
ফোটোশিকারী না ক্ষুধার্ত নেকড়ের দল? (ছবিঃ জেরাল্ড লিম)
আমার তোলা ছবি দেখা যাক এবার...

রাতের পোষাকে জিয়ি শেন

নিকনের হাইএন্ড DSLR Nikon D3 হাতে জনৈকা রুশকি মডেল

ভেলোসিটি এন্জেলস প্রতিযোগিতার মডেলরা

দেখ দেখ দেখরে ঠ্যাং এর বাহার

হুমম..
এলোমেলো যতো গল্প






ফোটোগ্রাফি ধরার পর থেকেই ওৎ পেতে থাকি কখন একটা ফোটোগ্রাফি এক্সপো হয় কেএল এ। গত অক্টোবরে পেলাম কুয়ালা লুমপুর ফোটোগ্রাফি ফেস্টিভাল ২০০৮, সংক্ষেপে KLPF। KLPF হয়েছিল বারাজায়া টাইমস্ স্কয়ারের লোয়ার গ্রাউন্ডে। আয়োজনের দিক থেকে বেশ বড় হলেও খুবই বিরক্ত হয়েছিলাম সেমিনারে গিয়ে। গিয়ে দেখি সেমিনার চাইনিজ-এ!! হোয়াট দ্য ফাক!! এটা বহুজাতিক দেশ। জাতীয় ভাষা "ভাসা মালায়া" হলেও ইংরেজিতে সবাই কথা বলে। সেই দেশে যখন চীনা ভাষায় সেমিনার হয় তখন চিন্তা হয় (পরে দেখেছি ফোটোগ্রাফিক সোসাইটি অফ মালেশিয়াতেও চীনে ভাষার ব্যাপক দৌরাত্ব)। যাইহোক, মনের দুঃখে ইংরিজি সেমিনারের ধারে পাশে ঘুরঘুর করলাম, কিন্তু সেগুলোও খুব জাতের মনে হল না। বিকেলের দিকে দেখি মেইন স্টেজে ভীষন ভীড়, মডেলরা ক্যামেরা নিয়ে ক্যাটওয়াকে শো করছে আর শ'দুয়েক ফোটোগ্রাফার তাদের ক্যামেরা দিয়ে গিলে ফেলে প্রায়। পরিস্থিতি দেখে আমিও ৭০-৩০০ নিয়ে চেষ্টা করলাম। ভীড়ের চোটে খুব সুবিধা করতে পারলাম না, আলভিন চান ছবি দেখে "চলে" মার্কা একটা হাসি দিলেন। বাড়ি ফিরে পিপি করতে গিয়ে মডেলগুলোকেও সুবিধার লাগলো না। যাই হোক, এই ছিল জীবনের প্রথম ক্যাটওয়াক শুটিং, ছবি তোলা জিনিসটা মজার কিন্তু ক্যাটওয়াক শুটিং নিয়ে মালেশিয়ানদের আগ্রহ তখনও পরিস্কার হল না। পরে ফোরামগুলোর দৌলতে জানলাম এরা ৪/৫ জনের দল একটা করে মডেল ভাড়া করে সারাদিন ধরে ছবি তোলে এবং তার একটা অংশ হয় বিকিনিশুট। চীনে মেয়েরা বিকিনি পড়লে বিকিনির অসম্মান হয়, এই বিষয়টা আমি সুযোগ পেলে এদের একদিন বুঝাবার চেষ্টা করব...The Digital Camera, Imaging and Media Show 2009 (DCIM Show 2009) aims to bring together the various components that make up the photography and imaging industry in Malaysia i.e. manufacturers, vendors, retailers, labs and more importantly, the hobbyists and professionals.
Organised by Velocity Media Sdn Bhd (Velocity Media), publisher of Malaysia’s premier digital photography magazine – Digital Camera Magazine – the event will showcase the latest innovations and products in the world of photography. Velocity Media also publishes the top lifestyle-gadget magazine T3 Malaysia, the foremost gaming magazine PC Gamer Malaysia and the authoritative IT magazine Max IT.
....The main objective of DCIM Show is to be recognised as the foremost photography and imaging event in the region, placing Malaysia in the world map of photography.



মন্ট্রিয়লে থাকার সময় আমার সবচে' প্রিয় কাজটা ছিল সেন্ট ক্যাথরিনের রাস্তায় হেটে বেড়ানো। সেটা সকাল দশটা হোক কিংবা রাত তিনটা। লিংকন অ্যাভিনিউ থেকে এএমসি সিনেপ্লেক্সের পাশ দিয়ে নামলেই, রু সেন্ট ক্যাথরিন...








