কার কাম টুর অপারেটরের নাম্বারে। ভদ্রলোক পূর্ণ পেশাদারিত্বের সাথে ঠিক সময়ে নামফলক নিয়ে হাজির। নিজের প্রেমিও গাড়ি, আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। তবে গচ্চা গেল ৫০ ডলার। ৫০ ডলারে সারাদিনের জন্য গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায় ঢাকায়। যাই হোক, এই রকম দুএকজনের সাথে খাতির হওয়া ভালো, কবে না কি বিপদে পড়ে দেশে ফিরতে হয় কে জানে.. :(

ঢাকায় আমার গন্তব্য আগোরা আর নিউমাকর্েট। এছাড়া আর বিশেষ কোথাও যাওয়া হয়না। ঢাকার সাথে সম্পকর্ ফিকে হয়ে গেছে, মায়ের রান্না খেয়ে, বেলা করে ঘুমিয়ে আর টিভি দেখেই আমার ছুটি গুলো যায়। তবে এখন যোগ হয়ে পুত্র। তাকে নিয়ে বের হলাম, ঘরে থেকে থেকে সেও খানিকটা অস্থির। এখানে আমি পারতপক্ষে কেএফসিতে যাই না, ঢাকায় গেলাম, কারনে সেখানে খেলার জায়গা আছে। কপাল! ঈদের পর দিন গিয়ে পড়লাম বিপদে। তিলধারনের জায়গা নেই, হেলভিশয়াতেও একই কাহিনী। রাইফেলস‌ স্কয়ারে শত শত মানুষ। ঢাকার মানুষ কতোটা অসহায় সেটা টের পেলাম হাড়ে হাড়ে।

এই পর্যন্ত লিখে হঠাৎ লেখার ইচ্ছাটা উবে গেল।
ছেলেটার কথা মনে পড়ছে, আমাকে যাবার সময় বলেছে, "বাবা তুমি একটু যাবে না"..
লেখা আগায় না জুবায়ের ভাই, আমি কি আর লেখার মানুষ.. :(