Saturday, May 30, 2009

Fawlty Towers (টিভি সিরিজ)

উইকএন্ড বলে র‌্যাপিডশেয়ারে একটু বেশী গুঁতাচ্ছি। পিকেট ফেন্সেস পাওয়াতে মনে পড়ল ফল্টি টাওয়ার্স এর কথা। ব্রিটিশ কমেডির তুলনা এমনিতেই পাওয়া মুস্কিল, তারপর উপরে সেটা যদি বিখ্যাত জন ক্লিজ এর কীর্তি হয়। জন ক্লিজের "মন্টি পাইথন" ভিত্তিক কমেডিগুলো হল অফ ফেমে স্থান পেয়েছে বহুদিন আগেই। সেরা সিনেমার মধ্যে আছে মন্টি পাইথন্‌স হোলি গ্রেইল, আ ফিশ কল্‌ড ওয়ান্ডাফিয়ার্স ক্রিচার্স । জেমস বন্ডের কিউ মারা যাবার পরে নতুন কিউ এর জায়গায় যাকে দেখা গেছে সেটাও এই ভদ্রলোকই।

তো এই জন ক্লিজের সবচে' মজার টিভি কমেডিগুলোর একটা হল ফল্টি টাওয়ার্স। এ সম্পর্কে বলা হচ্ছে,

John Cleese was inspired to write what became Fawlty Towers after he and the rest of the Monty Python team were staying at a hotel in Torquay called the Gleneagles (not to be confused with the world-famous Gleneagles Hotel in Perthshire) whilst filming Monty Python's Flying Circus TV series in the early 1970s. The “wonderfully rude” hotel owner (Donald Sinclair) endeared himself to the Monty Python team by throwing Eric Idle's briefcase out of the hotel “in case it contained a bomb,” complaining about Terry Gilliam's table manners, and chucking a bus timetable at another guest after the guest dared to ask the time of the next bus to town.

Little did this hotelier realise that John Cleese was making mental notes of all this madcap behaviour and he might well have seen himself a few years later on TV, transformed into Basil Fawlty—the most infamous British hotelier ever—broadcast to the British nation and ultimately most of the world! Donald Sinclair died in 1981, apparently he emigrated to Florida in the 1970s where he was once tracked down by a British newspaper after Cleese unfortunately named him in an interview. Mr Sinclair and his relatives have never been too happy about the way he has been portrayed! (সূত্র)

ফল্টি টাওয়ার্সের চরিত্রগুলো মধ্যে বেজ্‌ল ফল্টি আর মানুয়েলকে ভুলে যাওয়া খুব কঠিন, বিশেষত মানুয়েলের সেই ডায়ালগ, "I know nothing, I'm from Barcelona.."। মেজাজ ভালো করার একটা চমৎকার ঔষধ এই টিভিসিরিজ। সবগুলো এপিসোড নির্ঝঞ্ঝাটে পাওয়া যাবে এখান থেকে!

Friday, May 29, 2009

Picket Fences (টিভি সিরিজ)

আমি ডেভিড ই. কেলির ব্যাপক পাংখা। এই লোকের অমরকীর্তি গুলো কিছু হল, Picket Fences, Chicago Hope, The Practice, Ally McBeal, Boston Public, Boston Legal ইত্যাদি (এর মধ্যে বোস্টন লিগাল আমার দেখা সেরা টিভি সিরিজগুলোর একটা) ।

আমি ডেভিড ই. কেলির নাম প্রথম জানি পিকেট ফেন্সেস্ এর মাধ্যেমে। আজকে ভাবলাম র‌্যাপিডশেয়ার পাওয়া গেলে নামিয়ে ফেলি। কপাল ভালো পুরো চার সিজন এর সন্ধান আছে এইখানে। র‌্যাপিডশেয়ার থেকে এতো ফাইল নামানোর জন্য ভালো টুল হল Internet Download Manager। টাকা সমস্যা না হলে ১৬ ইউরো দিয়ে র‌্যাপিডশেয়ার এর প্রিমিয়াম একাউন্ট কিনে ফেল্‌লে নেটের পুরো স্পিডই পাওয়া যায় (আমি ১ মেগাবিটস্ এর কানেকশনে পাই ১৭০ কিলোবাইট/সেকেন্ড!!)


উইকএন্ডে দেখার জিনিসের অভাব হবে না বোঝা যাচ্ছে... জয় র‌্যাপিডশেয়ার!

Wednesday, May 27, 2009

ছবি মেরামতের কায়দা - ১

সেদিন মুস্তাফিজ ভাই এর ব্লগে দেখলাম সেঁজুতি আপার একটা ছবি। ভদ্রমহিলা ছবিটা তুলেছিলেন কুবার পিডি বলে একটা জায়গায়। খোলা প্রান্তরে পেঁজা তুলোর মতো জমে আছে মেঘ। ছবিটা অসম্ভব চমৎকার হলেও ক্যামেরার কল্যাণে সেই সৌন্দর্য মলিন হয়ে গেছে। দেখেই মনে হল ফ্লিকারে স্টেফানীর কথা। সেই মেয়েটাও চমৎকার সব ছবি তোলে কিন্তু পোস্ট প্রসেসিং/কারেকশন না করার জন্য বোঝাই যায় না তার চমৎকারিত্ব। আমার কাজ হবে আপনাদের দেখানো কিভাবে পিপি করে একটা ভালো ছবিকে তার স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনা যায়।

শুরুতে দেখা যাক সেঁজুতি আপার তোলা মূল ছবিটা..



