ঢাকায় গিয়ে পুরোনো স্মৃতি হাতড়ে বেড়াতাম আর ছবি তুলতাম সুযোগমতো। তারই খানিকটা প্রকাশ হতো ঢাকার চিঠি সিরিজে। ঢাকা ছাড়ার আগে মন ভার হয়ে গেল, দিলাম লেখা বন্ধ করে। ফলে অনেকগুলো গল্প আর করা হল না..
এতোদিন পরে আর ঢাকার চিঠি লেখার মানে হয় না। তারচে' বরং শুনাই ছবির গল্প
নীলক্ষেতের পুরোনো বই এর বাজার
নীলক্ষেতের তেহারীর দোকান (ইনসেটে বিখ্যাত সেই তেহারী)
এই তেহারী একসময় ১২টাকা ছিল, ছাত্রজীবন গেছে এসব খেয়ে। এখন ৩০টাকা প্লেট!
গুলশানে রাস্তার পাশে গরমাগরম সিঙ্গারার দোকান
গুলশান ভ্রমন শেষে সন্ধ্যা হয়ে গেছে, অন্ধকার কেবল নামছে। নরম করে শীত পড়তে শুরু করেছে। বেঞ্চিতে বসে দু'কাপ চা আর পাঁচটা সিঙ্গারা খেতে খেতে মনটা বিষন্ন হয়ে গেল
ধানমন্ডীর চটপটিওয়ালা
আগে ধানমন্ডীর যেখানে গ্রিনলেজ ব্যাংক ছিলো (৫ নম্বরের উল্টোদিকে) সেখানে হলেই দুনিয়ার সেরা চটপটির মেলা বসতো। এবার গিয়ে মহুয়া চটপটি ছাড়া আর কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি...
ইসলামিক টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখানোর আগে যে নোটিশটা দেওয়া হয়...
বেনজীর ভুট্টো হত্যা বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানবায়ের ভদ্রলোক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সাবেক কর্মী, ডানের ভদ্রলোক বহুজাতিক ব্যাংকের শীর্ষকর্তা। কে যে কখন সুশীল হয়ে যায় বলা কঠিন!
জনৈকা সংবাদপাঠিকাখবরবিষয়ক অনুষ্ঠান দেশে ব্যপক জনপ্রিয়
এবার ইলেকশন মার্চে হবে", যাওয়ার আগে বলে রাও। "কেন? হয়াই ইন মার্চ?" আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে শুধাই "আনওয়ার", রাও এর সংক্ষিপ্ত উত্তর আর খানিকটা "বুঝে নাও" টাইপ হাসি
আনোয়ার নামটা বললে মালেশিয়ায় আরেক যৌনকেলেংকারীর নায়কের (আসলেই কি??) কথাই প্রথমে ভাবে সবাই। পুরো নাম আনোয়ার ইব্রাহীম, একদা ডক্টর এম এর ডানহাত ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী বলে যার ব্যাপক পরিচিতি ছিল। কিন্তু এশিয়ান ক্রাইসিসের সময় কিছু পদক্ষেপের জন্য আনোয়ারের সাথে মাহাথির এবং অন্যান্য পাতিনেতাদের বিরোধ শুরু হয়। সেই বিরোধ এক পর্যায়ে এমন রূপ নেয় যে সংসদে "আনোয়ার কেন প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না তার পক্ষে ৫০টি কারন" নামে একটি বই বিলি-বিতরন করা হয় (অবশ্য ২০০৫-এ বইটির লেখক, মৃত্যূর আগে কোর্টের আদেশে কয়েক লাখ রিঙ্গিত ক্ষতিপূরন দিয়েছিলেন আনোয়ারকে)।
ডক্টর এম খুব ভালো জানতেন আনোয়ারের জনপ্রিয়তা খারাপ না। ইলেকশনে দাঁড়ালে জিতে যাবার সম্ভাবনাটাকেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে ডক্টর এম কিছুই করলেন না
কিন্তু খেলা শুরু হয়ে গেছে তলে তলে। ১৯৯৮ সালে ২রা সেপ্টেম্বর ভদ্রলোকের সংসদ সদস্যপদ বাতিল করা হয়। আর পরদিন বহিস্কার করা হয় সরকারী দল UMNO থেকে। কদিন পরই আনোয়ারে স্পীচরাইটার ও আরো একজনকে আটক করা হয় আনোয়ারের সাথে অবৈধ যৌনকর্মের দায়ে!
