Sunday, July 13, 2008

সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে

আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
নষ্টদের দানবমুঠোতে ধরা পড়বে মানবিক
সব সংঘ-পরিষদ; চলে যাবে, অত্যন্ত উল্লাসে
চ'লে যাবে এই সমাজ-সভ্যতা-সমস্ত দলিল
নষ্টদের অধিকারে ধুয়েমুছে, যে-রকম রাষ্ট্র
আর রাষ্ট্রযন্ত্র দিকে দিকে চলে গেছে নষ্টদের
অধিকারে। চ'লে যাবে শহর বন্দর ধানক্ষেত
কালো মেঘ লাল শাড়ি শাদা চাঁদ পাখির পালক
মন্দির মসজিদ গির্জা সিনেগগ পবিত্র প্যাগোডা।
অস্ত্র আর গণতন্ত্র চ'লে গেছে, জনতাও যাবে;
চাষার সমস্ত স্বপ্ন আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে একদিন
সাধের সমাজতন্ত্রও নষ্টদের অধিকারে যাবে।
আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
কড়কড়ে রৌদ্র আর গোলগাল পূর্ণিমার চাঁদ
নদীরে পাগল করা ভাটিয়ালি খড়ের গম্বুজ
শ্রাবণের সব বৃষ্টি নষ্টদের অধিকারে যাবে।
রবীন্দ্রনাথের সব জ্যোৎস্না আর রবিশংকরের
সমস্ত আলাপ হৃদয়স্পন্দন গাথা ঠোঁটের আঙুর
ঘাইহরিণীর মাংসের চিৎকার মাঠের রাখাল
কাশবন একদিন নষ্টদের অধিকারে যাবে।
চলে যাবে সেই সব উপকথাঃ সৌন্দর্য-প্রতিভা-মেধা;
এমনকি উন্মাদ ও নির্বোধদের প্রিয় অমরতা
নির্বাধ আর উন্মাদদের ভয়ানক কষ্ট দিয়ে
অত্যন্ত উল্লাসভরে নষ্টদের অধিকারে যাবে।
আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
সবচে সুন্দর মেয়ে দুইহাতে টেনে সারারাত
চুষবে নষ্টের লিঙ্গ; লম্পটের অশ্লীল উরুতে
গাঁথা থাকবে অপার্থিব সৌন্দর্যের দেবী। চ'লে যাবে,
কিশোরীরা চ'লে যাবে, আমাদের তীব্র প্রেমিকারা
ওষ্ঠ আর আলিঙ্গন ঘৃণা ক'রে চ'লে যাবে, নষ্টদের
উপপত্নী হবে। এই সব গ্রন্থ শ্লোক মুদ্রাযন্ত্র
শিশির বেহালা ধান রাজনীতি দোয়েলের স্বর
গদ্য পদ্য আমার সমস্ত ছাত্রী মার্ক্স-লেনিন,
আর বাঙলার বনের মত আমার শ্যামল কন্যা-
রাহুগ্রস্থ সভ্যতার অবশিষ্ট সামান্য আলোক
আমি জানি তারা সব নষ্টদের অধিকারে যাবে।

হুমায়ুন আজাদ

নোটঃ এই কবিতাটা স্টিকি করে রাখবো আমি।
এইটা মুখস্থ করে ফেলার সময় গায়ের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছে আজ..



১ | মাহবুব লীলেন | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০২:১১

...



২ | স্নিগ্ধা | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০২:২৪

অরূপ - ব্যানারের ছবি, উক্তি আর এই কবিতা, সবগুলোর জন্য - ধন্যবাদ!!!



৩ | মুহম্মদ জুবায়ের | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০২:৩১

কেউ একজন বলেছিলেন, একজন রাজাকার চিরকালই রাজাকার, কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা না-ও থাকতে পারেন। এর চেয়ে নির্মম সত্যভাষণ আর হয় না। রাজাকারদের ঐ অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মধ্যে কয়েকজনের নাম দেখা গেলো যাদের এখন আর মুক্তিযোদ্ধা বলা সম্ভব নয়। হয়তো এদেরই কারণে অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বিভ্রান্ত হয়ে সভায় এলেন এবং সত্য উচ্চারণ করে লাঞ্ছিত হলেন। ধিক, শতধিক রাজাকারদের।

তবে আমার ধারণা, শারীরিক উপস্থিতির দিক থেকে রাজাকাররা যতো ক্ষতিকর তার চেয়ে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত করছে আমাদের তথাকথিত মধ্যপন্থীদের রাজাকার মনোবৃত্তি, যা ৭১-এ একটা গণ্ডগোল হয়েছিলো, এখন আর পুরনো কথা বলে কী হবে ধরনের অবস্থান নিতে পছন্দ করে।

আগুন জ্বলার সময় অনেক আগেই হয়েছে। অপেক্ষা হয়তো একটা স্ফুলিঙ্গের, যা দাবানল হয়ে উঠবে।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!



৪ | সিরাজ [অতিথি] | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০২:৩১

সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যে মোটামুটি সবসময়ই ছিল না তার প্রমান কি?



৫ | মুহম্মদ জুবায়ের | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৩:০৮

প্রথম আলো-তে গতকাল ছাপা হওয়া সংবাদের একটা পিডিএফ এখানে তুলে রাখছি, কারণ কয়েকদিন পরই আর্কাইভেও এটা আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এরই মধ্যে সঙ্গে ছাপা হওয়া ছবিটা পাওয়া গেলো না।

আর আমার পূর্ববর্তী মন্তব্যে চিরকালের রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ে প্রকৃত উদ্ধৃতিটি এরকম:

একবার রাজাকার মানে চিরকাল রাজাকার; কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা মানে চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা নয়।

- হুমায়ূন আজাদ

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!



