মাশীদ গেছে সিঙ্গাপুর, পাঙ্কোর এখান থেকে দু'শ কিলো দূরে। কি আছে দুনিয়ায় বলে তাই ভর দুপুরেই বের হই। লুমুত জেটিতে পৌছাতে পৌছাতে সাড়ে পাঁচটা, ফেরী ধরে যখন পাঙ্কোরের মাটিতে পা দিলাম তখন ছটা বেজে গেছে।
ধারনা ছিল লাঙকাওয়ির মতো জমজমাট হবে জেটির কাছে। ধারনা ভুল ছিল। সবাই যার যার বাহনে যে যার মতো চলে গেল, বেকুবের মতো পড়ে রইলাম শুধু আমি। কি আর করা, ব্যাকপ্যাকটা ঘাড়ে নিয়ে হেঁটে হেঁটেই ঘুরবো ঠিক করলাম। পরিকল্পনাটা ভালো ছিল না। পাহাড়ী দ্বীপে কেউ হাঁটে না, বাইকে না হয় গাড়িতে চড়ে চলাচল করে সবাই। বোকার মতো আমিই কেবল বাঁকাতেড়া পাহাড়ী রাস্তা ধরে হাটছি। নিজেকে একবার রামছাগল বলে গালি দিলাম। একবার ভাবলাম ফিরে যাই।
সন্ধ্যে ছটার সময় এই জঙলা দ্বীপে ধনেশপাখি দেখার চেষ্টা করার চেয়ে প্যাভিলয়নের গোল্ডেন ক্লাসে রগরগে মুভি দেখা অনেক অনেক ভালো পরিকল্পনা হতে পারতো। চড়াই বেড়ে উঠেছি, দম প্রায় শেষ। মন খারাপ করে আবার পা বাড়াই।
আমাকে খানিকটা অবাক করে দিয়ে মহাজনদের দেখা পাওয়া গেল। একের পর এক! সব মিলিয়ে পাঁছ/ছ'টা ধনেশ! আলো কম থাকায় ছবি আর ভালো হলনা। আটটায় ফেরী সময়ও কম। তবুও শান্ত্বনা, পাখি তো দেখা হল!
পাঙ্কোর দ্বীপ নিয়ে বিশদ না লিখে এবারে শর্টকাটে কিছু ছবি দিয়ে যাই। লিখতে হলে সামনে আবার যেতে হবে।
No comments:
Post a Comment
To comment in Bangla, please use Avro Keyboard Interface. Click here for Bangla Installation Guide.
বাংলায় লিখতে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করুন. বাংলা ইন্সটলেশন গাইড পাবেন এখানে।