Tuesday, March 31, 2009
DCIM 2009 এর আরো কিছু ছবি
ফোটোশিকারী না ক্ষুধার্ত নেকড়ের দল? (ছবিঃ জেরাল্ড লিম)
আমার তোলা ছবি দেখা যাক এবার...
রাতের পোষাকে জিয়ি শেন
নিকনের হাইএন্ড DSLR Nikon D3 হাতে জনৈকা রুশকি মডেল
ভেলোসিটি এন্জেলস প্রতিযোগিতার মডেলরা
দেখ দেখ দেখরে ঠ্যাং এর বাহার
হুমম..
Sunday, March 29, 2009
DCIM 2009 এর গল্প
যাই হোক, খাজনার চেয়ে বাজনা বেশী হয়ে যাচ্ছে। Digital Camera নামে একটা বিদেশী ম্যাগাজিনের লোকাল এডিশন পাওয়া যায়। সস্তা বলে এখন ওটাই কিনি। তো সেটায় দেখি মার্চে DCIM বলে একটা ইভেন্ট হবে।
এদের ওয়েবসাইটে গিয়ে জানলাম তুঘলকি কান্ড হতে চলেছে। ক্যামেরা, গ্যাজেটস, সেমিনার, ফ্যাশনশো এসব করে তারা মাত করে দেবে সবাইকে। ওয়েবসাইটে অনুসারে,
The Digital Camera, Imaging and Media Show 2009 (DCIM Show 2009) aims to bring together the various components that make up the photography and imaging industry in Malaysia i.e. manufacturers, vendors, retailers, labs and more importantly, the hobbyists and professionals.
Organised by Velocity Media Sdn Bhd (Velocity Media), publisher of Malaysia’s premier digital photography magazine – Digital Camera Magazine – the event will showcase the latest innovations and products in the world of photography. Velocity Media also publishes the top lifestyle-gadget magazine T3 Malaysia, the foremost gaming magazine PC Gamer Malaysia and the authoritative IT magazine Max IT.
....The main objective of DCIM Show is to be recognised as the foremost photography and imaging event in the region, placing Malaysia in the world map of photography.
তো এরকম একটা ইভেন্টে না গিয়ে থাকা যায় না। শুক্রবার (২৭মার্চ) আধাবেলা অফিস করেই চলে গেলাম মিডভ্যালী মেগামলের একজিবিশন সেন্টারে। গিয়েই প্রথম ধাক্কা। ক্যানন, নিকন, ইপসন ছাড়া আর ৫/৬টা বুথ। কোন অফার নেই, নেই ভালো জিনিসপত্র! এমন সময় দেখি ভীড় জমছে স্টেজের কাছে, মডেলরা আসবে। এবারেও ৭০-৩০০ নিয়ে এসেছি, সাথে স্পিডলাইট আর নতুন কেনা ১৫মিমি ফিশআই। ভীড়ের চোটে এবারেও সুবিধা করতে পারলাম না। এমন অবস্থায় দেখি লোকজন ছোট ছোট মই সাথে এনেছে, যেটায় চড়ে ভীড় এড়িয়ে ছবি তোলা যাবে। মনে মনে বলি, তোমাদের লাল সালাম। আমি পেশাদার হলেও মইটানার কাম করতে রাজী না। যাইহোক, ভীড়ে হালকা গুঁতা দিতেই দেখি সামনে এগিয়ে গেলাম, কিন্তু ডানে-বামে এতো লোকে ছবি তুলছে যে পরিস্কার ভিউ পাওয়া যাচ্ছে না। এমন সময় বুদ্ধি এল একটা। কর্ডন বেল্টের নীচে সবার পায়ে কাছে বসে পড়লাম, তারপর একদম সীমানার ভেতরে। যেহেতু বসে আছি, তাই আয়োজকরা আর ভ্যাজাল করল না, আমারও সামনে পরিস্কার ভিউ। শুরু হল ছবি তোলা। শখ করে স্পিডলাইট লাগিয়ে ছিলাম, কিছুক্ষন পর খুলে ফেলতে হল, এতো ওজন নিতে পারছে না হাত। ISO হাকিয়ে দিয়ে তুলে গেলাম। মডেলগুলো এমেচার মডেল, বেসিকালি এরা এসেছে একটা কনটেস্টে। ইভেন্টের শেষ একজন জয়ী হয়ে মালপানি কামানোর সুযোগ পাবে। মডেল এমেচার হওয়াতে পোজ ঠিকমতো আসছিল না কারোই। কিম্বারলি আর জেয়ির চেহারাসুরৎ ভালো ছিল, কিন্তু মেয়েগুলো নড়াচড়াই শিখে নাই। কি আর করা!!!
