Tuesday, July 8, 2008

ধনেশ পাখির দ্বীপে

শনিবার ঘুম থেকে উঠে মনে হল অনেকদিন পাগলামী করে বেরুনো হয় না। কিন্তু যাই কোথায়? ধারেকাছে আছে পাঙ্কোর দ্বীপ। যায়গাটা খারাপ না, সৈকতটা কেমন ছিল ভুলে গেছি। শুধু মনে আছে গেলবার আমাদের কাঠের শ্যালেটার সামনে একটা বিশাল ধনেশ পাখি বসে ছিল। ছোটবেলায় ছবির বইতে দেখেছিলাম, পড়ে দেখি চিড়িয়াখানায়। কি রাজসিক ভঙ্গিতেই না বসেছিল নোংরা খাঁচাটায়! সেই পাখিটা যখন চোখের সামনে বসে বসে গায়ের পালক ঠিক করে তখন অবাক হয়ে দেখতেই হয়।

মাশীদ গেছে সিঙ্গাপুর, পাঙ্কোর এখান থেকে দু'শ কিলো দূরে। কি আছে দুনিয়ায় বলে তাই ভর দুপুরেই বের হই। লুমুত জেটিতে পৌছাতে পৌছাতে সাড়ে পাঁচটা, ফেরী ধরে যখন পাঙ্কোরের মাটিতে পা দিলাম তখন ছটা বেজে গেছে।

ধারনা ছিল লাঙকাওয়ির মতো জমজমাট হবে জেটির কাছে। ধারনা ভুল ছিল। সবাই যার যার বাহনে যে যার মতো চলে গেল, বেকুবের মতো পড়ে রইলাম শুধু আমি। কি আর করা, ব্যাকপ্যাকটা ঘাড়ে নিয়ে হেঁটে হেঁটেই ঘুরবো ঠিক করলাম। পরিকল্পনাটা ভালো ছিল না। পাহাড়ী দ্বীপে কেউ হাঁটে না, বাইকে না হয় গাড়িতে চড়ে চলাচল করে সবাই। বোকার মতো আমিই কেবল বাঁকাতেড়া পাহাড়ী রাস্তা ধরে হাটছি। নিজেকে একবার রামছাগল বলে গালি দিলাম। একবার ভাবলাম ফিরে যাই।

সন্ধ্যে ছটার সময় এই জঙলা দ্বীপে ধনেশপাখি দেখার চেষ্টা করার চেয়ে প্যাভিলয়নের গোল্ডেন ক্লাসে রগরগে মুভি দেখা অনেক অনেক ভালো পরিকল্পনা হতে পারতো। চড়াই বেড়ে উঠেছি, দম প্রায় শেষ। মন খারাপ করে আবার পা বাড়াই।

আমাকে খানিকটা অবাক করে দিয়ে মহাজনদের দেখা পাওয়া গেল। একের পর এক! সব মিলিয়ে পাঁছ/ছ'টা ধনেশ! আলো কম থাকায় ছবি আর ভালো হলনা। আটটায় ফেরী সময়ও কম। তবুও শান্ত্বনা, পাখি তো দেখা হল!

পাঙ্কোর দ্বীপ নিয়ে বিশদ না লিখে এবারে শর্টকাটে কিছু ছবি দিয়ে যাই। লিখতে হলে সামনে আবার যেতে হবে।

দোকলা ধনেশ (১)
দোকলা ধনেশ (১)

দোকলা ধনেশ (২)
দোকলা ধনেশ (২)

প্যাঙ্কোর সিলুয়েট
প্যাঙ্কোর সিলুয়েট

পাঙ্কোর জেটি
পাঙ্কোর জেটি

একলা নৌকা
একলা নৌকা

পাঙ্কোরের বাড়ি
পাঙ্কোরের বাড়ি

No comments:

Post a Comment

To comment in Bangla, please use Avro Keyboard Interface. Click here for Bangla Installation Guide.

বাংলায় লিখতে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করুন. বাংলা ইন্সটলেশন গাইড পাবেন এখানে