প্রবাসে ভোগের সংজ্ঞা ভিন্ন, দেশে যা অনাগ্রহের বিষয়, বিদেশে সেটাই লোভনীয়। দেশে থাকতে গরুর মাংস কি জিনিস তা টের পাইনি, মালেশিয়া এসে বুঝলাম ইহা অমৃত! মজার বিষয় হল প্রথম দুবছর গোমাংস বলে যা কিন্তাম তা আসলে ছিল ভারতীয় মহিষের মাংস। মোখলেস ভাই না থাকলে এই ভুল ভাঙ্গতো না। জ্ঞানচক্ষু উন্মোচিত হলেও, টাটকা গোমাংস তখনও দুর্লভ। তারপর একদিন কিনরারায় একটা সুবিশাল জায়ান্টের (হাইপারমার্কেট) ব্রাঞ্চ খোলা হল, দূর হল দেশী গরু খাবার বাঁধা। এই কাহিনী চলতে চলতে একদিন আমরা জানলাম শ্রী পেতালিঙ মসজিদের পাশে, গাছের নিচে, একদল দেশী ভাই ভাত, বিরানী, গরুর মাংস এসব নিয়ে পসরা বসায় প্রতি শুক্রবারে। প্রথমবার খেয়ে মনে হল কেঁদে ফেলি আনন্দে। আহা, গরম ভাত আর গরুর গোশ্ত!
আজকে অনেকদিন পর আবার গেলাম, দুপুরের খাবার খেতে। বরাবরের মতো সেই ভাত আর বিফকারি। চেটেপুটে খেয়ে বলি "কোক দেন একটা"। দোকানী জানায় কোক পরিবেশন নিষেধ এই এলাকায়, ইহুদীবাদী পণ্য কিনা!!!
"অন্য কোন ড্রিংক্স নাই?"
"হান্ড্রেড প্লাস খান?"
"ঠিকাছে তাই দেন.."
ঢেঁকুর তুলতে তুলেত ভাবতে থাকি, যারা কোকাকোলা বানায়, তারাই যে আবার হান্ড্রেড প্লাসও বানায়, এটা বোঝা কি এতোই কঠিন!!! ছাগল কি আর মানুষ হয়..
Saturday, April 4, 2009
1 comment:
To comment in Bangla, please use Avro Keyboard Interface. Click here for Bangla Installation Guide.
বাংলায় লিখতে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করুন. বাংলা ইন্সটলেশন গাইড পাবেন এখানে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
হাঃ হাঃ হাঃ
ReplyDeleteহান্ড্রেড প্লাস খাইনি অবশ্য তবে কোকের বিরুদ্ধে এই অপবাদ অনেক দেশেই আছে বোধকরি।