শুটিং শেষে হিসাব করে দেকি ছবি উঠিয়েছি আটশোর উপরে, ফোর্টি ডি বলে কথা (বাড়ি ফিরে দেখি ৯০% এরই ফোকাস ভুল!!!)। ঢু মারা শুরু করি বুথ থেকে বুথে। ৮জিবি কিঙস্টোন সিএফ কার্ড বহুদিন আগে কিনেছি ৬৯ এ, এখানে দেখি ৮০র মতো! ক্যাননে গিয়ে দেখি তারা আরেকপ্রস্থ দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ৩৫মিম ১.৪ এল ছয় হাজারের উপরে চলে গেছে!!! হঠাৎ দেখি এক কোনায় একটা ফাইভডি মার্ক টু শিকল দিয়ে বাঁধা। চান্স পেয়ে হাতালাম কিছুক্ষন, ছবিও তুললাম কন্টিনিউয়াস মোডে। ISO 6400তে বেশ ভালো ছবি আসে, পয়সা হলে কেনা যেতে পারে। তবে এই পয়সা আদৌ হবে কিনা সেইটাই ভাববার বিষয়। পাশে সিড়ি দেখে উপরে উঠে গেলাম। সেখানে একটা ৪০০মিমি ২.৮ আইএস লেন্স বসানো আছে। যে কেউ নিজের বডি লাগিয়ে ছবি নিতে পারে। ৪০০মিমি ২.৮ একটা দানব। ইদানিং আমার টেলিপ্রীতি কমে গেছে। তাই নীচে ফিরে গেলাম। নীচে ফিরে গিয়ে ক্লান্ত লাগা শুরু হল, ফোটোশুট ছাড়া এই শো এর আর কোন আকর্ষন নেই। সেমিনার আছে পরের দিন। ঠিক করলাম আবার আসবো, সকালে একটা মডেলশুট আছে। শুটিং সেরে সেমিনারে বসে দেখব কি বলে ছাগলগুলো।
বাড়ি এসে ফ্লিকারে ছবি আপলোড করতে বসলাম। দুয়েকটা ছবি কিঞ্চিত দুঃসাহসী ছিল, কিন্তু অশ্লীল বলা যাবে না মনে হয়। "শুধুই বাংলা" নামের গ্রুপের মডারেটর জানালেন যে গ্রুপে যেহেতু শিশুরাও আসে তাই এদুটো ছবি সরিয়ে দিতে হচ্ছে। আমি মনে মনে হেসে বললাম, "আচ্ছা"। এই প্রথম ফ্লিকারে আমার হিট কাউন্ট হুহু করে বাড়তে লাগলো। খুব আনন্দিত হবার কিছু নাই, স্বল্পবসনা মেয়ে দেখে লোকে লাফিয়ে পড়েবে সেটাই স্বাভাবিক..
নীচের দুটিই সেই বিখ্যাত ঝামেলাদায়ক ছবি!