ছবিটায় কম্পোজিশন ও কন্টেন্ট এককথায় চমৎকার! কিন্তু সামান্য কিছু কারিগরি সমস্যা আছে, যা ঠিক করলে পুরো ছবিটা প্রাণ ফিরে পেতে পারে..

এই ছবিটার সমস্যা গুলো আগে দেখা যাক। প্রথমেই বলতে হবে হোয়াইট ব্যালেন্স ঠিক নেই। "হোয়াইট ব্যালেন্স" মানে হল, সাদা কি সাদার মতো না অন্যকোন রং এর আভা পড়েছে। এজন্য ছবিতে সাদা কিছু খুঁজে বের করে খেয়াল করে দেখতে হয়। আমরা বরং সাদা মেঘই দেখি। একি! সাদা মেঘ কেন নীলচে? এটা ফোটুরের দোষ না। ক্যামেরার দেখার দুর্বলতা। আমাদের প্রথম কাজ হবে এটা ঠিক করা। দেখা যাক ধাপ গুলো..

১. ফোটোশপে ছবিটা ওপেন করুন
২. এবার Image > Adjustments > Auto Color (Auto Levelsও ব্যবহার করতে পারেন) এ ক্লিক করুন

এইবার দেখুন ছবি কী হাল হল!



ওস্তাদলোকেরা কাজটা অনেক সময় নিয়ে করে। সবার হাতে এতো সময় থাকে না বলে আমরা অটোকালার দিয়ে কাজটা করে ফেললাম। অন্যথায় খেলতে হতো কালার ব্যালেন্স নিয়ে।

এবার দেখা যাক পরবর্তী সমস্যা। হরাইজনের দিকে তাকান, কেমন বেঁকে গেছে বাঁয়ে। এমন তো বাঁকতেই পারে। কিন্তু সোজা করা যখন খুবই সহজ তখন আমরা কেন বসে থাকবো?

১. Photoshop-এ Image >Rotate Canvas > Arbitraryতে ক্লিক করুন
২. এখন ছবিটাকে ঘড়ির কাঁটার দিকে (Clockwise বা CW) ঘুরাতে হবে সামান্য। আমরা Angle এর ঘরে 0.7 বসিয়ে CW সিলেক্ট করে OK বোতাম ক্লিক করবো। এই ০.৭ ডিগ্রি কোন ম্যাজিক নাম্বার নয়। কয়েকবার চেষ্টা করার পর দেখেছি এটাই যথার্থ সংখ্যা। এই পরিমান কোন ছবিটাকে ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘোরালে ছবির দিগন্ত সম্পূর্ন আনুভূমিক হবে।

দেখুন ফল এখানে...



ছবিটাকে ঘোরানোর জন্য চারদিকে কিছু খালি জায়গা তৈরি হয়ে। তাই আমরা ক্রপ করে ছবিটাকে ছেঁটে নেব। ক্রপ করার জন্য মনমত ছবিটার কোন অংশকে সিলেক্ট করে নিতে হবে। তারপর Image > Crop-এ ক্লিক করলেই হবে।

বৈচিত্র্য ও উদাহরনের স্বার্থে আমরা লম্বালম্বিভাবে ক্রপ করলাম, যদিও মূল ছবিতে কোন সমস্যা ছিল না।
দেখুন এখানে..


এবার চেষ্টা করা যাক ছবিটাকে ঝকমকে করার। লক্ষ্য করুন ছবিটায় কনট্রাস্ট কম। মানে আলোছায়ার ব্যবধান কম বলে কেমন মলিন। ফোটুরের দোষ না, দোষ সেন্সরের। আমরা একটা মজার পদ্ধতি প্রয়োগ করবো। একে সম্ভবত বলে ডাইনামিক রেন্জ ইনক্রিমেন্ট বা ডিআরআই। এর মানে কি সেটা ব্যাখ্যা না করে ছবির ঠিক করা যায় কেমন করে সেটা দেখা যাক। আমার ছবিটার আকাশ আর মাটিকে দুভাগ করে নেব। আকাশের অন্ধকার আর উজ্জ্বল অংশের কন্ট্রাস্ট বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দেব আর মাটির ঔজ্জ্বল্য সামান্য বাড়াবো। এই কাজটা একসাথে করলে যেকোন একটা অংশ খারাপ দেখাতো। আলাদা করে করায় দুটো অংশকেই সমানভাবে ঠিক করা যাবে।

এজন্য ফোটোশপে ছবিটার লেয়ারকে কপি করে একই রকম আরেকটা লেয়ার বানাই (ডুপ্লিকেট লেয়ার)।
উপরের লেয়ারের নাম হবে SKY, নীচেরটার নাম GROUND



এবার স্কাই লেয়ারে গিয়ে ইরেজার টুল দিয়ে মাটির অংশটা মুছে দিন। দেখতে নীচের মতো লাগবে



এবার Image > Adjustment >Levels-এ যান। হিস্টোগ্রামের বাঁদিক অন্ধকার অংশ ও ডানদিকে উজ্জ্বল অংশ নির্দেশ করে। হিস্টোগ্রামে দেখা যাচ্ছে আকাশে অন্ধকার কম আছে। ফলে আকাশটা কেমন মলিন হয়ে আছে।