২০শে সেপ্টেম্বর কুয়ালালুমপুরে প্রায় লাখ খানেক লোকের সমাবেশের নেতৃত্ব দেন আনোয়ার। মালেশিয়ায় মতো দেশে ঘটনাটা আসলেই ঐতিহাসিক মহাসমাবেশ। সমাবেশে তিনি দাবী তুললেন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের, প্রতিবাদ করলেন মাহাথিরের স্বজনপ্রীতির, দাবী জানালেন পদত্যাগের । কেউ তাকে দেখলেন নতুন নেতা হিসাবে, কেউ তকমা দিলেন হালুয়ারুটির ভাগে নাখোশ সুবিধাবাদী হিসেবে।
সেই রাতে সশস্ত্র মুখোশধারী SWAT টিমের লোকজন আনোয়ার ইব্রাহীমের বাড়ি ঘিরে ফেলে, গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
কিছুদিন বাদে আনোয়ারের একটি ছবি প্রকাশ পায়, কালসিটে পড়া চোখে থাম্বস আপ দেখাচ্ছেন তিনি। বলা হয়, তৎকালীন আইজিপি রাহীম নূর ঘুষিয়ে পেঁদিয়ে তারচোখে কালসিটে ফেলে দিয়েছিলেন!
আনোয়ারেরর বিরুদ্ধে মামলা হয় দুটি, একটি Sodomy জনিত, আরেকটি দুর্নীতিঘটিত। ১৯৯৯ এর এপ্রিলে দুর্নীতির মামলায় ৬বছর ও Sodomy-র মামলায় ৯বছর কারাদন্ড দেওয়া হয়। যদিও কয়েকবছর পর ফেডারেল কোর্টে Sodomy-র মামলার রায় বাতিল করা হয়। কিন্তু দুর্নীতির রায় বহাল থাকে।
মালেশিয়ার দন্ড প্রাপ্তরা পাঁচবছর রাজনীতিতে আসতে পারেন না। দুর্জনেরা বলে আনোয়ারের মতো একজন শক্ত প্রতিপক্ষকে আটকাতে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেন ডাক্তার সাহেব। হিসেব মতে ২০০৮ এর ১৪ই এপ্রিলের আগে আনোয়ার ইব্রাহীম মালেশিয়ার রাজনীতিতে পা দিতে পারবেন না। দুইয়ে দুইয়ে চার করি। এবার আমার কাছে সব স্পষ্ট হয়ে যায়, কেন রাও বলেছিল সরকার মার্চেই ইলেকশন করবে।
সিগারেটে শেষ টানটা দিয়ে আমি কিউবিকলের দিকে পা বাড়াতে উঠি। সবকিছু কেমন চেনা চেনা লাগতে থাকে।
এয়ার ক্যানাডায় সিনেমার স্টক ভালো না। কিছু দেখতে হলে বহু ক্যাচাল করতে হয়। তাই সাত ঘন্টার ফ্লাইটের বিরক্তি কাটাতে তখন ভরসা শুধু বদখত স্বাদের ক্যালিফর্নিয়ান মের্লোর গেলাস। তন্দ্রা যখন কেবল ধরিধরি করছে, তখন দেখি সামনের ঝোলানো টিভিটা চালু হয়ে গেল। প্লেনে বসে সিবিসির খবর দেখার শখ নেই বলে কান থেকে ইয়ারফোনটা খুলে ফেললাম। কিন্তু একটু অবাক করে দিয়ে খবরের বদলে মুভি শুরু হল। মের্লোর গেলাশে চুমুক দিয়ে চোখ তুলতেই আবার পর্দায় চোখে পড়ল, Narrated by Geoffrey Rush । রাশ সাহেবের সিনেমা দেখতে ভালোই লাগে, তিনি ধারা বিবরনী দেবেন দেখে কিছু কৌতুহল জাগলো। ইয়ারফোনটা কানে চড়াই আবার...
"Some are born great Some achieve greatness Some have greatness thrust upon them...
... and then... there are others.."
এইভাবেই শুরু হয় হার্ভি ক্রাম্পেটের গল্প। অস্ট্রেলিয়ান পরিচালক অ্যাডাম এলিয়টের তেইশ মিনিটের এই ছবিটি ২০০৩ সালে অস্কার পায় পায় সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্যাটেগরীতে।
আমার দেখা অসম্ভব চমৎকার মুভির একটা। সহজ কাহিনী আর সহজ দর্শন, তারপরেও বুকের ভেতরে নাড়া দিয়ে যাবে.... হার্ভেক মিলোশ ক্রাম্পেটস্কির বেঁচে থাকার কাহিনী..
বহুদিন পরে ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে পুরোটা। দেখে ফেলুন যারা দেখেননি....
"Life is like a cigarette.. Smoke it to the butt.."