শনিবার ঠিক একই কায়দায় জায়গা মতো বসে গেলাম। এবারে আগেরবারে ভুলগুলি কম হল, কিন্তু পজিশন আলাদা বলে আগের ব্যাকড্রপ পেলাম না। ফলে ব্যাকগ্রাউন্ডে প্রচুর হাবিজাবি জিনিস চলে এল। দেড় ঘন্টা শুট করে অবস্থা "চ্রমখ্রাপ" হয়ে গেল। পাশের স্টলে অর্গানিক প্যাশন ফ্রুট জুস আর টারমারিক নাসি লেমাক বিক্রি করছিল। দশ রিংগিত দিয়ে সেটা খেয়েই রিফুয়েলড হলাম। খেতে গিয়ে ক্যাননের সেমিনারটা মিস হল। অবশ্য জুঙ যেই সেমিনারের বক্তা সেটা মিস করার না করার মধ্যে ফারাক কম। ঘন্টা খানেক পরে ওয়াকমের রিটাচিঙ এর সেমিনারে গেলাম। বক্তা ওস্তাদলোক, ভালো জ্ঞান হল। এই সেমিনার শেষে আবার ঢুকলাম জিমি খু এর ট্রাভেল ফোটোগ্রাফির সেমিনারে। ভদ্রলোক আর্ট ডিরেকশন ছেড়ে ফোটোগ্রাফিতে ঢুকেছিলেন, বহু স্ট্রাগল করে ফাইনালি একটা ক্যারিয়ার করেছেন। এর ছবি এখন বড় বড় ট্র্যাভেল ম্যাগাজিনের সম্পদ। জিমির সাথে গল্প হল নানা বিষয় নিয়ে। বিশেষত অচেনা জায়গায় জনমানুষের ছবি তোলার জটিলতা নিয়ে।
জিমি, তার ভারতে তোলা ছবির সামনে
সেমিনার শেষে দেখি সারা গা ব্যথা। ক্যামেরার স্ট্র্যাপ কেটে বসে যাচ্ছে গলায়। তখন চোখে পড়ল ফ্লেক্সিরাবারের স্ট্র্যাপ (Matin ব্র্যান্ড) । ৩৫ রিংগিত দিয়ে কিনে সাথে সাথে লাগালাম ক্যামেরায়। জিনিসটা কাজের। রাবারি ম্যাটেরিয়ালের বলে দৌড়ঝাপ করলেও কেটে বসে না। অনেকদিন পর ক্যামেরা নিয়ে ঘুরতে আরাম হল।
বাড়ি ফিরে দেখি এবার ছবি তুলেছি নয়শোরও বেশী! এবারে ফোকাস জনিত সমস্যা হয়নি। শার্পনেস বেশ ভালো, কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডের জন্যই মার খেয়ে গেল বহুছবি। যাই হোক, ফ্লিকারে আপলোড করে ভালোই লাগছে, শুটিং মন্দ হয়নি, অন্তত আমার গরীবানা যন্ত্রপাতির কথা মাথায় রাখলে তাই মনে হওয়া উচিত ;)
Thursday, March 26, 2009
পাবলোর খেলা
