Tuesday, January 8, 2008

একটি যৌনকেলেংকারীর পর...(২)

এরকম একটা সুরসুরি দেওয়া ঘটনার পরে বাংলাদেশের হাটে-মাঠে-ঘাটে প্রচুর রাজনৈতিক গালগল্প চলে, ঝড় ওঠে চায়ের কাপে। কিন্তু KLএর পথেঘাটে এই গসিপ নিয়ে একটা টু শব্দও শুনতে পেলাম না। খটকা লাগলো, ভালো খটকা...

বহুদিন ধরেই লক্ষ্য করছি এখানে খোলাখুলি কেউ রাজনীতির আলাপ করেনা, প্রসঙ্গ উঠলেও চেপে যায়। বিদেশী তাই কাউকে ফট করে কিছু জিজ্ঞাসাও করতে পারি না। এদিকে কৌতুহলে পেট ফেঁপে যেতে থাকে..

স্মোকিং রুমে তাই ধরে বসলাম রডনীকে। ব্যাটার পূর্বপুরুষ গোয়া থেকে মালেশিয়ায় এসেছিল। চান্স পেলেই মস্করা করতে বসে। এরকম কাউকে জিজ্ঞাসা করলে ধরা খাবার চান্স কম, তাই বলেই বসলাম,
"চুয়া সাহেবের ঘটনা কিরে ভাই?"
রডনী হাসে, আমার পাশে অংচিনের দিকে তাকায় তারপর, বলে, "এমসিএ-র বাচ্চা নেতাকেই জিজ্ঞেস করো না কেন?"

অংচিন পুরোনো দোস্ত, জাতে চাইনিজ, চরিত্রে সাপ। চট করে তার ফর্সা মুখ কালো হয়ে যায়, "হি ওয়াজ ফ্রেইমড.."। অংচিন এর সংক্ষিপ্ত উত্তর। সব মিলিয়ে ছয় বাক্যে এরকম জুসি কাহিনীর ব্যাখ্যা শুনবো সেটা আশা করিনি, তবে অবস্থা সুবিধার না দেখে চেপে যাই।

পুরো বিষয়টা আরো খানিকটা পরিস্কার হল, কিন্তু সেজন্য লাঞ্চের পর আমাকে আরেকবার পেরেন্থিয়ান রুমে যেতে হল বিড়ি খেতে...

অফিসের সব মিটিং রুমগুলো সেরা সব সৈকতের নামে। মার্কেটিং আইটির দখলে যে দুটো ঘর থাকে পেরেন্থিয়ান তাদের একটা। বদমাশ পোলাপান এখানে বিড়ি ফুকে ফুকে একটা অল্টারনেটিভ স্মোকিং রুম বানিয়ে ফেলেছে। সবার সাথে আমিও বসে সেখানে, এমন সময় রাও এসে হাজির। মুরুগেশ রাও জাতে দক্ষিন ভারতীয় মালেশিয়ান, চরিত্রে ফর্সা।

দেখা হলেই সেও খানিকটা তামাশা করার চেষ্টা করে। তামাশা পর্ব শেষ হতেই আমি একবারে বলি,
-"ঘটনা কি রাও? ড. চুয়াকে নিয়ে এতো হাশহাশ কেন?"
-"ইউ বেটার নট টকাবাউট দ্যাট... এন্ড ডোন্ট লুক ফর দ্য ভিডিও..."
-"কেন? এসব নিয়ে কথা বললে সমস্যা কি?"
রাও আমার দিকে চেয়ে হাসে... শুরু হয় ড. চুয়ার গল্প, সেখান আইএসএ আইন, ভোটাধিকার, আনোয়ার ইব্রাহিম...

আমি বিস্ময় নিয়ে শুনতে থাকি! তারপর ভাঙ্গা গলায় নিজের অজান্তে বলি, "হোয়াট দ্যা ফাক!"

(চলবে)

No comments:

Post a Comment

To comment in Bangla, please use Avro Keyboard Interface. Click here for Bangla Installation Guide.

বাংলায় লিখতে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করুন. বাংলা ইন্সটলেশন গাইড পাবেন এখানে