আমার ধারনা ছিল আমাদেশ মতো গরীব দেশেই মানবাধিকার বেশী বেশী অবহেলিত হয়। সরস একটা যৌনকেলেংকারীর গল্প শুনতে গিয়ে মালেশিয়ার যে কাহিনী শুনলাম তা শুনে হজম করাটা বিশেষ রকমের কঠিন কাজ। মালেশিয়ায় রাস্তাঘাটে রাজনীতির কথা শোনা যায় না কেন, কেন পথে পথে মিটিং মিছিল হয় না বিষয় গুলো এক পলকে আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠল, কারন একটাই, ১৯৬০ সালের "অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা আইন" (Internal Security Act)
জিনিসটার পয়দাকারী মহান ব্রিটিশ প্রশাসক স্যার এডওয়ার্ড জেন্ট। ১৯৪৮ সালে মালেশিয়ান কমিউনিস্ট কমিউনিস্ট পার্টির সসস্ত্র তৎপরতা বন্ধ করতে জেন্ট সাহেব এমার্জেন্সী অর্ডন্যান্স জারি করেন। স্বাধীনতার পর (১৯৬০) এমার্জেন্সী লুপ্ত হলেও মালেশিয়ার সংবিধানের আর্টক্যাল ১৪৯-এ এই অর্ডন্যান্স চিরস্থায়ী হয়ে জেঁকে বসে ইন্টারনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নাম নিয়ে।
আইএসএ-এর সেকশন ৮(১) অনুসারে, স্বরাস্ট্রমন্ত্রী যদি মনে করেন কোন ব্যক্তি দেশের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা, জরুরী সেবা বা অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি হুমকি স্বরূপ তাহলে বিনা অভিযোগে ও বিচারে তাকে ফাটকে পুরে ফেলা যাবে!!! এবং ফাটকে ঢুকাবার প্রথম ৬০দিন থাকতে হবে incommunicado অবস্থায়!!!! অর্থাৎ এই সময়ে তাকে পুরো জগৎ থেকে আলাদা রাখা হবে, কোন উকিল বা পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করার কোন সুযোগ থাকবে না তার।
এই ধরনের আইনকে বলে প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন। পৃথিবীর হাতে গোনা যে কয়েকটা দেশের সংবিধান প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন নামক ভয়াবহ ধারনাটিকে লালন করে সোনার মালেশিয়া তাদের একটি।
এরকম একটা সুরসুরি দেওয়া ঘটনার পরে বাংলাদেশের হাটে-মাঠে-ঘাটে প্রচুর রাজনৈতিক গালগল্প চলে, ঝড় ওঠে চায়ের কাপে। কিন্তু KLএর পথেঘাটে এই গসিপ নিয়ে একটা টু শব্দও শুনতে পেলাম না। খটকা লাগলো, ভালো খটকা...
বহুদিন ধরেই লক্ষ্য করছি এখানে খোলাখুলি কেউ রাজনীতির আলাপ করেনা, প্রসঙ্গ উঠলেও চেপে যায়। বিদেশী তাই কাউকে ফট করে কিছু জিজ্ঞাসাও করতে পারি না। এদিকে কৌতুহলে পেট ফেঁপে যেতে থাকে..
স্মোকিং রুমে তাই ধরে বসলাম রডনীকে। ব্যাটার পূর্বপুরুষ গোয়া থেকে মালেশিয়ায় এসেছিল। চান্স পেলেই মস্করা করতে বসে। এরকম কাউকে জিজ্ঞাসা করলে ধরা খাবার চান্স কম, তাই বলেই বসলাম, "চুয়া সাহেবের ঘটনা কিরে ভাই?" রডনী হাসে, আমার পাশে অংচিনের দিকে তাকায় তারপর, বলে, "এমসিএ-র বাচ্চা নেতাকেই জিজ্ঞেস করো না কেন?"
অংচিন পুরোনো দোস্ত, জাতে চাইনিজ, চরিত্রে সাপ। চট করে তার ফর্সা মুখ কালো হয়ে যায়, "হি ওয়াজ ফ্রেইমড.."। অংচিন এর সংক্ষিপ্ত উত্তর। সব মিলিয়ে ছয় বাক্যে এরকম জুসি কাহিনীর ব্যাখ্যা শুনবো সেটা আশা করিনি, তবে অবস্থা সুবিধার না দেখে চেপে যাই।
পুরো বিষয়টা আরো খানিকটা পরিস্কার হল, কিন্তু সেজন্য লাঞ্চের পর আমাকে আরেকবার পেরেন্থিয়ান রুমে যেতে হল বিড়ি খেতে...