আমরা অন্ধকারের পরিমান বাড়িয়ে দেব, এজন্য হিস্টোগ্রামের বাঁয়ে কালো ত্রিভুজটা টেনে লাল বিন্দু পর্যন্ত নিয়ে আসতে হবে।

এটা হল পরিবর্তিত হিস্টোগ্রাম। লক্ষ্য করুন ডানের সাদা ত্রিভুজকেও একটু বামে আনা হয়ে যেন সাদা মেঘ আরেকটু সাদা হয়। এবার OK ক্লিক করুন।


পরিবর্তনটা দেখুন এখানে

এবার আমরা যাব গ্রাউন্ড লেয়ারে। এখানে বেশী কিছু করার দরকার নেই, একটু ব্রাইটনেস বাড়ালেই হবে। এজন্য Image > Adjustment > Brightness & Contrast-এ গিয়ে ব্রাইটনেস ভ্যালু +৮০ ও কন্ট্রাস্ট ভ্যালু +৪০ করে দিয়ে OK ক্লিক করুন। এবার দুটো লেয়ারেই অটোকালার মেরে দিন একবার করে (শর্টকাট, কাজ না হলে কালার ব্যালেন্সে হাত দিতে হবে)। তারপর লেয়ার দুটো মার্জ করে দিন। তারপর একটা Image > Adjustments > Auto Levels প্রয়োগ করুন।

এইবার দেখুন ফলাফল (ক্লিক করলে বড় হবে!)




আর এটা মূল ছবি




এই হল শর্টকাটে ছবিকে প্রাণবন্ত করার কায়দা!!



আসলে আমরা সবাই ভালো ছবি তুলি, শুধু দরকার একটু ঘষেমেজে নেওয়া। সেঁজুতি আপাকে ধন্যবাদ এই টিউটোরিয়ালে ছবি দিতে রাজী হওয়ায়। কি চমৎকার সব ছবিই না লুকিয়ে থাকে আমাদের কাছে..

Monday, May 25, 2009

ঘুড়িরা উড়ছে বন মাথায়...

PSPJ Outing @ Kepong Park 8 (by Arup / অরূপ)
ছোটবেলায় অনেক জঘন্য কবিতা মুখস্থ করতে হতো। তাদের একটার কথা ছিল এরকম, "ঘুড়িরা উড়ছে বন মাথায়/সবুজে হলুদে মন মাতায়"। এই পোস্টটা লিখতে গিয়ে কবিতটা মনে পড়ে গেল। পিএসপিজের মিটিং এ গিয়ে শুনি কাপং এর কোন এক পার্কে নাকি প্রতি উইকএন্ডে লোকে যায় ঘুড়ি ওড়াতে, দ্বিতীয় আউটিং হবে সেখানেই। তখনও পর্যন্ত কাপং কোথায়, আমার কোন ধারনা ছিল না..

আজকে দুপুর সাড়ে চারটায় কাপং মেট্রোপলিটান পার্ক জমায়েত হবার হুকুম দেখে মাশীদকে নিয়ে রওনা দিলাম, বেশী দূরে না, আধা ঘন্টায় পৌছে গেলাম। আমাদের নিয়ম হল হাজির হয়ে গ্রুপ ফোটো তুলতে হবে একটা, তারপর নিজের মতো "চইড়া খা"। "চইড়া খেতে" ঠিক ভালো লাগলো না, তার কারন অসহ্য গরম! ছায়ায় দাড়িয়ে বরং লোকের কান্ড দেখতে লাগলাম। সুবিশাল পার্ক, সেখানে শয়ে শয়ে মানুষ এসেছে ঘুড়ি ওড়াতে। বয়স/জাতের সীমা নেই। যে যেমনি পারছে উড়িয়ে যাচ্ছে। মাশীদের শখ ছিল ঘুড়ি কিনবে একটা। ৪৫রিংগিত শুনে আমরা দুজনেই কিঞ্চিত দমে গেলাম।

ঘুড়ি ওড়াবার ছবি তোলাটা সহজ না। লোকজনকে বলে কয়ে পোজ ঠিক করে তুললে কিছু আশা থাকে, এমনি ক্যানডিড তোলা ভ্যাজালের!!! যাই হোক বহুক্ষন ছাইপাশ তুলে সাতটার দিকে ফেরার ধান্দা করলাম। এমন সময় রিপি আর ফাজ জানালো দে ওয়ান্ট টু রিটার্ন দ্য ফেভার, মাদাম কাওয়ান (মিডভ্যালী) এ খাওয়াতে চায়। সেখানে নাসি বোজারি (Nasi Boajri) খেয়ে জটিল লাগলো (২১ রিংগিতের খাবার বলে কথা!)। নাসি বোজারিকে শাহী ভাত বলা যেতে পারে। ভাজা ভাতের সাথে মাংস রেন্দাং, ভাজা মুরগি আর আসাম প্রন! আহা!..

বাসায় ফিরতে ফিরতে মাথায় একটা আইডিয়া এলো, খানিকটা আন্তর্জাতিক.. দেখা যাক কি করা যায়। বাই দ্য ওয়ে, ফিশআই বেচে Canon EF 17-40mm f/4L USM লেন্স কিনলাম। ক্রোমাটিক অ্যাবারেশন অনেক কম, ছবিও এল-এর মতোই শার্প। সবটাকা পানিতে গেলরে!...