৫.১ | অরূপ | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৩:১৪

প্রথম আলো ১২ই জুলাই
--------------------------------
‘জামায়াতের এ সমস্ত নেতারা পিস কমিটির (শান্তি কমিটি) সদস্য ছিল। যারা রাজাকার, আলবদর ছিল তারা গণহত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ করেছে। এখনই তাদের বিচার করতে হবে। আমার বিবেচনায়, তাদের এখনই ফাঁসি দিতে হবে।...’

তাঁর বক্তব্য শেষ হয়নি। সাংবাদিকেরা তাঁর নামটিও জানার সুযোগ পাননি। এর আগেই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে থেকে বর্ষীয়ান এ মুক্তিযোদ্ধাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। একজন তাঁর পিঠে লাথি বসিয়ে দেয়।

গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ’-এর প্রতিনিধি সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে। জামায়াতের উদ্যোগে গড়া সংগঠনটির গতকালের সম্মেলনে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। তাদের হাতেই লাঞ্ছিত হন ওই মুক্তিযোদ্ধা। তারা একুশে টেলিভিশনের প্রতিবেদক সাজেদ রোমেলকেও প্রায় এক ঘণ্টা আটকে রাখে।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রবের কাছে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছনা ও সাংবাদিককে আটকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি দাবি করেন, এমন কিছু হতেই পারে না। নির্যাতনের ছবি টেলিভিশনের ক্যামেরায় ধারণ করা আছে জানালে তিনি মুহুর্তেই সুর পাল্টে বলেন, ‘এসব সাবোটাজ (অন্তর্ঘাতমূলক কাজ)। আমাদের সংগঠনের লোকেরা এসব করতে পারে না।’

সংগঠনটির জাতীয় সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন। জামায়াত-সংশ্লিষ্টদের অনুষ্ঠানে আসার বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসবের কিছুই তিনি জানেন না।

তবে আলোচনা অনুষ্ঠানে জে আর মোদাচ্ছির বলেছেন, এখন স্বাধীনতার চেতনার নাম দিয়ে জাতিকে বিভাজন না করে সুন্দর দেশ গড়ার জন্য কাজ করতে হবে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান বলেন, গত ২৬ মার্চ ভারতীয় জেনারেলকে এনে স্বাধীনতার চেতনার অবমাননা করা হয়েছে।

বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) ফজলুর রহমান বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া এখন সময়ের দাবি।

উইং কমান্ডার (অব.) হামিদুল্লাহ খান বলেন, কতিপয় সেক্টর কমান্ডার জাতিকে বিভ্রান্ত করে দেশবাসীকে অপমানিত করার জন্য কথিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের হুমকি দিয়েছেন। সম্মেলনে কয়েকজন বক্তা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়ায় মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের শাস্তি দাবি করেছেন।

ঢাকার বাইরে থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধারা এসব বক্তব্য শুনে হতভম্ব হয়ে পড়েন। পাবনা থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে সম্মেলনকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা যেসব মন্তব্য করেছে, সেগুলো মোটেও ভালো লাগেনি। এ কারণে আমি অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে এসেছি। এসব অসহনীয় বক্তব্য। এরা বলে, সেক্টর কমান্ডারদের বিচার হতে হবে। এরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা কথা বলেছে। কিন্তু আমরা তো আওয়ামী লীগের ডাকে মুক্তিযুদ্ধ করেছি।’
জামায়াত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন তৈরি ও জাতীয় সম্মেলন করাকে ভন্ডামি আখ্যা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সামরিক নেতারা প্রথম আলোকে বলেন, যারা যুদ্ধের সময় এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে গণহত্যা, লুন্ঠন ও ধর্ষণে সহায়তা করেছে, এখন তারা মুক্তিযোদ্ধা সাজার চেষ্টা করছে। তারা দেশের সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতারিত করার চেষ্টা করছে। এদের প্রতি ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই থাকতে পারে না।
মুক্তিযুদ্ধের উপপ্রধান সেনাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সভ্য দেশে বাস করছি, এখানে এসব অসভ্যতা চলতে পারে না। এদের ব্যাপারে কী করা যায় আমরা শিগগিরই বসে সিদ্ধান্ত নেব।’

৮ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরীও বলেছেন, ‘ওরা যা-ই বলুক না কেন, মানুষের কাছে এসবের কোনো মূল্য নেই। মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়।’

গত ২৬ জানুয়ারি ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ’ গঠন করা হয়। প্রথমে এ/১১ শ্যামলী হাউজিং, আদাবরে একটি বাড়িতে ও পরের মাসে ১১৬/২ নয়াপল্টনে (জামান কনস্ট্রাকশন ভবনের দোতলায়) জামায়াতের পল্টন থানা শাখার সাবেক আমির এ টি এম সিরাজুল হকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় স্থাপন করা হয়। সেখানকার পল্টন মানবশিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের একটি কক্ষ সাবলেট (ভাড়াটের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া) নিয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এ টি এম সিরাজুল হক ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করলে এ সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। ফোরাম যে দলগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনছে, এগুলোর অন্যতম হচ্ছে জামায়াত। ফোরামের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার মানসে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ’ নামে এ সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গত ২২ মার্চ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ও ২৬ মার্চ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেওয়ায় সেক্টর কমান্ডারদের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ। গতকালের সম্মেলনেও একই ধরনের বক্তব্য দেওয়া হয়।
পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী মোসলেম উদ্দিনের সভাপতিত্বে গতকালের সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক রেজোয়ান সিদ্দিকী, নিউ নেশন-এর সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন গাজী, সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর প্রমুখ।