তিনমাস ছিলাম। অফিস বাদে বাকিটা সময় হয় নেটে নাহয় হেটে হেটে কাটতো আমার। আমার বাঁধা পারডিয়েম, আমেরিকা যাব ভাইটাকে দেখতে, তাতে খরচ আছে, আছে ভবিষ্যতের ভাবনা - এসব ভেবে ভেবে পয়সা খরচ করিনা, কেউ বলে নায়াগ্রা দেখতে, কেউ ডাকে "টরোন্টো চলে আয়" বলে। আমি কিছু বলি না, মুচকি হাসি। এই কার্পণ্যের দুর্দিনে আবিষ্কার করলাম সেন্ট ক্যাথরিনের ঐশ্বর্য, রাস্তা তো নয়, না-ঘুমানো জীবন্ত এক মিউজিয়াম। এ মাথা থেকে ও মাথা হাটি, আর দেখি, কখনো ফ্রাঙ্কোফনি কনসার্টে উদোম হয়ে গাইতে থাকা শিল্পীদের, কখনও এলজিবিটি (লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সভেস্টাইট) ফেস্টিভ্যাল, কখনওবা কয়েন চাইতে আসা সেই মেয়েটা। মানুষ পরম আগ্রহে দেশ দেখে, আমি দেখি প্রতিদিনের চেনা সেই রাস্তাটা
এরকম করতে করতে একদিন দেখা হল পাবলোর সাথে। এই রাস্তায় নানা জাতের পাগল বসে, তাই দাবার বোর্ড সাজিয়ে বসে থাকা এই ক্যারিবিয়কে দেখে যে প্রথমটা যে খুব অবাক হয়েছিলাম তা নয়। চোখে চোখ পড়তেই হাত দিয়ে একটা ইশারা করলো সে যার অর্থ "খেলে যান একদান"। দাবা খেলা জিনিসটা আমার রক্তে নেই। যে রাস্তায় এক ডজন স্ট্রিপ ক্লাব সেখানে আর যাই হোক দাবা খেলাটা বুদ্ধিমানের কাজ না। পাত্তা দিলাম না। ছেলেটার অবশ্য আমার পাত্তাপাত্তি নিয়ে খুব একটা আগ্রহ নেই, পুরোনো ব্যাটারী দিয়ে একটা কাগজ রাস্তায় বিছাতেই ব্যস্ত সে।
কমলা হলুদ কাগজে মার্কার দিয়ে লেখা একটা পোস্টার
কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করি নাম কি তোমার?
"পাবলো".. সংক্ষিপ্ত উত্তর তার।
বাবা মরছে ক্যান্সারে। বহুদিন দেখা হয়না। মরবার আগে কি একটুও দেখা হবে না। পাবলোর কাছে চারশো আশি ডলার নেই যে জ্যামাইকা ফিরে যাবে। হাল ছাড়েনি। তিন মিনিটের স্পীড চেস খেলার আনন্দ বিক্রী করতে বসেছে সে। বিনিময়ে দুটো পয়সা।
ততোক্ষনে ভীড় জমেছে । একজন দুজন করে খেলতে বসছে পাবলো সাথে। কয়েন আর ডলারের নোটও জমছে ধীরে ধীরে। তিন মিনিটের আগেই কুপোকাত হয়ে উঠে যাচ্ছে সবাই, যদিও মুখে হাসি।
হাসি ছিলো না পাবলোর মুখে, দাবার খেলায় জিতলেও জীবনের খেলায় সে জিতবে কিভাবে? এই উত্তরটা পাবলো কিংবা আমি কেউই সেদিন জানতাম না।
(পুরোনো লেখা, ব্লগস্পটে রিপোস্ট করলাম)
একজন কিথ ওলবারম্যান..
শাট দা হেল আপ মিস্টার বুশ
এন্ড অফ অ্যামেরিকা
মিস্টার বুশ ইউ আর আ ফ্যাশিস্ট!
অন উইকিপিডিয়া!!
Monday, March 23, 2009
মাকসুদ থেকে মিলা..