অফিসের সব মিটিং রুমগুলো সেরা সব সৈকতের নামে। মার্কেটিং আইটির দখলে যে দুটো ঘর থাকে পেরেন্থিয়ান তাদের একটা। বদমাশ পোলাপান এখানে বিড়ি ফুকে ফুকে একটা অল্টারনেটিভ স্মোকিং রুম বানিয়ে ফেলেছে। সবার সাথে আমিও বসে সেখানে, এমন সময় রাও এসে হাজির। মুরুগেশ রাও জাতে দক্ষিন ভারতীয় মালেশিয়ান, চরিত্রে ফর্সা।
দেখা হলেই সেও খানিকটা তামাশা করার চেষ্টা করে। তামাশা পর্ব শেষ হতেই আমি একবারে বলি, -"ঘটনা কি রাও? ড. চুয়াকে নিয়ে এতো হাশহাশ কেন?" -"ইউ বেটার নট টকাবাউট দ্যাট... এন্ড ডোন্ট লুক ফর দ্য ভিডিও..." -"কেন? এসব নিয়ে কথা বললে সমস্যা কি?" রাও আমার দিকে চেয়ে হাসে... শুরু হয় ড. চুয়ার গল্প, সেখান আইএসএ আইন, ভোটাধিকার, আনোয়ার ইব্রাহিম...
আমি বিস্ময় নিয়ে শুনতে থাকি! তারপর ভাঙ্গা গলায় নিজের অজান্তে বলি, "হোয়াট দ্যা ফাক!"
মাত্র দু' সপ্তাহের জন্য দেশে গিয়েছিলাম। যখন ফিরলাম তখন মালেশিয়ায় বহুকিছু ঘটে গেছে! KLIA থেকে বাড়ি ফিরতে এখন মাত্র ২৫মিনিট লাগে, কারন নতুন এক্সপ্রেসওয়েটা তৈরি হয়েছে একদম আমার কন্ডো'র সামনে। সামনের একমাস কোন টোলও দিতে হবে না। তবে এই ঘটনায় তেমন আশ্চর্যান্বিত হবার কিছু নেই, কারন মালেশিয়া সরকারের হাইওয়ে ফেটিশ বেশ পুরোনো, এরা চান্স পেলেই ফ্লাইওভার না হয় এক্সপ্রেসওয়ে বানিয়ে ফেলে..
যাই হোক, নতুন রাস্তা দেখে যতো না মুগ্ধ হয়েছি তার চাইতে অনেক বেশী বিস্মিত হতে হল আমাদের স্বাস্হ্যমন্ত্রীর কেচ্ছা শুনে! ভদ্রলোকের নাম ড. চুয়া সোই লেক। বহুদিন আগে ডাক্তারী ছেড়ে রাজনীতিতে ঢুকেছেন, ৬১ বছর বয়স, জাতে চাইনিজ, দলের নাম MCA। যারা খবর রাখেন, তাদের জানার কথা MCA বা Malaysian Chinese Association মালেশিয়ার ২য় বৃহত্তম দল। বর্তমান সরকার এদের সাথে কোয়ালিশন করে শাসন করছে। ড. চুয়া আবার MCA এর ভাইস প্রেসিডেন্টও!!
এখন ঘটনা হল সবাই যখন নববর্ষের আনন্দে ব্যস্ত, মিডিয়া তখন বোমটা ফাটালো, ড. চুয়ার যৌনকীর্তি নিয়ে নির্মিত পাওয়া যাচ্ছে তারই নির্বাচনী এলাকায়!! একটা নয়, দুটো ডিভিডি, এবং কাহিনী পুরো এক ঘন্টার (হয় জিনসেং টি নাহয় তোংকাত আলী - এর কোন একটা হবেই এই শক্তির উৎস) !
প্রথম প্রথম এই প্রভাবশালী নেতা স্বীকার করলেনই না যে ছবি দেখা ভদ্রলোকটি তিনি। কিন্তু ২রা জানুয়ারী ডাকলেন প্রেস কনফারেন্স। বেশ শান্ত স্বরেই স্বীকার করলেন এই কম্মটি তার। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী আর পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন (তার পরিবার নাকি ক্ষমা করেও দিয়েছে ইতোমধ্যে!)। বললেন তার সঙ্গিনীটি একজন ব্যক্তিগত বন্ধু এবং ঘটনাটি একান্তই ব্যক্তিগত। এবং সবশেষে বললেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদটি তিনি ছাড়বেন না!
ড. চুয়ার ধারনা ছিল প্রধানমন্ত্রী তাকে হয়তো সমর্থন দেবেন। নাহ, হল না বেচারাকে শেষ পর্যন্ত গদি ছাড়তেই হল। দুর্জনেরা বলে মালেরা এতে বিশেষ খুশি। মালেরা খুশি হোক আর না হোক, এই ডিভিডি বা ভিডিও নিয়ে সরকার বিশেষ তৎপর। কারও কাছে পাওয়া গেলে পিনাল কোডের ২৯২ ধারায় গ্রেপ্তার করে সোজা ফাটকে পুরে দেবার আদেশ আছে!
(তাড়াহুড়ো করে লেখা বলে পোস্টটা ঠিক জাতের হল না, কি আর করা)