৫.১.১ | অতিথি লেখক | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৪:১৬

ই-টিভির নিউজ:

৫.১.১.১ | মুহম্মদ জুবায়ের | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৪:৩৮

মুক্তিযুদ্ধের সময় এই টুপিওয়ালারা কোথায় ছিলো, কী করেছে আমাদের জানা আছে। নারায়ে তাকবিরের জায়গা ছিলো না মুক্তিযুদ্ধে, যুদ্ধের পরে তাদের মাথায় টুপি দেখা যায়নি, এমনকি তাদের অনেকে বহুকাল সূর্যের আলো দেখেনি। যে মুক্তিযোদ্ধাকে আজ তারা প্রকাশ্যে লাথি মারার সাহস পায়, ৭২-এ সেই মুক্তিযোদ্ধার ছায়ার আশেপাশে আসার সাহস বা সাধ্য তাদের ছিলো না। আজ সে কথা হয়তো রূপকথা। ছবিটা উল্টে গেছে, তারা কোথায় এসে পৌঁছে গেলো!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!



৫.১.১.২ | সংসারে এক সন্ন্যাসী | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৪:৩৯

সাবেক বিচারপতি শেষে যেভাবে মাথা দোলাচ্ছিলেন...
গালি সামলায়া নিলাম।

অতিথি লেখককে ধন্যবাদ ভিডিও শেয়ার করার জন্য।

৫.১.১.২.১ | ধ্রুব হাসান | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৫:৫৩

গালি সামলাইলেন কেন? ও হারামী আস্ত এক পাকি খাংকির পো। এ সমস্ত লোকদের পুটকি দিয়ে ঢুকিয়েই প্রথম বিচারকার্যটা শুরু করা উচিত।


৫.১.১.৩ | রেনেট | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৪:৫৪

সাবেক প্রধান বিচারপতি যদি জামায়াত আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সম্মেলনে যায়, তাহলে আমার মনে হয়, শুধু এই কবিতাটিকে স্টিকি করলেই চলবে না, এর শিরোনাম ও পালটে দিতে হবে।

সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.



৫.১.১.৪ | রেনেট | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৫:০৫

বিচারপতি তোমার বিচার করবে কারা (আজ আমাদের এই জনতা?)
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.


৫.১.১.৫ | সবজান্তা | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১১:৫৫

ভিডিও টা সেইভ করে রাখি হাসি

বলা তো যায় না, আবার কি কেরামতি, কি কমপ্লেইন করে ইউটিউব সার্ভার থেকে এই বস্তু গায়েব করে দেয়।

আমি এখন বিশ্বাস করি, সাধারণ জনতা কিছু পারুক বা না পারুক, জামাতীরা যখন একটা মুক্তিযোদ্ধা সংগঠণ খুলতে পারছে, ওরা চুদির্ভাইরা সব পারে।


অলমিতি বিস্তারেণ


৬ | জুলিয়ান সিদ্দিকী | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৩:১৭

এখনও যদি কেউ হিটলারের পক্ষে কথা বলে, তাকে শাস্তি পেতে হয়! আমরা তো খুব বেশি দিন পার হয়ে আসিনি! রাজাকাররা এখনো আমাদের দেশে সংগঠিত। তাদের গ্রুপ এখনও সক্রিয়।

সেই যে বুদ্ধিজীবিদের হত্যার মধ্য দিয়ে তাদের দুষ্কর্মের সূচনা, সেই কালো তালিকা এখনো তাদের হাতে রয়ে গেছে। সুযোগ মত এখনও তারা তাদের সেই তালিকাবদ্ধ মানুষগুলোকে খুন করে চলেছে! অথচ আমরা পারি না জার্মানির মত হতে! আমাদের হৃদয়ে তাদের মত দেশ প্রেম নেই!
***********************************************************
ছবির এই লাথিটা কি আমাদের গায়ে, আমাদের সরকারে গায়ে পড়েনি?
ধিক্ আমাদের দেশপ্রেমে!


৭ |
এস এম মাহবুব মুর্শেদ | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৩:২৪

মাঝে মাঝে মনে হয় শালাদের গুলি করে মেরে ফেলি।



৮ | সুবিনয় মুস্তফী | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৩:৪১

বাঙ্গাল বোধ হয় নপুংসকের জাতিই হয়ে গেছে। এই জন্যে উধাম আর সঘোমন নামে নীচের দুই মানুষকে এত শ্রদ্ধা করতে হয়। আমরা ইদানীং শুধু ভাবারই সাহস পাই, কেবল লেখারই তাকত হয়। ভাবনা শেষে, লেখা শেষে আবার মনের লেজ গুটিয়ে যে যার কাজে ফেরত যাই।

কিন্তু এই দুইজন ভাবনা, ক্ষোভ, জিঘাংসাকে কাজে পরিণত করে দেখিয়েছিলেন। আর্মেনীয় হত্যাকান্ড আর জালিয়ানওয়ালাবাগ - এই দুটো যজ্ঞের প্রতিশোধ, গণ-অপরাধের বিচারের দায়িত্ব তারা আংশিকভাবে হলেও নিজ হাতে সম্পাদন করেছিলেন। Actions, not words. আমাদের উধাম সিং বা আমাদের তেহলিরিয়ান কি কোনদিন আসবে মনে হয়?