আরও ছবিঃ
-----------------------
PSPJ Outing @ Kepong Park 9 (by Arup / অরূপ)

PSPJ Outing @ Kepong Park 7 (by Arup / অরূপ)

PSPJ Outing @ Kepong Park 12 (by Arup / অরূপ)


PSPJ Outing @ Kepong Park 4 (by Arup / অরূপ)

PSPJ Outing @ Kepong Park 2 (by Arup / অরূপ)



Don't cry Faz! This one's for me.. (by Arup / অরূপ)
মাদাম কাওয়ানে ফাজ আর রিপি, সামনে বিখ্যাত নাসি বোজারি!

Sunday, May 24, 2009

উইকএন্ড

দেশে থাকতে উইকএন্ড তেমন টের পেতাম না। মালেশিয়া আসবার পর থেকেই আমরা অধীর হয়ে থাকি উইকএন্ডের জন্য। উইকএন্ড মানে ইচ্ছামতো রাতজাগা, বিকেল গড়িয়ে ঘুম, ক্যামেরা নিয়ে দৌড় আর রোববার সন্ধ্যায় বিষন্ন হয়ে নতুন সপ্তাহের সম্ভাব্য যন্ত্রনায় আচ্ছন্ন হয়ে যেতে থাকা..
Weekend.. (by Arup / অরূপ)

Friday, May 22, 2009

বন্ধু হে আমার রয়েছ দাঁড়ায়ে

- হ্যালো বার্থডে বয়!
- হে!হে! আপনি এসএমএস করেছিলেন, তাই না?
- আমি জানি তুমি চিনতে পারোনি :)
- আমি তো তখন পাঁড় মাতাল! চেনার কথা কি? :(
- ঠিক আছে, পরে তো চিনলে
- হু
- আমেরিকা থেকে দুটো এসএমএস এসেছিলো, একই এরিয়া কোডের, প্রথমটা ভাইয়ার, আরেকটা কে হতে পারে ভাবছিলাম..
- আরেকটা "গল্পদাদু" ;)
- হু, আর কেই বা হতে পারে :)

- আপনি কনইয়াক খান?
- খুব ভক্ত নই
- আমিও না, একজন উপহার দিলো কিনা..
- আমার পছন্দের জিনিস ভদকা
- কি যে করি এই বস্তু দিয়ে!
- না খেতে পারলে মাথায় দাও
- মাথায় দেব? বলছেন??
- :)
- ওই বাড়িতে তোমার পুরনো কিছু লেখা পড়লাম আজ। সেরকম লেখা আর নেই কেন? ব্যস্ততার অজুহাত ছাড়া অন্যকিছু শুনি, যদি থাকে
- হুমম, আমাকেও শিমূলের রোগে পেয়েছে
- :) এই রোগের ওষুধ হলো মাইর :)
- আপনাকে আমি ভীষণ ভয় পাই, মাইর দিলে পালাবো!!
- মাইর তো আমি দেবো না, পরামর্শ করবো মাশীদের সঙ্গে :)
- চিন্তার বিষয়
- সে নিজেও এক ফাঁকিবাজ, যাই কই :)
- এখন লিখতে উৎসাহ পাই না, আগ্রহ মরে গেছে
- প্রিয় গান, নতুন পড়া বই এসব দিয়ে নেশাটা ফেরানো যায় না? শুরুটা এসব দিয়েই হোক না। সময় করে বসলে তোমার হাতে ভালো গল্প লেখা সম্ভব বলে আমার ধারণা। তোমার লেখার স্টাইলটা চমৎকার
- আমাকে দিয়ে হবে না আমার ফিকশন আসে না, একদমই আসে না
- ওটা সময়ের ব্যাপার, বেশি লম্বা লেখার ধৈর্য তোমার আছে বলে আমার মনে হয় না। পরে হতে পারে
- হু
- আপনেরা কিভাবে লিখেন সেইটাই ধরতে পারিনা
- তোমার পক্ষে দীর্ঘ লেখার সমস্যা আছে। তোমার মাথায় অনেক ধরনের পোকা কিলবিল করে :)
- ভাগ্যিস আপনি আমার বস না!
- কেন?
- এরকম বস থাকলে চাপাটাপা মারা সমস্যা হয়ে যায়
- :)
- তোমার ওখানে অনেক রাত, এখন ক্ষ্যান্ত দিই
- বুঝেছি, ভাগাতে চাইছেন? ;) টাটা!
১০ই এপ্রিল, ২০০৮
.......................................

শুভ জন্মদিন জুবায়ের ভাই

একদিন আমরা দুইজন আবার গল্প করতে বসবো..

.......................................

Wednesday, May 20, 2009

বাঁচাল পড়শী!

টিংকারবেল অনেকদিন আসে না। তার ডাক শুনি, কিন্তু দেখা পাইনা। টিংকারবেলের বদলে এখন এনাকে দেখতে হয়। কেন বাপু আমার জানালায় বসে এতো গজরগজর!
My Noisy Neighbour!

টুগু নেগারা

টুগু নেগারা মানে হল ন্যাশনাল মনুমেন্ট। এটার কথা শুনছি বহুদিন ধরে। কিন্তু যেতে পারিনা, জিপিএস-এ দেখায় না বলে। নতুন ম্যাপকিং১২ নামানোর পরে মনে হল একটা টেস্টড্রাইভ দিলে কেমন হয়। টুগু নেগারা পাওয়া গেল তাতে, রওনা দিলাম ৩৫মিমি লেন্সটা নিয়ে।

চমত্কার জায়গা, অন্তত ছবি তোলার জন্য। ফিশআইটা আনা জরুরী ছিল। যা তুলেছি তা খুব কাজের কিছু না। মাথায় খালি ঘুরছে ঠিক একই রকম একটা মার্কিনি ভাস্কর্যের কথা। কোনটা সেটা?

