Wednesday, February 10, 2010

আলোর রাজা জো ম্যাকনেলি

The God of Light
জো ম্যাকনেলির কথা আমি প্রথম জানতে পারি আমার বন্ধু রিপির কল্যাণে। রিপি একদিন এসে বায়না ধরলো তাকে The Hotshoe Diaries এর পিডিএফ কপি জোগাড় করে দিতে হবে। খুঁজে পেয়ে তাকে দিলাম আর একটা কপি রেখে দিলাম নিজের জন্য। পড়তে গিয়ে মজা লাগলো। পুরো বইটাই আলোকচিত্রে ফ্ল্যাশের ব্যবহার নিয়ে। ফ্ল্যাশ একটা কঠিন বস্তু, একে ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারার জন্য যথেষ্ট দক্ষতা প্রয়োজন। ম্যাকনেলি এক্ষেত্রে ভীষণ ক্রিয়েটিভ, এজন্য কেউ কেউ তাকে গড অফ লাইট বলেও ডাকে। যাই হোক, এরপর ম্যাকনেলিকে ভুলে গেলাম।

সেদিন PSPJর ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখি ফেব্রুয়ারির সাত তারিখ ভদ্রলোক নিকন সেন্টার বক্তৃতা দিতে আসবেন। নাম লেখাতে গেলাম, জানানো হল আসন পূর্ণ, দাড়িয়ে দেখতে চাইলে পারা যাবে। সাত তারিখে আগে যাওয়ার বদৌলতে বসেই আলোচনা শোনার সুযোগ হল। ভদ্রলোক ভালো বক্তা, চমৎকার বলে গেলেন নানা বিষয়ে।

নীচের ভিডিওটার সাথে নিকন সেন্টারে করা ম্যাকনেলির আলোচনা প্রায় একই রকম বলে উৎসাহী পাঠক দেখে ফেলতে পারেন..


ম্যাকনেলির নাম কিংবা কাজ স্টিভ ম্যাককারীর মতো না হলেও তিনি ১৯৮৭ থেকে ন্যাটজিওর হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। লাইফ ম্যাগাজিনের স্টাফ ফোটোগ্রাফার ছিলেন এক সময়। ম্যাগাজিন ফোটোগ্রাফির জন্য ভূষিত হয়েছেন আলফ্রেড আইজেনস্টাড পুরস্কারে, জিতেছেন ওয়ার্ল্ড প্রেস ফোটো প্রাইজ।

ম্যাককারি দেখে বুঝেছি ক্লাসিক ফোটোগ্রাফাররা কেমন। স্টিভের ছবিতে কৃত্রিম আলো ও আয়োজন একেবারেই নেই। অন্যদিকে ম্যাকনেলি পুরোদস্তুর কর্মাশিয়াল। ট্রিকারী, ফ্ল্যাশ, গিমিক এসব দিয়ে সে তার শিল্প সৃষ্টি করে। দুজনে দুই মেরুর, কিন্তু দুজনের কাজই অনবদ্য।

যারা গিয়ার নিয়ে আগ্রহী তাদের বলি, ম্যাককারি ও ম্যাকনেলি দুজনই নিকনের ভক্ত, ব্যবহার করেন D3/D3x সিরিজের ক্যামেরা।

বন্ধুসুত্রে জানা গেল জো ম্যাকনেলি আগের দিন একটা ওয়ার্কশপ করেছেন, যেখানে জন প্রতি ৪০০ রিংগিত প্রবেশমূল্য দিতে হয়েছে। আমার এসবে বড্ড আগ্রহ, কিন্তু এই দুর্দিনে এতো টাকা কিভাবে খরচ করি!!

পুনশ্চঃ এই নিয়ে উইকিপিডিয়াতে বিশ্বসেরা দুইজন ফোটোগ্রাফারের আমার তোলা ছবি আপলোড করলাম!!

No comments:

Post a Comment

To comment in Bangla, please use Avro Keyboard Interface. Click here for Bangla Installation Guide.

বাংলায় লিখতে অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করুন. বাংলা ইন্সটলেশন গাইড পাবেন এখানে