গান শুনে ঠিক কি হয় সেটা বুঝতে বুঝতে আমার অগ্রজ মিউজিক সিস্টেম কিনে তাতে এটা সেটা বাজাতে লাগলো সারাদিন। কোন একটা কারনে তাতে বাংলাগান চলতো না একেবারেই। মেজমামার বিষয়টা পছন্দ ছিল না, একবার আমি ওয়াকম্যানে গান শুনতে গিয়ে হালকা ধমক খেলাম। হেদায়েত করা হল, এসব শোনা নাকি ঠিক না, আমার শোনা উচিত রবীন্দ্রনাথের গান, নজরুলের গান।
ক্লাস সেভেনে যখন উঠলাম, তখন শরীরের ভেতরে ভাঙ্গাগড়া শুরু হয়ে গেছে। প্রেম-ভালোবাসা-যৌনতা এসব মনে প্রায়ই উঁকি দেয়। ঠিক এরকম সময়ে (১৯৯১) বাংলাদেশে ব্যান্ড মিউজিকের প্লাবন শুরু হল। সে একটা সময় বটে! দুদিন পরপর একটা করে ব্যান্ড তৈরি হয়। দুই পাতা গিটার শিখে পোলাপান বেসুরোবেতাল গলায় যাখুশি গাইতে থাকে, আর আমরাও গভীর আগ্রহে তার প্রত্যেকটা শুনি। প্লাবনের কাজই ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া, আর তাতে যদি গা ভাসাতেই লোকে বিপুল উৎসাহে অপেক্ষা করে তাহলে ফল হয় আকাশপাতাল কাঁপানো! এর আগে পপ মিউজিক বলতে আমার ধারনা আটকে ছিল জিঙ্গা গোষ্ঠী, আজম খান, ফিরোজ শাই আর ফেরদৌস ওয়াহিদের গানে। জিঙ্গা গোষ্ঠীর ভদ্রমহিলার শ্লীল নাচের সাথে গান রীতিমতো "হটস্টাফ", যদিও তারা বহু আগেই গানাবাজনা থামিয়ে দিয়ে কোথায় যেন গায়েব হয়ে গেছেন।
এরকমই একটা দিনে আমি প্রথম শুনলাম "মেলায় যাইরে"। বাংলাদেশে যা হয়, একটা কিছু পপুলার হলে সেটা বাজে দুনিয়া জুড়ে, টুয়েন্টিফোরসেভেন। ঢাকার কাক-কোকিল-কবতুরও তখন মেলায় যাইরে শুনে ফেলেছে। শোনেনি কেবল আমার মতো কিছু লক্ষীছেলে। একদিন দেখি স্কুলে আসিফ (এখন বিস্তর টাকাওয়ালা চামড়ার ব্যবসায়ী) একটা ক্যাসেট নিয়ে ঘুরঘুর করছে। আসিফ দিলদরিয়া মানুষ ছিল, চাইলে না করতো না। ক্যাসেট পেয়ে আমি লাফাতে লাফাতে বাড়ি ফিরি। তারপর দুপুর বেলা মায়ের টেপরেকর্ডারে দিলাম চালিয়ে। সে এক বিস্ফোরন বটে! গানের কথা বোঝার বয়স হয়নি, সুরতাল জানি না। কিন্তু আমার চরম উত্তেজনা, নিষিদ্ধফলের স্বাদ মনে হয় এরকমই হয়। পপ মিউজিকের হয়তো এটাই ক্ষমতা। নেশা ধরে যায়। ফিউব্যাকের টেপটা শুনতে শুনতে ছাল উঠে যায়। ভাইকে গিয়ে বলি ডুপ্লিকেট করে দিতে। মন্দ কপাল। হঠাৎই তার নীতিবোধ উথলে ওঠে, বাবার কাছে নালিশ যায় অপু "তার বুকের আলিঙ্গনে" শোনে! এসব শুনে আমার বাবার ক্যাসেটটা ছুড়ে কুয়াকাটায় ফেলে দেবার কথা ছিল। তিনি ধমকে দিলেন ঠিকই, কিন্তু নিষেধাজ্ঞা জারি হল না। আমি বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের একনিষ্ঠ ভক্ত হয়ে গেলাম, বিশেষত মাকসুদুল হকের ডাই হার্ড পাংখা। হাজারো ট্র্যাশি গানের মাঝে আমি ফিডব্যাক শুনি, বাচ্চুর এলআরবি শুনি, মাঝেমধ্যে মাইলস্। এইসব শুনতে শুনতে বড় হলাম। এখন কান অনেক পেকেছে, শোঁপা, আলি আকবার থেকে সস্তা হিন্দীগানও। নজরুল শুনি না, কিন্তু প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি রবীন্দ্রনাথের গান, শুনি মিলা, হাবিব, ফুয়াদ, শিরিন, কণার গান। আমার সৌভাগ্য বড় উদার কান আমার।
ইদানিং প্রায়ই মারপিট চলে কে ফালতু/কে ক্লাসি/কে নিয়মমেনে গান করে - এইসব নিয়ে। এতো বাক্যব্যয়ের কি দরকাররে বাবা! আমি শুনি, ভালো লাগে বলে শুনি। ক্যাকোফোনি আর গানের পার্থক্যাটা ধরতে পারলেই তো হয়? না কি আর কিছু লাগে? এসব ক্লান্তিকর বিতর্কে যেতে ইচ্ছা করে না। একটা গান ছিল "গান ভালোবেসে গান"। আমি বলি গান ভালোবেসে শোন!