Tugu Negara

Tuesday, May 19, 2009

উইকিপিডিয়াতে ছবি দিলাম


ড. শহীদুল আলমকে নিয়ে উইকিপিডিয়াতে একটা বায়োগ্রাফি ছিল, কিন্তু ছবি ছিলনা কোন। সেদিন যেহেতু কিছু ছবি তুলেছিলাম ভাবলাম উইকিতে জুড়ে দেই। ফেলে রাখার চেয়ে একটা কাজের কাজ করা যাক। উইকির নিয়মটিয়ম জানতাম না, কিছুটা সময় লাগলো বুঝতে। তারপর একটা একাউন্ট করে ছবিটা লটকে দিলাম আর্টিকেলটায়। ভাবছি উইকিপিডিয়াতে আরো কিছু ছবি দেব.. ঘরের খেয়ে আরও একটা বনের মোষই না হয় তাড়ালাম..

Sunday, May 17, 2009

ড. শহীদুল আলমের বক্তৃতা

Dr. Shahidul Alam @ KL
ড. শহীদুল আলম বিলেতে রসায়ন পড়েছেন এবং পড়িয়েছেন। লোকটা একদিন কেমন করে যেন হয়ে গেলেন পুরোদস্তুর ফোটুরে। তারপর হলেন সংগঠক। দৃক, পাঠশালা, ছবিমেলা এসব তারই কীর্তি। ওয়ার্ল্ড প্রেস ফোটো কন্টেস্টের নিয়মিত বিচারক তিনি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকার উপদেষ্টা পরিষদের সভ্যও তিনি। এই বিশাল পরিচিতি ও খ্যাতির মানুষটাকে আমি চিন্তাম মেঝমামার কল্যাণে। ছোটবেলায় বাংলাদেশ ফোটোগ্রাফিক সোসাইটি থেকে প্রাইজ দেওয়া হয়েছিল আমাকে। ড. শহীদুল আলম তখন ছিলেন সভাপতি।

পিএসপিজের ফোরাম থেকে জানলাম শনিবার (১৬ইমে, ২০০৯) ভদ্রলোক টক দেবেন সেন্ট্রাল মার্কেটের অ্যানেক্সে। Asia-Europe Emerging Photographers’ Forum (ASEF) এর উদ্যোগে কেএল এ শুরু হয়েছে লম্বা অনুষ্ঠানমালা। তারই অংশ হিসেবে এই বক্তৃতাপর্ব, যার শিরোনাম, “The Use of Digital Medium in Journalism and Documentary Photography Today”। রিপির সাথে আগেভাগে হাজির হয়েছি। ভদ্রলোকের বিষয়ে মালেশিয়ানদের ব্যাপক আগ্রহ (আমার গর্বে তো ছাতি ফুলে ছাতা হয়ে যায় যায়!)। হঠাত্ দেখি সবুজ পানজাবী আর সাদা পায়জামা পড়ে হন্তদন্ত হয়ে ঢুকলেন ঘরে। আমি কিছুটা হামলে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "চিনতে পারছেন?" । স্লাইড নিয়ে কিছুটা বিপাকে ছিলেন, বললেন, "একটু পরে কথা বলি?"। আমি খানিকটা দমে গিয়ে বসে পড়লাম। কিছু পরে দেখি নিজেই এসে হাজির, "কোথায় যেন পরিচয়?" । সেই আমি আর এই আমি তফাত্ প্রায় আড়াই ফুট। ওনার চেনার প্রশ্নই আসে না। মামার কথা বলায় সূত্র মেলানো গেল।

ভালো বক্তা ও উপস্থাপক এই মানুষটি। বিলিতি উচ্চারনে ছবি, শব্দ, গল্পে বলে গেলেন। বললেন, ছবি কিভাবে সত্যকে ধারন কিংবা বর্জন করে, কিভাবে প্রযুক্তি ছবির মূল্যায়ন ও গুরুত্বকে বদলে দিচ্ছে, কিভাবে প্রযুক্তি আমাদের কাছে আনছে, ঘুচিয়ে দিচ্ছে ব্যবধান ইত্যাদি ইত্যাদি। টক-টা যতো না ভালো লেগেছে তার চেয়ে বেশী ভালো লেগেছে দেশের মানুষকে দেখে। ক্লিনার/জ্যানিটর ছাড়াও যে বাংলাদেশী আছে, সেটা সবাই দেখুক!!