কুয়ালা লুমপুর মানে হল কাদাময় মোহনা। ১৮৫০ সালে ক্লাঙ নৃপতি রাজা আবদুল্লাহ কিছু চীনা শ্রমিক ভাড়া করেন টিনের খনি প্রতিষ্ঠা করতে। এই চীনারা গোম্বাক নদী আর ক্লাঙ নদীর মিলনস্থলে এসে হাজির হয়। গোম্বাক নদীর তখন নাম ছিল সুঙ্গাই লুমপুর, যার অর্থ কাদাময় নদী। সেই থেকে এই শহরের নাম হল পঙকালান লুমপুর। পরে এই নাম বদলে রাখা হয় কুয়ালা লুমপুর বা কাদার মোহনা। ইতিহাস অনুসারে চীনা কাপ্তান ইয়াপ আহ লয় হলেন এই শহরে প্রতিষ্ঠাতা। 

পাশ্চাত্য সঙ্গীতে রাত্রি যেসব কম্পোজিশনের অনুপ্রেরনা, তাদের বলে নকটার্ন। আমার একবার ওয়েস্টার্ন ক্লাসিকাল শোনার বাতিক হল। এটা শুনি সেটা শুনি। তারপর একদিন বাতিক মিলিয়ে গেল। শুধু মাথায় থেকে গেল প্রিয় কিছু কম্পোজিশন। তাদের একটা হল ফ্রেডেরিক শোপাঁর নকটার্ন Op. 9 No. 2। পোলিশ এই সঙ্গীতকার অসাধারন পিয়ানো বাজাতেন। শোপাঁর কম্পোজিশনগুলো মূলতঃ পিয়ানোনির্ভর, যা বাজাতে নাকি বেশ দক্ষ হাতের দরকার হয়। আমি শখ করে একবার পিয়ানো বাজানো শিখতে শুরু করেছিলাম, অর্থ আর সময়াভাবে ছেড়ে দিতে হয়েছে শেষে। সেই দুইদিনের বিদ্যা দিয়ে শোপাঁর কীর্তি এপ্রিশিয়েট করা সম্ভব নয়। তবে নকটার্ন Op. 9 No. 2 শুনবার জন্য মনে হয় এতো কিছু না জানলেও চলে। মনমেজাজ খারাপ থাকলে শুনতে ভালোই লাগে। মন্দার বাজারে যা দিনকাল, তাতে শোপাঁই এখন ত্রাতা.. অন্তত পৌনে পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও
মার্চের ১৪ তারিখে গিয়েছিলাম ক্যামেরন হাইল্যান্ডস্ এ। এই নিয়ে তৃতীয়বার গেলাম। ক্যামেরনের সবচে' আকর্ষনীয় জায়গাগুলোর একটা বোহ টি গার্ডেন। সরু পাহাড়ী রাস্তায় ড্রাইভ করা বিপজ্জনক, কিন্তু পৌছে গেলে শ্রম সার্থক! ক্যামেরনে গেলে র্যাফ্লেসিয়া আরনোলডি দেখা যায়। কিন্তু প্রতিবারই সহযাত্রীদের অ্যাডভেঞ্চার অপ্রীতির কারনে সেই শখ আর পূরন হয় না :(
সচলায়তনে ইবুক বের করার একটা প্র্যাকটিস আছে সেই শুরু থেকেই। ভাবলাম সবার তোলা ছবি নিয়ে ইবুক করলে কেমন হয়। নিজের তোলা ছবির সাথে নিজের লেখা ব্লগ/গল্প/কবিতা। ব্লগ লেখার চলটা উঠে যাচ্ছে, নেটে এখন সবাই সাহিত্য করতে চায়। প্রতিদিনের সাদামাটা গল্প যে কতোটা আগ্রহজাগানিয়া হতে পারে সেটা তুলে ধরার একটা গোপন ধান্দা মাথায় রেখে বইটা করতে গেছি। অনেক বলে কয়ে দুডজন লেখা পাওয়া গেছে। আমার ধারনা সত্যি করে সেগুলো আসলেই অনেক মনকাড়া হয়ে হাজির হয়েছে। আসলে সবাই ভালো ছবি তোলে, ভালো লেখে। শুধু কারোও উদ্যামটা নাই, কারো মনে কেবলই সংকোচ! 