৯ | সংসারে এক সন্ন্যাসী | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৩:৩৮

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍আমাদের ক্রোধ অক্ষম থাকবে আর কতোদিন?



১০ | হিমু | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৪:৫৭

আমি ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুশীলদের মুখে থুতু দেই। যারা অতীত ভুলে দেশ গঠনের কথা বলে, বিষ্ঠা ত্যাগ করি তাদের মুখে। শুয়োরের বাচ্চারা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। বিচার চাই জামায়াতে ইসলামীর খুনীদের। যারা এই ঘাতকদের নীরব ও সরব পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছে, তাদের বিচার চাই। এদের কীর্তির রেকর্ড রাখা হোক, তা না হলে আজ থেকে কয়েক বছর পর এই মাদারচোদদের সন্ততিরা বড় গলায় নিজের বাপের সাফাই গাইবে।




১১ | ইশতিয়াক রউফ | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৫:১৫

আমি সম্ভবত এই পোস্টের প্রথম পাঠক ছিলাম। তখনও লিংক, ইত্যাদি আসেনি। তবু মুখ ফসকে বাজে কথা বের হয়ে যাবার ভয়ে কিছু বলিনি। এখন ভিডিওটা দেখার পর... থাক, এবারেও মুখ ফসকে কিছু বের হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছি না।

এক কাজ করলে হয়। দেশে তো পেশাদার খুনির অভাব নেই। কোল্যাবোরেটরদের একটা তালিকা দিন, আমরা চাঁদা তুলে তাদের খুন করতে খুনি নিয়োগ করি।



১১.১ | ধ্রুব হাসান | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৫:৫৩

ইশতি যে কথা বললেন আশা করি তা কথার কথা না। আসলেই আমরা একটা ফোরাম করে সরকারকে (যে কোন সরকার)একটা টাইম ফ্রেম বেধেঁ দিতে পারি। যদি ঐ সময়ের মধ্যে তারা বিচার কার্য শুরু না করে তবে আমরা জাহানারা ইমামের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে পারি।
প্রথমেই যুদ্ধপরাধীদের যে তালিকা তা থেকে দশজনকে খুন করে উদোম রাস্তার মোড়ে মোড়ে টাঙ্গিয়ে দিতে পারি। এরপর যদি বিচার শুরু হয় ভালো, না হলে প্রতি ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর কিছু কিছু করে খুন করে উতসব করা যেতে পারে। আসলেই যদি কেউ এই ব্যাপারটিতে সিরিয়াস হোন তাহলে কর্মপ্রক্রিয়া নিয়ে ভাবা যেতে পারে।


১১.১.১ | রায়হান আবীর | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১৭:০৮

১২ | অতিথি লেখক | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৫:২৪

এখনই "রাজাকার ঘাতক" নামে একটি সসস্ত্র দল বানানো খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। রাব হরচ্ছ সরকারী গুন্ডা বাহিনী।

জনসাধারণের একটি দল থাকা দরকার। মুক্তিযোদ্ধাদের মত।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী



১৩ | নিঝুম | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৫:৫৬


১৪ |
সংসারে এক সন্ন্যাসী | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৬:৩০
১৫ | আকতার আহমেদ | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৭:৩১

সবকিছু নষ্টদের অধিকারে গেছে..
সব... এমনকি আমার আত্মাটাও !



১৬ | মৃদুল আহমেদ | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ০৯:৩৭
১৭ | নুরুজ্জামান মানিক | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১০:০৬
ইশতিয়াক রউফ wrote:
কোল্যাবোরেটরদের একটা তালিকা দিন, আমরা চাঁদা তুলে তাদের খুন করতে খুনি নিয়োগ করি।

তালিকা দিলাম এখানে নুরুজ্জামান মানিক



১৮ | অতিথি লেখক | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১০:৩৪

ইশতিয়াক ভাইয়ের সাথে একমত। এই সব কুত্তাদের আজ যদি আমরা শেষ করতে না পারি তবে হয়তো আগামীতে ওরা আমাদের শেষ করে দিবে। রাজাকারদের খুন করার জন্য সত্যই একটা বাহিনী দরকার। শুধু কথায় মনে হয় আর কাজ হবেনা আর বিচার এই দেশে মনে হয় আর কখনও সম্ভব না - একমাত্র পথ এদের খুন করে ফেলা। কেউ যদি একজন রাজাকার খুন করতে পারে তবে তাকে জাতীয় বীর হিসাবে আমি আমার সম্মান জানাবো।
রবিন



১৮.১ | স্পর্শ | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১১:৫১

১৯ | অতিথি লেখক | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১১:৩৪

ওকে ধরিয়ে দিন।


২০ | কীর্তিনাশা | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১১:৪২

সময় এসে গেছে আরেকটি যুদ্ধের।
---------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !


২১ | স্পর্শ | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১১:৪৪

অতএব প্রমানিত হল, আমরা নপুংশক হয়ে গেছি!......
....................................................................................
সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে গেছ


২২ | সবজান্তা | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১১:৪৪

উপদেষ্টা নামক অধিকাংশ যেসব বেশ্যাপুত্রদের ( নেহায়েত গালি, বেশ্যাদেরকে ছোট করে দেখাচ্ছি না ) নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তাদের ( চন্দ্রবিন্দু দিলাম না, এসব হারামজাদার বাচ্চারা চন্দ্রবিন্দুর যোগ্য না ) প্রতিক্রিয়া কী এ ঘটনায় ? কেউ কি জানেন ?