Dr. Shahidul Alam @ KL

বক্তৃতা শেষে আব্দার জুড়ে দিলাম। সোমবার সময় দেবেন বলেছেন। বেশী কথা হল না, কারনে আমাকে টানজুং সেপাতে দৌড়াতে হয়েছে, রাতে বিবিকিউ পার্টি ছিল বলে।

পুনশ্চঃ সেমিনারটার কোস্পনসর ছিল নিকন আর আমি গেছি ক্যাননের টিশার্ট পড়ে। আয়োজকরা বিশেষ ভদ্র ছিলেন, না হলে ডলা দিলে আশ্চর্যের কিছু ছিল না.. ;)

----
Dr. Shahidul Alam @ KL
Dr. Shahidul Alam presenting on “The Use of Digital Medium in Journalism and Documentary Photography Today” at the Asia-Europe Emerging Photographers’ Forum (ASEF) which is co-sponsored by Nikon (Malaysia)

May 16, 2009 @ Central Market Annex, KL, Malaysia

Saturday, May 16, 2009

Schmap Budapest Guide এ আমার ছবি

Heroes' Square

একদিন সকালে উঠে ফ্লিকারে দেখি জনৈক এমা উইলিয়ামস্ চিঠি দিয়েছেন যে তিনি এই ছবিটা চান তাদের বুদাপেস্ট গাইডে ব্যবহার করার জন্য, যদিও এজন্য কোন পয়সা দিতে পারবেন না। পয়সা না দিলেও নাম তো যাবে, এই ভেবে রাজী হয়ে গেলাম। আজকে দেখি তারা জানিয়েছে যে ছবিটা গাইডে যুক্ত করা হয়েছে, দেখা যাবে এই লিংক থেকে..

ডিভিডি তৈরি করার সহজ উপায়

বেশ কিছু ভিডিও টিউটোরিয়াল পেয়েছিলাম। ভাবলাম একটা ডিভিডি বানিয়ে ফেললে কেমন হয়। টুল খুঁজতে গিয়ে পেলাম ConvertXtoDVD । ফরাসী জিনিস, কিন্তু ব্যাপক কাজের। চমত্কার মেনুটেনু সহ একটা ডিভিডি বানাতে সময় লাগে পৌনে এক ঘন্টা! এর কারিগরদের ধন্যবাদ দিতেই হয়.. ;)

মারদেকা স্কয়ারে

দাতারান মারদেকা বা মারদেকা স্কয়ার কুয়ালা লুমপুরের বিখ্যাত জায়গাগুলোর একটা। এখানেই ১৯৫৭ সালে ইউনিয়ন জ্যাক নামিয়ে মালেশিয়ার পতাকা প্রথম উত্তোলিত হয়। যে মাঠটা দেখা যাচ্ছে ছবিতে, সেটা হল রয়াল স্লাংগোর ক্লাবের ক্রিকেট গ্রিন। উল্টোদিকে হল মুরিয় স্থাপত্যধারায় নির্মিত সুলতান আব্দুল সামাদ ভবন।
Merdeka Square

মারদেকা স্কয়ার নিয়ে বিস্তারিত বর্ননা পাওয়া যাবে উইকিপিডিয়াতে

আগেও কয়েকবার জায়গাটার ছবি তুলেছি। আজকে টুগু নেগারা যাওয়ার ইচ্ছা ছিল, রাস্তা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে এখানেই সাধ মেটাতে হল।

Friday, May 15, 2009

আকাশ!

একটা পুরানো ছবি ছিল, মেঘছেড়া আলোর। ভেবেছিলাম এইচডিআর করবো, কিন্তু শেষমেষ ভালো কিছু দাড়ায়নি বলে ফেলে রেখেছিলাম। কালকে বেন উইলমোরের টিউটোরিয়াল দেখে আরেকবার টেরাই দিলাম। এবার একদম আগুন!

Untitled..

Thursday, May 14, 2009

ট্রেকিফিভারে পড়ে

স্টারট্রেক নতুনটা দেখে ব্যাপক ভালো লেগেছিল। তাই বাসায় এসে Rapidshare এর কল্যাণে নামিয়ে ফেললাম

মাশীদ আগেই সাবধান করে দিল, নতুনটা ভালো লাগবার কারন নাকি এর হালকাচালের নন-সিরিয়াস উপস্থাপনা। আমি বললাম, "হুম", তারপর দেখতে বসলাম প্রথমটা। মাশীদের কথা সত্য প্রমানিত হল। বেশীক্ষন দেখা গেল না। দ্বিতীয়টা দেখা গেলেও আহামরি লাগলো না। তৃতীয়টাও বোগাস। কিন্তু চতুর্থটা দেখে মজা লাগলো। মজার ব্যাপার হল এই (চার নম্বরটা) সিনেমাটার ডিরেক্টর ছিলেন মিস্টার স্পাক খ্যাত লেনার্ড নেময় (যদিও ভদ্রলোক পুরো সিনেমা জুড়ে টাওয়েল মার্কা কাপড়ের বাথরোব-টাইপ কিছু একটা পড়ে পার করে দিলেন)।

স্ট্রারট্রেক নিয়ে সিনেমা হয়েছে ডজন দেড়েক এর মতো। ভাবছি বাকিগুলোও দেখে ফেললে কেমন হয়..

এখানটাতেই আমার বাসা..