এই হল মাকসুদ!
মালাক্কায়..
মালাক্কার বাবাননিয়া বলে আলাদা একটা কৃষ্টি আছে। চীনেরা যখন মালাক্কায় এসে স্থানীয়দের বিয়ে করে থিতু হয় তখন তাদের বংশধরেরা এক সংকর কৃষ্টির জন্ম দেয়, যা কিনা পরে বাবাননিয়া নামে পরিচিত। ননিয়া খাবারের খ্যাতি পুরো মালেশিয়া জুড়ে। দ্বিমত করার সুযোগ নেই। এবার গিয়ে সুযোগ হয়েছিল সেরা রেঁস্তরাটায় যাবার, নাম রেস্তোরান ফামোসা। রেস্তোরান ফামোসার প্রধান খ্যাতি চিকেনরাইস বলের জন্য। আমরা যখন হাজির হলাম তখন বিশাল রেস্তোরা গিজগিজ করছে কাস্টমারে। কোনমতে একটা জায়গা দখল করে চিকেন রাইসের সাথে একটা আসাম ফিশ বলে দিলাম, সাথে চিকেন রাইস বল। খাবার চমৎকার ছিল, শুধু চমৎকারই না, কিঞ্চিত ভিন্ন ঘরানারও। তিনজনে পরম তৃপ্তিতে খেয়ে বের হলাম।
রেস্তোরাটার ইন্টিরিয়র সজ্জা ছিল দেখার মতো, খাবার সুযোগ না থাকলে অন্তত দেখার জন্য এখানে ঢুঁ মারতেই হবে।
ফামোসা রেস্তোরা
রেস্তোরার ভেতরে
মালাক্কার রাস্তা
পাহাড়চুড়ায় সেন্ট পলের গীর্জা
Sunday, March 22, 2009
মাইন্স সরোবরে
সাতাশ রিঙ্গিত দিলে এই লেকে নৌকা চেপে চল্লিশ মিনিট ঘোরা যায়। অতিথি সেবার কারনে সেদিন যেতে হল, সন্ধ্যায়। মাইন্স মল থেকে নৌকা ছাড়ে। লেক আসলে দুটো, দুটোর পানির আবার দুই উচ্চতা। তাই প্রথমে নৌকা যায় ওয়াটার লকে। ওয়াটার লকে ঢোকার পর মিনিট সাতেক লাগে পানি নামতে। পানামা কানালেও নাকি এমন করেই জাহাজ পার হয়। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার!
নৌকার কাপ্তান আমাদের এক ফাঁকে প্যালেস অফ গোল্ডেন হর্সেস দেখিয়ে আনলেন। দাবী করা হয় এটা নাকি সিক্স স্টার হোটেল। প্যালেস বললে ভুল হয় না। বেশ কবার গিয়েছি, পানাহারও চলেছে, কিন্তু ছয় তারকার ঘটনাটা স্পষ্ট হয়নি। কে জানে কি মার্কেটিং স্ট্যাটেজির চাল এটা!
নৌবিহারের নৌকা!