অলমিতি বিস্তারেণ

২৩ | নজরুল ইসলাম | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১২:০৬

সেই পুরনো কবিতা... তবু আজ কবিতাটা পড়তে পড়তে শরীরের সবকটা পশম দাঁড়িয়ে গেলো... প্রথমবার পড়ে চলে গেছিলাম... কমেন্ট করতে পারিনি কোনও... আবার এলাম... আবার পড়লাম... আমাদের সবগুলো হুমায়ুন আজাদকে ওরা মেরে ফেলেছে...

সবচেয়ে অবাক লাগে আমাদের বর্তমানের এত যে তেজী সরকার... পুরো জাতিকে যারা এক লহমায় থামিয়ে দিতে পারেন... এতো যে মহান আমাদের সেনাপ্রধান... তারা এই ব্যাপারটা নিয়ে একটা কথাও বললো না?
স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে সম্পৃক্ততার আর কত প্রমাণ দিবে তারা? স্পর্শকাতর অজুহাতে আর কত ঢাল হয়ে দাঁড়াবে সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম এই প্রাণীদের?

কোনও সরকারই যে এদের বিচার করবে না সেটা আর অপেক্ষা করে দেখে বলতে হবে না। আমরা জেনে গেছি, বুঝে গেছি। আজ যেমন তারা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের ব্যাণার নিয়ে দাঁড়ানোর সাহস দেখিয়েছে কদিন পরেই তারা গোলাম আযম গঙদের বীরশ্রেষ্ঠ বলে ঘোষণা দেবেন।

সেমিনারে বসে বা ব্লগে এর প্রতিবাদ জানানোর সময় শেষ হয়ে গেছে... এখন রাস্তাতেই নামতে হবে...

ছোটবেলায় বগুড়া ইয়ুথ কয়্যারের একটা গান শুনছিলাম... অস্ত্রটা জমা দিছি টেরনিংটা না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল


২৪ | বিপ্রতীপ | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১২:৪২

অরুপ ভাই,
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই কবিতা আর ব্যানারটি স্টিকি করে রাখতে পারবেন? নাহয় সরিয়ে দিন। এক দু'সপ্তাহের চেতনাতে (আমার কাছে অবশ্য এখন এটা উন্মাদনাই মনে হয়) এর কোন সমাধান নেই।

২৫ | আলমগীর | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১৩:০০

কোন ভাষা নাই। এদের নেটওয়ার্ক আরো বাড়ছে। বিচারপতি সাহেব তো প্রকাশ্যেই জানান দিল। ভেতরে ভেতরে আরো অনেক আছে। নিস্তার কবে পাব কে জানে? মায়া লাগে নিরীহ মুক্তিযোদ্ধার জন্য যিনি কিছু না বুঝেই হায়েনাদের সম্মেলনে গিয়েছেন।

২৬ | ইশতিয়াক রউফ | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১৩:০৮

আমি আসলেই সিরিয়াস, ভাই। আমি খুবই নগণ্য একজন মানুষ। টাকা-পয়সা কিছুই নাই। ধারে পড়াশুনা করি। আছে বলতে একটা ব্যাংকে ২৫০ ডলার। দেশে যাবার টিকেট জন্য এখনো পর্যন্ত এটুকুই জমাতে পেরেছি। একটা রাজাকার মারার পারিশ্রমিক হিসেবে এটা আমি নগদে লিখে দেবো যে-কাউকে। দু-চার-দশটা মারলেই বাকিগুলোর আস্ফালন বন্ধ হবে।

কারো কোন হিটম্যান চেনা-জানা থাকে তো মেইল-মেসেজ দিয়েন। ঠাট্টা করছি না। দুই দিন পরপর মন-মেজাজ খারাপ হয়ে যায় কোন না কোন ুতমারানির কাজ দেখে। ালের দেশ একটা... থাক, এখানে মুখ খারাপ করবো না।


২৭ | দৃশা | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১৩:১৫

প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও কোন না কোন মুক্তিযোদ্ধা এভাবেই মার খাচ্ছেন। হয়তো শারিরীকভাবে নয়তো মানসিক ভাবে, তা না হলে ভাগ্যের হাতে। আমি হলাম সবচেয়ে বড় হারামি (আমরা কথাটা আর ব্যবহার করলাম না)। বইসা বইসা তামশা দেখি আর হা হুতাশ করি...নইলে নামকাওয়াস্তের পেতিবাদ করি যেই পেতিবাদের বেইল নাই। হয় এবার বেজন্মাগুলা মরবে আর নইলে সব মুক্তিযোদ্ধা মারা যাক... বাঁইচা থাইকা লাভ কি তাগো?


২৮ | দৃশা | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১৩:১৭

ইশতিয়াক ভাই দলে আমারে রাইখেন প্লিজ।


২৮.১ | ইশতিয়াক রউফ | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১৩:৫১

ঠিক আছে, রাখলাম। তবে আমি খুব বেশি সিরিয়াসলি-ই বলছি ভাই, একটা ভাড়াটে খুনি যোগাড় করে দেন। টায়ার্ড এসব দেখতে দেখতে।




২৯ | দৃশা | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১৩:৫৮

আমি কম সিরিয়াসলি বলি নাই। টায়ার্ড ভাই কমবেশী সবাই। বেশী টায়ার্ড হইলাম নিজের অক্ষমতায়। স্কুল-কলেজ থাকতে বাপ মায়ের কুবুদ্ধিতে ভাল পোলাপাইনের সাথে মিশছিলাম। ভুল করছিলাম। বন্দুকধারীদের লগে খাতির রাখা উচিত আছিল।