Home

Tuesday, May 12, 2009

এবার খেলা ককিন ফিল্টার নিয়ে


আমি টেলিফোটোর মানুষ ছিলাম। কিন্তু ভীষণরকম দাম হওয়ায় ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের দিকে ঝুকলাম একদিন। কিছুদিন পরে টের পেলাম ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স জিনিসটা সহজ বস্তু নয়, একে ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারলে কঠিন ছবি বের করা সম্ভব। টেলিফোটো পারস্পেকটিভ কমিয়ে দেয়, ওয়াইড তার উল্টো। ফলে সবকিছু একটা বিন্দুতে একাকার হয়ে জটিল ইফেক্টের জন্ম দেয়। এসব কারনে ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের প্রেম ঘন হতে থাকলো, ফাইনালি আমাকে ধরল ল্যান্ডস্কেপ তোলার নেশায়। এইচডিআর করে এতোদিন তুলতাম। একদিন পত্রিকায় দেখি নিউট্রাল ডেনসিটি ফিল্টার ব্যবহার করে অনেকটা এইচডিআর এর মতো জীবন্ত ল্যান্ডস্কেপ তোলা সম্ভব। আর পড়তে গিয়ে জানলাম গ্র্যাডুয়েটেড নিউট্রাল ডেনসিটি ফিল্টারের কথা। এ জিনিসের জন্য বিশেষ ফিল্টার হোল্ডর লাগে যার দাম মোটেও কম না। ইবেটে ট্রাই দিতেই দেখি ২০০ রিংগিতের জিনিসের চীনা ভার্শন ৩০ রিংগিতে বিক্রি হচ্ছে। দিলাম অর্ডার। হোল্ডার পেলেও ফিল্টার ছিল না। রিপি বলেছিল এনংটং নামে দোকানটার কথা। পিজে এসএস২ তে সেই দোকান। গাড়ি নিয়ে গেলাম, জিপিএস ছিল বলে রক্ষা। গিয়ে তো পুরা পাংখা! সিপিএল, এনডি৮, গ্র্যাড এনডি৮ আর স্টার৮ ফিল্টার কিনে ফেললাম। ককিনের সিস্টেম সর্বোচ্চ ৮২মিমি মাপের লেন্স সাপোর্ট করে। তাই এগুলো সহজেই অন্য লেন্সেও ব্যবহার করা যাবে। নতুন খেলনায় মেজাজ ভালো হলেও খসে গেছে ৪০২.৭০ রিংগিত!!!

এই হল আজকে এক্সপেরিমেন্ট, হাত পাকলে আরও ভালো কিছু দেখানো যাবে ;)

Cokin Fever (1)

Monday, May 11, 2009

ডিজিটাল ক্যামেরা ম্যাগাজিনে ছবি!


মার্চ মাসে গিয়েছিলাম DCiM 2009 নামের ফোটোগ্রাফি বিষয়ক ট্রেডশো-তে। সেখানে মডেল শুটআউট এর ব্যবস্থা ছিল। কেমন করে যেন একটা কঠিন জায়গা পেয়ে গিয়ে মনের আনন্দে ছবি তুলতে লাগলাম। ওরকম স্ট্র্যাটেজিক পজিশনে বসলে পত্রিকার পাতায় খোমাটা তো দেখা যাবেই ;)

(ডিজিটাল ক্যামেরা ম্যাগাজিন পৃষ্ঠা ১০৯, সংখ্যা ৪১, মে ২০০৯, হলুদ তীরচিহ্ন-র পাশে)

মজার একটা উইকএন্ড গেল!

Dong Zen Temple, Jenjarom (by Arup / অরূপ)

শনিবারে PSPJ-র আউটিং ছিল, জেনজোরামের ডং জেন বৌদ্ধ মন্দিরে। জেনজোরাম বানটিং এর একটা গ্রাম। রোডসাইন ফলো করে সুন্দর চলে গেলাম। গিয়ে মুগ্ধ! বিশাল মন্দির, চ্যান্ট বাজছে লাউড স্পীকারে, শুনলেই কেমন শান্তি শান্তি লাগে। পুরো জায়গাটা পার্কের মতো, আর সেখানে রাখা অনেক গুলো সাধুসন্তের মুর্তি। অনেকদিন পর ছবি তোলার মতো জায়গা পাওয়া গেল। মাশীদ গিয়ে সেও মজা পেয়েছে। ওকে ক্লাবের সভ্য করে দেব সামনে। ছবি তোলার এক ফাঁকে কেএলকোহ জানালো আমার HDR গত কনটেস্টে সেরা ছবির একটা হওয়া একজন কঠিন কাউকাউ শুরু করে দিয়েছে। পরে ফোরামে গিয়ে দেখলাম ক্লাবের বাকিরা তাকে কঠিন সাটানি দিয়েছে। এটা নিয়ে এজিএম-এ নাকি সিদ্ধান্ত হবে.. যত্তোসব!

Monks of Dong Zen Temple (by Arup / অরূপ)
সারি সারি মুর্তি

Buddha of Dong Zen (by Arup / অরূপ)
বুদ্ধের মুর্তি

রিপি এল সন্ধ্যার আগে, সাথে ফাজ। সে আর ফাজ মিলে এটাসেটার ছবি তুলতে তুলতে আবার আমাদের সামনে পড়ল সূর্যডোবার পরে। বললাম, "কি প্ল্যান? ডিনারে যাবে?"। সে আপত্তি করলো না। আমরা গেলাম ক্লাং এর মুয়ারা ইকান বাকার (মুয়ারা বারবিকিউড্ ফিশ) নামের একটা রেস্তোরায়। আগেও গিয়েছি মামুন ভাইদের সাথে। রিপিকে ফলো করে গেলাম সেইখানে আবার বহুদিন পর। খেতে খেতে প্রায় মাঝরাত হয়ে গেল। রিপি আর ফাজের সাথে খাতির হল ভালোই। মাশীদের ভালো লেগেছে। বহুদিন পর অফিসের বাইরের একটা গ্রুপের সাথে বন্ধুতা হচ্ছে। কঠিন ব্যাপার। ওদের সাথে এখন প্রায়ই আউটিং এ বের হওয়া যাবে..