ওয়াটার লক
প্যালেস অফ গোল্ডেন হর্সেস
মাইন্স প্যানোরামা
কাদার শহর (১)
আজকে কেএল গ্লোবাল সিটি হলেও, মালায়াতে শহর হিসেবে এর খুব বড় ভূমিকা ছিল না। প্রত্যেক প্রদেশের রাজধানী ছিল। আর জমজমাট শহর হিসেবে সিঙ্গাপুর আর পিনাঙ অনেক বেশী পরিচিত ছিল তখন। ১৮৯৬ সালে কেএল ফেডারেটেড মালায়ার রাজধানী হবার পর থেকে ইতিহাসে এর স্থানটা পোক্ত হওয়া শুরু করে। তাই কেএল এ এসে ইতিহাসের খোঁজ করতে গেলে হতাশ হবার সুযোগটা থেকেই যায়।
সেদিন খেয়াল করলাম পুরোনো কুয়ালা লুমপুরে সামান্য কিছু অংশ এখনও অবশিষ্ট আছে পুডুর দিকে। তাই কাল ক্যামেরা নিয়ে বের হলাম, মারদেকা স্কয়ার আর পুডু এলাকার ছবি তোলা। মারদেকা স্কোয়ারে ব্রিটিশ প্রশাসনিক দপ্তর থাকায় দু'তিনটে বাড়ি এখনও আছে। আর পুডুর দিকে (পেটালিং স্ট্রিট বলাই ভালো) আছে পুরোনো শপহাউস কিছু। খুব ভালো ছবি কিছু হয়নি, কিন্তু এলাকাটা এক্সপ্লোর করা গেছে। আর ক'বার গেলে ভালো কিছু তোলা যেতে পারে।
মারদেকা স্কয়ারের HDR
তুন এইচ. এস. লী স্ট্রিট
নতুন কেএল
Saturday, March 21, 2009
শোপাঁর নকটার্ন Op. 9 No. 2
ক্যামেরন হাইল্যান্ডের চা বাগান
আরেকটা সোনালী সূর্যাস্ত
Friday, March 20, 2009
Raw ইমেজ থেকে সুডো HDR
Thursday, March 19, 2009
ফোটোব্লগ সংকলন "প্রতিদিনের গল্প"
যাই হোক, শেষমেষ বইটা দেখতেপড়তে মন্দ হয়নি, থ্যাংক্স টু নজমুল আলবাব। তিনি লেখা আর গেটআপ না দেখে দিলে আমারও বড় সংকোচ হতো..
ডাউনলোড লিংক
পুনশ্চঃ অ্যাডোবি অ্যাক্রোব্যাট ছাড়া বই করা সম্ভব হচ্ছিল না, খোঁজ দেবার জন্য অমিত আহমদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা
লোকমানের বাইসাইকেল
লোকমানের গল্প শুনি হুমায়ূন আহমেদের "পাখি আমার একলা পাখি" পড়তে গিয়ে। উপন্যাসটা যে খুব ভালো ছিল তা নয়, কিন্তু লোকমানের বাইসাইকেল আর রূপার ফর্সা পা মাথায় ঢুকে গেল। সফিকের উপন্যাসের নায়ক লোকমান। রাতবিরেতে সে সাইকেল নিয়ে বের হয়ে যায়। প্রিয় সাইকেলের সাথে চলে তার নানা দার্শনিক আলোচনা। লোকমান জানতে চায়, "পথের শেষ কোথায়?"
টুনটুন ঘন্টা বাজিয়ে সাইকেল জবাব দেয়, "পথের শুরুতেই তার সমাপ্তি"।
আমার বাইসাইকেল নাই। বারোশ' সিসির প্রোটোন স্যাভি নীরবে চলতে থাকে মসৃন হাইওয়ে ধরে। স্টিয়ারিং ধরে আমার ভীষন লোকমান হতে ইচ্ছা করে। সামনে দিনকাল খারাপ, গাড়িটা বেচে দিতে হবে তাড়াতাড়ি..
প্রতিদিন ঘরে ফেরার আগে একবার তাকাই আমার "সাইকেল"টার দিকে
কতো অর্থহীন বিষয়ের জন্যই না আমরা ভালোবাসা পুষে রাখি..
Tuesday, March 17, 2009
HDR নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট
হাত ভাঙ্গা সেন্ট জেভিয়ারের মূর্তি, তোলা মালাক্কার সেন্ট পলস্ চার্চে (১৫/০৩/০৯)