৩০ |
অতিথি লেখক | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১৪:০৯

ব্যপারটা কি একটু আগে অতিথি লেখকের দেয়া ইউটিউব ভিডিও টা দেখলাম এখন বলতাছে আর নাই? কাহিনী কি?
রবিন



৩২ | ভূঁতের বাচ্চা [অতিথি] | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১৫:২৫

কি জুইতের গালি দিমু খুঁজতাছি।
বেশী খ্যাপলে আমার আবার গালি আটকায় যায়!
কবিতার জন্য অরূপদাকে ধন্যবাদ।

৩৩ | মুজিব মেহদী | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১৬:০৯

খুবই যুৎসই একটা সময়ে কবিতাটা পাতে তুলে দিয়ে অরূপভাই ধন্যবাদার্হ হলেন। পড়ে ভাবলাম, কী দারুণ ভবিতব্যদ্রষ্টাই না ছিলেন আমাদের হুমায়ুন আজাদ! খুবই দরকারি ছিলেন তিনি আমাদের জন্য, আমাদের দেশের জন্য ; বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জন্য। এজন্যই বোধকরি তাঁর জীবনকে দীর্ঘায়িত হতে দেয় নি হন্তারক পাষণ্ডরা।

মোদাচ্ছেরের মতো বিচারক কি এখনো নেই আমাদের বিচারশালাগুলোতে? আছে। ভবিষ্যতেও কি আসবে না? আসবে। কাজেই এদের বিচার এখনো হয়ত সুদূরপরাহত। আমি এ বিষয়ে খুব হতাশ।
................................................................
সবকিছু নষ্টদের অধিকারে গেছে


৩৪ | ফারুক ওয়াসিফ | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১৬:৫০

আমার কথায় কেউ আহত হতে পারেন এই ভয় সত্ত্বেও বলছি: একটা ফোরাম করে চাঁদা তুলে যারা মুক্তিযুদ্ধের অসম্পূর্ণ কর্মসূচি সম্পন্ন করতে চান তাদের আবেগের আহত দশাটা বুঝতে পারছি। তকে কাজটা ভাড়াটে লোক দিয়ে করালে তাকে কি গৌরবের কাজ বলা যাবে? সেটাও সন্ত্রাসী কাজ হবে না? মুক্তিযুদ্ধ তো ফোরাম করে, চাঁদা তুলে ভাড়াটে লোক দিয়ে হয় নাই, যারা গিয়েছে তারা জানবাজি রাখার মতো লক্ষ্য পেয়েছিল, অনন্যোপায় হয়েছিল। আমরা মনে হয় আর দেশের জন্য জানবাজি রাখার জায়গায় নাই, এবং আমাদের মনে হয় রাজাকার হত্যা ছাড়াও আরো অনেক উপায় আছে, যাতে আমরা ব্যস্ত আছি। এমনকি তার জন্য জানও বাজি রাখতে পারি। প্রতিষ্ঠা প্রতিষ্ঠা আর প্রতিষ্ঠার থেকে আর কোন বড় মতাদর্শ বা লক্ষ্য আমাদের আছে বলে তো মনে হয় না।


এই আমাদের বলতে, আমি 'মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি'কেই বলছি। তারা বন্ধ্যা হয়ে গেছে। তারা আর কিছু জন্ম দিচ্ছে না। কিন্তু রাজাকারেরা নিরন্তর প্রসব করে যাচ্ছে, কর্মী, সংগঠন, রাজনীতি, টাকা, পরাশক্তির সঙ্গে সম্পর্ক ইত্যাদি।


ইদানিং দেখছি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষওয়লাদের বুদ্ধিজীবীদের বড় অংশই জনগণের মধ্যে কাজ করার চেয়ে বিদেশে আশ্রয় ও তদ্বীর করাতেই বেশি ব্যস্ত। হাসান ইমাম সহ আর যাঁরা, সবার নাম বলা গেল না।
এখন এরা জঘন্য সেনা শক্তির কাছে আব্দার জানাচ্ছেন, কিন্তু আন্দোলন গড়ে তোলার মুরদ দেখাচ্ছেন না। সেটা তাদের নেইও। ক'দিন পরে এরাই মার্কিন সৈন্যদের বলবে, বাবারা আমাগো দেশ দখল কইরা আমাদের রাজাকারদের হাত থেকে স্বাধীন কইরা দাও।
৩৭ বছরে স্বাধীন কথাটার মানে রাজাকার আর মুক্তিযোদ্ধাদের দল উভয়েই পাল্টে ফেলেছে। লাখো শহীদের মৃত্যু তাদের কাছে রাজনীতির অফুরান বিনিয়োগ ছাড়া আর কিছু নয়।