Ripi & Faz (by Arup / অরূপ)
ফাজ আর রিপি

রোববার রাতে গেলাম স্টারট্রেক দেখতে। স্টারট্রেক শুনেই আমরা ঠিক করেছিলাম দেখব না। ইফতেখার ভাই জানলো ছবিটা সেইরকম। রিস্ক নিয়ে দেখতে গেলাম। গিয়ে পুরা টাশকি! ১০০% ফাটাফাটি!!! এক পর্যায়ে মনে হল অরিজিনালগুলো দেখেও এতো মজা পাইনি। জেজে আব্রামস্‌কে দিয়ে হবে। লেনার্ড নিময় থাকায় আরও ভালো হয়েছে। সিনেমাটা দেখে নিজেকে কেমন ট্রেকি ট্রেকি লাগছে...


ক্যাপ্টেন কার্ক আর তার নতুন সঙ্গীসাথীরা

Saturday, May 9, 2009

শেষ ব্যানার



এই আমার শেষ ব্যানার ব্যানার খেলা, বানানো হয়েছিল ২৫শে বৈশাখ, ১৪১৬ উপলক্ষে

Thursday, May 7, 2009

৭ই মে, ২০০৯

আজকে অফিসে যাইনি, বসে বসে ব্লগ ব্যাকআপ করছি। এই নিয়ে পোস্ট জমা হল ৬৯টা! পুরোনো লেখা পড়তে ভালো লাগে, মাঝে মাঝে কষ্টও হয়। বারবার ঝামেলায় পড়ে পড়ে লেখালেখি বন্ধই হয়ে গেল। ২০০৬, ২০০৭-এ লিখেছিলাম অনেক, সেগুলো এখানে আনতে আনতে অবাক হয়ে গেলাম নিজেই। মন না টানলে কি আর আঙুল চলে.. :(

Wish I could write..

সচলায়তনের কয়েকটা ব্যানার..

এটা সচলায়তনের প্রথম ব্যানার, জয়নুল আবেদীনের ছবিকে ভিত্তি করে করা



মিয়ানমারে যখন ভিক্ষুরা বিদ্রোহ করে, সচলে তখন এই ব্যানার ঝুলেছিল



বাংলাদেশের নষ্ট রাজনীতি দেখে





সরকারীভাবে ইন্টারনেটে মনিটরিং শুরু হবে জেনে



জামাতীরা মুক্তিযোদ্ধা আলী আমানকে লাঞ্ছিত করে, সচলের ব্যানারও প্রতিবাদ করলো,
এবং তার ক'দিন পরেই ব্যানড্!



সবার মুখে একটাই প্রশ্ন, সচলকে কি ব্যান করা হল? ব্যানার বলল, হ্যাঁ



ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল সাফল্য, ইউটিউব ব্যান্ড!!

ওয়ান ইলেভেনের পরে করা হয়েছিল নীচের দুটো ব্যানার





জামাতীরা যখন ১৯৭১কে তাচ্ছিল্য করে যা তা (দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নাই, মুক্তিযোদ্ধারা ভারতে গেছে সুন্দরী নারীর লোভে ইত্যাদি ইত্যাদি) বলা শুরু করলো তখন ব্যানার বদলেছে ক্রমাগত





(এটা নিয়ে জুবায়ের ভাই এর পোস্টটা আছে এইখানে)


এটা ঝুলেছিল ফেব্রুয়ারি মাসে

আজকে রিটন ভাই সচলে লিখেছেন

মুহম্মদ জুবায়েরের প্রবল প্ররোচনায় প্রথম সচলায়তনে আসার পর প্রথমেই আমার চোখ কেড়ে নিয়েছিলো এর অপরূপ ব্যানারটি। চোখকাড়া অসাধারণ দৃষ্টিনন্দন ব্যানারটি করে দিয়েছেন কোন সে কারিগর? ছবি রঙ লোগো লেটারিং কম্পোজিশন সব মিলিয়ে এক কথায় অপরূপ সেই ব্যানারটির নির্মাতার খোঁজ নিতে গিয়ে জানলাম নাম তাঁর অরূপ। অরূপ নামের অপরূপ ব্যানারের শিল্পীটি আমার ব্যক্তিগত পছন্দের তালিকায় চলে এলেন। প্রায়ই বদলে যায় সচলায়তনের ব্যানার আর একেকটা ব্যানার বদলের সঙ্গে সঙ্গে আমার মুগ্ধতাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। অরূপের করা ব্যানারগুলোয় স্নিগ্ধতার পাশাপাশি প্রয়োজনে যুক্ত হতো কখনো দ্রোহ কখনো মমতা আবার কখনো কখনো তারুণ্যের প্রবল উচ্ছ্বাস।

আচ্ছা, লেখাটায় অরূপের করা ব্যানারগুলোর কথা বলতে গিয়ে আমি পাস্ট টেন্স ব্যবহার করছি কেনো আগাগোড়া? অরূপ কি সহসা আমার মতো নগণ্য একজনের মুগ্ধতা বাড়াতে এগিয়ে আসবে না?


কি বলবো বুঝতে পারছি না..
শিমুলের কথামতো লাঠি হাতে মনের মাঠে একাএকা ঘুরি..