Thursday, February 2, 2006

বেকার স্ট্রীট

বেকার স্ট্রীট যাবার ইচ্ছেটা ছিল শুরু থেকেই। শেষদিনটায় একা একা টিউবে চেপে বসলাম। পৌছে দেখি সব বন্ধ। কনকনে হাওয়া আর হাড়কাপানো শীত। তবুও খুশি। শার্লক হোমস এর মূর্তিটাতো দেখা গেল!

পেনাং দ্বীপের মন্দির

পেনাং দ্বীপে যেতে হয়েছিল মাশীদের যন্ত্রনায়! ঘুরতে ঘুরতে হাজির শায়িত বুদ্ধের মন্দিরে। চমৎকার এই দ্বীপে দেখার জিনিসের অভাব নেই! যারা জানেন না, তাদের বলি পেনাং মালয়েশিয়ার উত্তর পূর্বে, চাইলে কে.এল. থেকে বাসেই যাওয়া যায়।

চাইমস, সিঙ্গাপুর

ব্যাপারটা ঠিক সাধারন নয়, ব্যতিক্রমী বলাই ঠিক। পুরোনো ক্যাথিড্রাল ঠিকঠাক করে এমন চমৎকার আড্ডার জায়গা বানানো সম্বব সেটা চাইমস এ না গেলে ঠিক বোঝা যাবে না। সিঙ্গাপুরে গিয়ে এটা মিস করাটা ভুল হবে। আর যদি এখানে অসাধারন একটা ডিনার উপভোগ করতে চান তবে ল বারোক এ যেতে পারেন র্নিভাবনায়।

শ্রী পেতালিং

ভালোবাসার দেশ ছেড়ে বাসা বেধেছিলাম একটা ছোট্ট শহরে, নাম শ্রী পেতালিং। ২০০৫ এর ফেবরুয়ারির ৬ তারিখ। হাইওয়ে দিয়ে ঝড়ের বেগে গাড়ি ছুটিয়ে চলছে স্যাম। শার্টের হাতা দিয়ে মাঝে মাঝে চোখের কোনা মুছে যাচ্ছি। দীর্ঘ পথের যখন শেষ, আমি হাজির এক অচেনা শহরে। আজ একটা বছর পরে সেই শহরই আমার সমস্ত দুঃখ, একাকীত্বআর আনন্দের সঙ্গী। শ্রী পেতালিং, তোমার জন্য ভালোবাসা..

বাংলা ব্লগে এটাই আমার প্রথম লেখা, প্রকাশিত হয় সামহয়ারইনব্লগে, ২০০৬ এর ২রা ফেব্রুয়ারি। তখনও ব্লগোস্ফিয়ারের অলিগলি টের পাইনি, বাংলায় লিখতে পারাটাই তখন সবচে' বড় আনন্দ!


এই লেখাটা পড়ে প্রথম মন্তব্য ছিল মাশীদের..
আজ থেকে এক বছর আগে
তোমার আমার ছাড়াছাড়ি
যাবার বেলায় দুঃখ কত
রাগ - অভিমান - মারামারি

সিঙ্গাপুর টু মালয়েশিয়া
মাঝখানে এক সাগর পাড়ি
চোখের জলে যাই ভেসে যাই
অন্য পাড়ে তাড়াতাড়ি

দুই শহরে থাকছি দু'জন
কাজের চাপে ব্যস্ত ভারি
এনডা রিগাল, শ্রী পেতালিং
আজ আমাদের উইকেন্ড বাড়ি

...