৩৪.১ | সুমন চৌধুরী | সোম, ২০০৮-০৭-১৪ ০০:১৩

এরশাদ পতনের পরে যারা নির্মুল কমিটি তৈরী করছিল তাদের মধ্যে তখনো জোশ ছিল কাজ করার। যদিও জামাত এবং অন্যান্য রাজাকাররা ততদিনে নিজেগো জায়গা মোটামুটি পাকা কইরা নিছে। নির্মুল কমিটির আন্দোলন ধরা খাইছে মুলত আওয়ামী লীগের বাটপারির জন্য। যেইটা এইখানে দেখার বিষয় সেইটা হইল যেই "নির্দলীয়" বুদ্ধিজীবীরা ১৯৯২-৯৪ পর্যন্ত বিচারের দাবীতে রাস্তায় ছিল তারা ১৯৯৪-৯৬তে আরো বেশী কইরা আওয়ামী লীগরে আঁকড়াইয়া ধরে আর এই ধরাটা আওয়ামী লীগের ৯৬-২০০১ সময়ে গাঢ় হইতে হইতে শেষতম লিকুইডেশনের দিকে চইলা যায়। ১৯৯৬-২০০১ সময়ে এরা কিছুই করে নাই আখের গুছানো ছাড়া। আর টানেল ভিশনে আখের গুছাইলে যেইটা হয় পলিটিক্সের র্যান্ডম ডাইভারসিটি তখন চোখ এড়াইয়া যায়। এরা অনেকেই শিওর ছিল ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের জয়ের ব্যাপারে। এরপর যখন খেলা ঘুইরা যায়, নিজামী-মুজাহিদ মন্ত্রী হয় তখন পলানো ছাড়া এগো আর কোন রাস্তা ছিল না। গুছানো আখের ছিল, তাই বৈদেশ গিয়া তারা খাওন-দাওন পাইছে। দ্যাশে যাগো রাইখা গেছে তারা পড়ছে রাক্ষসের মুখে। যারা পলাইছে তাগো মধ্যে আমরা যারা পড়তে/চাকরি করতে আইছি টেকনিক্যালি তারাও পড়ি। পার্থক্য হইল আমরা গুছানো আখের নিয়া আসি নাই সেইসব বিদগ্ধজনের মতো। কিন্তু অভিযোগ করতে গেলে সেই তালিকায় পড়ে যারা সেই সময় নির্মুল কমিটির নেতা ছিল, যারা ২০০১ সালের অক্টোবরের পরে সুড়সুড় কইরা টিএসসি থিকা পলাইয়া আইলো তারা। তাদের নিয়া বা তাদের নেতৃত্বে কিছু করা না করা নিয়া অন্তত আমি ০% ও আশাবাদী না।

এখন ঘটনা হইল জনগণের মধ্যে কিন্তু ঠিকই গণহত্যার স্মৃতি রইয়া গেছে, বিশেষ কইরা যেই জনগণের দেশত্যাগের উপায় নাই তাগো মধ্যেই। সেই প্রক্রিয়াটা কিভাবে করা যায়, সেই প্রশ্নটা এখন সামনে আসে। প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মীদের নখদাঁত রাবীন্দ্রীক আলু চাষ করতে করতে চমৎকার কইরা কাটতে মধ্য আশি-নব্বই দশকে এঞ্জিওরা কৃত্রিম জবমার্কেট তৈরী করছিল। সেই বাজার একটু একটু কইরা ইচিংবিচিং কইরা হাওয়া হইতেছে। পেটিবুর্জোয়াদের নিম্নপর্যায়ের মধ্যে একধরণের কৃত্রিম স্ট্র্যাটিফিকেশন তৈরী হইছে, অন্য দিকে বাংলাদেশের বাজারমান অনুসারে যাদেরকে আমরা উচ্চমধ্যবিত্ত বলি তাঁরা নিজের ঘরে ছাগুরাম চাষ করতেছে। অর্থাৎ সাংস্কৃতিক হেজিমনি বলতে যে বর্গটা নব্বুই দশকের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধা ছাত্রকমান্ডের নামে রাস্তায় নামছিল, তারা অনেকগুলি পরস্পর সংযোগহীন পকেটে বিভক্ত হইয়া গেছে। কৃষকদের সংগঠণগুলি একদিকে ছত্রভঙ্গ আরেকদিকে এঞ্জিওদের মুঠায়, শ্রমিক আন্দোলন গত দশ বছরে যা দেখছি সবই স্বত:স্ফুর্ত, কোন দল সেগুলি সংগঠিত করা দুরে থাক দলীয় যোগাযোগ সৃষ্টি হওয়া মাত্র পিঠে ছুরি মারা মধ্যস্থতা শুরু হইয়া যায়। সব মিলাইয়া পরিস্থিতিটা জটিলতর। কোন সমাধান নাই এই কথা বলার অধিকার আমারে কেউ দেয় নাই, আর এত বড় কথা কইতে ল্যাজ যত মোটা হইতে হয় তত মোটাও এখনো হয় নাই। রাস্তা নিশ্চয়ই আছে। না থাকলে ফুলবাড়ি-কানসাটের প্রতিরোধ হইতো না।



৩৫ |
আহমেদুর রশীদ | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ১৭:২১

আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি
আর
আস্ফালন করি।

ওরা ঘরে ঘরে যায়-ছলে বলে কৌশলে করায়ত্ব করে মানুষ।


৩৬ |
অচল আনি (একজন নপুংশক) (যাচাই করা হয়নি) | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ২০:০১

কি আর কমু?? মুখ দিয়া কথা বাইর হইতাছে না...
নপুংশক আস্ফালনেরও কোন মানে দেখতাছি না... ...
সবকিছু নষ্টদের অধিকারে গেছে...আর আমরাও হালায় নষ্ট হইয়া গেছি... মুক্তিযোদ্ধা মাইর খায় আর আমরা বগলে বোতল নিয়া... সুবর্ণা-সৌদ এর বিয়ার খবর পড়ি আর বগল বাঁজাই, হাত তালি মারি...


৩৭ | শেখ জলিল | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ২০:০৯

সবকিছু নষ্টের অধিকারে চলে গেছে! এখন দরকার প্রতিরোধ। জনগণকে নিজের হাতে এদের বিচার ছাড়া গত্যন্তর নেই। এইদিনে মনে পড়ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ও কবি হুমায়ুন আজাদকে।


খেকশিয়াল এর ছবি
৩৮ | খেকশিয়াল | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ২২:২৯

মন্তব্য নিষ্প্রোয়জন ।
অরূপদাকে ধন্যবাদ ।


৩৯ |
সৌরভ | রবি, ২০০৮-০৭-১৩ ২২:৪২

সবার বিক্ষুব্ধ চেহারা দেখে হাসি পাচ্ছে।
কারণ, এই সময়ের আগমন কি খুবই অপ্রত্যাশিত ছিলো?

বছর সাতেক আগে, ওদেরকে সংসদে বসানোর সময়ই কি আমরাই কি এই সময়ের বীজ বপন করি নি? এই সময়ের দায়িত্ব আমার, আপনার, এই সময়কে যাপন করা প্রতিটি বাঙালির।
ধিক আমার জন্ম।

আনিসুল হক বছর পনের আগে একটা কল্পকাহিনী লিখেছিলেন, হাজার বছরের অন্ধকার। মুক্তিযোদ্ধা আর মননের দাবিদার বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষগুলোকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে, আর ক্ষমতায় এসেছে একদল ঘাতক। এটাই প্রেক্ষাপট।
এই কল্পকাহিনী কি বাস্তব থেকে দূরে ?


৩৯.১ |
নজমুল আলবাব | সোম, ২০০৮-০৭-১৪ ১২:৪৬

অন্ধকারে একশ বছর


৪০ | প্রকৃতিপ্রেমিক | সোম, ২০০৮-০৭-১৪ ০২:৪১

বাহ বাহ, বিচারপতি এই অনুষ্ঠানে এসে ধন্য বোধ করেছেন। সত্যই অন্যন্য বিচারপতি। কে জানে আরো কতদূর পৌঁছেছে ঘাতকের দল।

৪১ | থার্ড আই | সোম, ২০০৮-০৭-১৪ ০৪:৪৪

নষ্টদের দখলে চলে গেছে মানলাম স্বীকার করলাম। ১৯৭১ সনে আমাদের যে চেতনা ছিলো এখন তো আমরা আরো শক্তিশালী, সে সময় রাজাকারদের আমরা কিছু করতে পারতাম না এখণতো রাজাকার গুলো চিহ্নিত। তাদেরকে আমরা কেন সনাক্ত করিনা। সবকিছু নষ্টদের দখল থেকে চেতণার রঙে রাঙাতে হলে ব্লগের বিকল্পনেই । দেশে বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রাজাকারদের তালিকা থেকে তাদের বর্তমান অবস্থানগুলো আমাদের খুঁজে বের করে তাদের কুকৃর্তীগুলোর ধারাবাহিক সিরিজ করে আমরা অন্তর্জালে ছড়িয়ে দিব। নির্বাচনে যদি এই সব কুলাঙ্গার গুলো অংশ নিতে চায় তবে তার প্রতিটি ব্যনার পোস্টারের নিচে যেন তার ৭১ এর কুকৃর্তীগুলোও শোভা পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যত বেশী আমরা এই কুলাঙ্গার গুলোর কুকৃর্তী বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে পারবো , ততই মুক্তিযুদ্ধের চেতণা দীর্ঘস্থায়ী হবে। আমাদের আন্দোলনটা করতে হবে সবাই মিলে । যাতে নতুন প্রজন্মের মধ্যে একটা চেতণার বিজ ঢুকে । একজন মুক্তিযোদ্ধার এমন লাঞ্ছনার সংবাদে আমাদের যেমন বুকটা হু হু করে কেঁপে উঠে, নতুন প্রজন্সের একজন তরুনের কি এমনটা কাপন ধরে??

ধর্মের নামে যারা রাজনৈতিক ব্যবসায় নেমেছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। যেন আগামী প্রজন্ম বিভ্রান্ত না হয়।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে


৪২ | নজমুল আলবাব | সোম, ২০০৮-০৭-১৪ ১২:৫০

মেজাজটা খারাপ করারও ক্ষমতা নাই।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল


সুরভি এর ছবি
৪৩ | সুরভি [অতিথি] | সোম, ২০০৮-০৭-১৪ ১৭:৫২

গতকাল দুটো বড় মন্তব্য লিখে পাঠানো হয়নি,সব ভুলে থাকতে চাই,কেন নাড়া দেন এমনি করে? কি লাভ?মনে মনে জপছি,কোন
মুক্তিযুদ্ধ হয়নি, হয়েছিল গৃহযুদ্ধ (!) রাজাকার ,আলবদর, বলে
কিছু ছিল না ,ওরা ছিল ধার্মিক(!),এখনও তাই ৎ
এসব ভেবেও শান্তি পাচ্ছি না ৎছোটখাট নাড়াতে আর কাজ হবেনা ,
ভূমিকম্প চাই ,
আলী আমানের ঘটনায় মন খারাপ, এ লেখাটা সামনে তুলে আরো
মন খারাপ করে দিয়েছেন,তারপরেও সাধুবাদ না দিয়ে পারছিনা
অরুপ আপনাকে ৎ

৪৪ | বিপ্লব রহমান | সোম, ২০০৮-০৭-১৪ ১৯:৫৮

সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে, যাচ্ছে...



৪৫ |
অয়ন | সোম, ২০০৮-০৭-১৪ ২১:২০

ভাগ্য ভালো ৭১এ মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানীদের মারার জন্য হিটম্যান খোজেন নি। নয়তো আজকের মন্তব্যটা উর্দুতেই লিখতে হতো।

No comments:

Post a Comment

To comment in Bangla, please use Avro Keyboard Interface. Click here for Bangla Installation Guide.

বাংলায় লিখতে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করুন. বাংলা ইন্সটলেশন গাইড পাবেন এখানে